টটেনহ্যাম ম্যানেজার হিসেবে ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচেই জয় পেলেন অ্যান্তোনিও কন্তে। তবে দক্ষ লিডস ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে বেশ কাঠখড় পুরিয়েই তিন পয়েন্ট অর্জন করতে হল স্পার্সকে। প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়েও সেয়ানে সেয়ানে ৯০ মিনিটের লড়াইয়ের পর ২-১ গোলে মার্সেলো বিয়েলসার লিডসকে হারায় স্পার্স।
প্রথমার্ধে দুই দলই গোলের জন্য আক্রমণ শানালেও গোলের ভাল সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়। লিডসের হয়ে স্টুয়ার্ট ডেলাস এবং অ্যাডাম ফরশয়ের দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য স্পার্স গোলের বাইরে দিয়ে চলে যায়। তবে একদম শেষের দিকে ৪৪ মিনিটে ড্যানিয়েল জেমসের দৌলতে কাঙ্খিত গোল পেয়ে ম্যাচে এগিয়ে যায় লিডস। ঘরের মাঠে দলকে পিছিয়ে পড়তে দেখে দলের খেলার তীব্র অসন্তুষ্ট স্পার্স সমর্থকরা দলকে তিরস্কার করে নিজেদের ক্ষোভ জাহির করেন।

তবে বর্তমান যুগের অন্যতম সেরা ম্যানেজার কন্তের দলের থেকে বরাবরই লড়াই চালিয়ে ম্যাচে ফেরত আসার আশা করাই যায়। হলও তাই, প্রথমার্ধে হতাশজনক পারফরম্যান্সের পর সাজঘরে ম্যানেজার মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে নতুন উদ্যমে মাঠে নামে স্পার্স। উত্তর লন্ডের ক্লাবের হয়ে দুই তারকা ফরোয়ার্ড হ্যারি কেন এবং সন হিউং-মিন দুইজনেই বল বারে মারেন। ড্যান জেমসেরও একটি শটে ভাল সেভ করেন স্পার্স গোলরক্ষক হুগো লরিস।
ম্যাচের ৫৮ মিনিটে পিয়ের-এমিল হোইবিয়ার শেষমেশ স্পার্সের হয়ে বল জালে জড়াতে সক্ষম হন। ৬৯ মিনিটে স্পার্সের ভাগ্যের চাকা ঘোরে। এরিক ডায়ারের ফ্রি-কিক পোস্টে লেগে ফিরে আসলেও সার্জিও রেগুইলন সবথেকে দ্রুত সেই বল নিজের দখলে নিয়ে স্পার্সের হয়ে নিজের প্রথম গোলটি করেন। ম্যাচে আর কোনো গোল হয়নি। তিন ম্যাচ পরে জয়ের সরণীতে ফিরে কন্তের দল লিগ তালিকায় তিন ধাপ উপরে সাত নম্বরে উঠে আসে। তাদের দখলে রয়েছে ১৯ পয়েন্ট। ১১ পয়েন্ট নিয়ে ১৭ নম্বরে রয়েছে লিডস। পরের হপ্তায় লিগে স্পার্স খেলবে বার্নলের বিরুদ্ধে, লিডসের প্রতিপক্ষ ব্রাইটন।