পরের মরশুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা আগেই সুনিশ্চিত হয়েছিল। তারপর সেই অর্থে প্রিমিয়র লিগে লড়াই করার জন্য খুব বেশি কিছু নেই চেলসির জন্য। তবে লেস্টার সিটির বিরুদ্ধে মাঝ সপ্তাহের ম্যাচে লড়াই করেই কার্যত লিগে তিন নম্বরে শেষ করা কার্যত নিশ্চিত করে ফেলল থমাস টুচেলের দল।
ম্যাচের মাত্র ছয় মিনিটেই জেমস ম্যাডিসনের পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে লেস্টার লিড নিয়ে নেয়। তবে চেলসিও শুরুতে পিছিয়ে পড়লেও আক্রমণ শানাতে থাকে। ম্যাচের ৩৪ মিনিটে রিস জেমসের ক্রস থেকে দারুণ ভলিতে মার্কোস আলন্সো ব্লুজদের হয়ে সমতা ফেরান। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের গতি আরও তীব্র করে চেলসি। মাত্র ছয় মিনিটের মধ্যে রোমেলু লুকাকু, ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ ও টনি রুডিগার তিনটি বড় সুযোগ পান। তবে কেউই গোল করতে পারেননি। ১-১ স্কোরলাইনেই শেষ হয় খেলা। ড্রয়ের ফলে লেস্টার ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় নয় নম্বরেই থাকল।
অপরদিকে, এখনও অবধি প্রিমিয়র লিগের প্রতিটি মরশুমে খেলা এভারটনও কোনওক্রমে অবনমন বাঁচাল। মার্সিসাইডের দল ঘরের মাঠে এদিন প্রথমার্ধে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিরুদ্ধে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে। জিন-ফিলিপ মাটেটা ও জর্ডন আয়ু প্রথমার্ধে গোল করেন। তবে ঐতিহ্যবাহী এভারটন দ্বিতীয়ার্ধে মরিয়া হয়ে লড়াই চালায়। প্রথমে মাইকেল কিন দুর্ধর্ষ এক গোলে প্রথমে টফিজদের হয়ে ব্যবধান অর্ধেক করেন। এরপর কিছুটা ভাগ্যের সহায়তায় রিচার্লিসনের শট গোলে জড়ায়। ম্যাচের ৮৫ মিনিটে ডমিনিক কালভার্ট-লুইনের হেডারে জয় সুনিশ্চিত করে এভারটন।

এই জয়ের ফলে এক ম্যাচ বাকি থাকতে অবনমনের আওতায় থাকায় লিডসের থেকে চার পয়েন্টে এগিয়ে গিয়ে পরের মরশুমে প্রিমিয়র লিগ খেলা সুনিশ্চিত করল এভারটন।অপরদিকে, ক্রিস্টাল প্যালেস হেরে গিয়ে ১৩ নম্বরে নেমে গেল। প্যাট্রিক ভিয়েরার দলের দখলে রয়েছে ৪৫ পয়েন্ট।