নাগাড়ে ১২টি লিগ ম্যাচ জিতে সাউদাম্পটনের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল পেপ গুয়ার্দিওলার ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। তবে ৯০ মিনিটের দুর্দান্ত লড়াইয়ে রাল্ফ হাসেনহুটেলের সাউদাম্পটনের বিরুদ্ধে ১-১ স্কোরে ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন তথা টেবিল টপার ম্যান সিটিকে।
ম্যাচের একেবারে শুরুতেই প্রত্যাশামতো বল এবং ম্যাচের রাশ, দুইই নিজেদের হাতে তুলে নেয় সিটি। তবে একটি ভুল এবং দুর্দান্ত দলগত পাসিং ফুটবলের জেরে মাত্র সাত মিনিটেই কাইল ওয়াকার-পিটার্সের গোলে পিছিয়ে পড়তে হয় সিটিকে। সাউদাম্পটনের পেনাল্টি বক্সে রাহিম স্টার্লিং পা থেকে বল বেদখল হওয়ার পরই ছয় থেকে সাতজন সেন্টস ফুটবলার নিজেদের মধ্যে অসাদারণ পাসিং ফুটবল খেলার পর অবশেষে সিটির পেনাল্টি বক্সে বল পান ওয়াকার-পিটার্স। তারপর ডান পায়ের বাইরের দিক দিয়ে এক অসামান্য শটে বল জালে জড়িয়ে দলকে এগিয়ে দেন তিনি।
এরপরেই জান বেন্ডারেক এবং আর্মান্দো বোর্জা সেন্টসের হয়ে গোল করার সুযোগ পান। তবে তাদের একজন হেডার বাঁচান এডারসন এবং দ্বিতীয়জনের হেডার পোস্টে লেগে ফিরে আসে। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া সিটি একের পর এক সুযোগ তৈরি করতে থাকে। অবশেষে সেই চাপের ফলস্বরূপ ৬৫ মিনিটে কেভিন ডি'ব্রুইনের মাপা ফ্রি-কিক থেকে আয়েমরিক লাপোর্ত হেড থেকে গোল করে সিটিকে সমতায় ফেরায়। ডি'ব্রুইন, সাবস্টিটিউট হিসেবে নামা গ্যাব্রিয়েল জেসুস, সিটির তরফে গোল করার প্রচেষ্টায় বল বারে মারেন। তবে শেষমেশ আর কোনো গোল না হওয়ায় ম্যাচ ১-১ শেষ হয়।
এই পরিণামের ফলে টানা আট ম্য়াচে অপরাজিত রইল সাউদাম্পটন। গুয়ার্দিওলা দ্রুততম ম্যানেজার হিসেবে ৫০০ প্রিমিয়র লিগ পয়েন্টের মাইলফলক স্পর্শ করলেন এই ম্যাচেই। বর্তমানে দুইয়ে থাকা লিভারপুলের থেকে ১২ পয়েন্ট বেশি, ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রইল ম্যান সিটি। অপরদিকে, ২৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় ১২ নম্বরেই রইল সাউদাম্পটন। প্রসঙ্গত, এই ম্যাচে ড্রয়ের ফলে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটল। নাগাড়ে তৃতীয় বছর লিগের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা সাউদাম্পটনের সেন্ট মেরিজ স্টেডিয়ামে জিততে ব্যর্থ হল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।