প্রিমিয়র লিগের খেতাবি লড়াই একেবারে শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ও লিভারপুল, দুই দলই রয়েছে। তবে সামান্য এদিক ওদিক হওয়া, একটা ম্যাচে না জেতা মানেই লড়াইয়ে অনেকটা পিছিয়ে যেতে হবে। এটা দুই দলই জানে। এমন পরিস্থিতিতেই ঘরের মাঠে টটেনহ্যাম হটস্পারের মুখোমুখি হয়েছিল লিভারপুল।
প্রথম চারের দৌড়ে থাকা স্পার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচ বরাবরই লিভারপুলের কাছে সবথেকে কঠিন ম্যাচ ছিল। আর এই ম্যাচেই ড্র করেই লিগ খেতাব কার্যত হাতছাড়া হয়ে গেল লিভারপুলের। প্রতিআক্রমণের পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে স্পার্সের রক্ষণভাগ ছিল জমাটি। প্রথমার্ধে লিভারপুল সিংহভাগ বল নিজেদের দখলে রাখলেও গোল করতে পারেনি। স্পার্সও গোল করেনি। তবে প্রথমার্ধ গোলশূন্য শেষ হলেও এই অর্ধে লিভারপুলের হয়ে ভার্জিল ভ্যান ডাইক ক্রসবার ও স্পার্সের হয়ে পিয়ের-এমিল হইবার্গ পোস্টে বল মারেন।
দ্বিতীয়ার্ধে সুন্দর পাসিং ফুটবল খেলে গোটা অ্যানফিল্ডকে চুপ করিয়ে দিয়ে স্পার্সকে ৫৬ মিনিটে এগিয়ে দেন সন হিউং-মিন। এটি এবারের প্রিমিয়র লিগ তাঁর ২০ নম্বর গোল। গোল খেয়ে মরিয়া হয়ে লিভারপুল আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায়। ম্যানেজার জুরগেন ক্লপ মিডফিল্ডার জর্ডন হেন্ডারসনকে তুলে ফরোয়ার্ড দিয়োগো জোটাকেও নামান। ৭৪ মিনিটে অবশেষে সাফল্য মেলে। লুইস ডিয়াজের দূরপাল্লার শট স্পার্সের খেলোয়াড়ের জুতোয় লেগে দিক পরিবর্তন করে গোলরক্ষক হুগো লরিসকে পরাস্ত করে।
শেষ ১৫ মিনিটে লিভারপুলের একের পর এক আক্রমণ শানায়। মহম্মদ সালাহ এক আধবার গোলের কাছাকাছি পৌঁছেও শট গোলে রাখতে পারেননি। শেষমেশ ১-১ গোলে ড্র করেই খুশি থাকতে হয় লিভারপুলকে। এই ড্রয়ের ফলে বেশি ভাল গোলপার্থক্য়ের জেরে ম্যান সিটির সমসংখ্যক ৮৩ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়র লিগ তালিকায় লিভারপুল একে উঠে এলেও, সিটি নিউক্যাসলকে হারালেই তিন পয়েন্টে এগিয়ে যাবে। লিগে তিন ম্যাচ বাকি থাকতে তাই এখন খেতাব জয়ের ক্ষেত্রে সিটিই ফেভারিট। অপরদিকে, আর্সেনালের থেকে এক পয়েন্ট কম, ৬২ পয়েন্ট নিয়ে স্পার্স লিগ তালিকায় পাঁচ নম্বরেই থাকল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।