বাংলা নিউজ > ময়দান > ফুটবলের মহারণ > মারাও যেতে পারতেন এরিকসেন, এমনই দাবি তাঁর প্রাক্তন ক্লাবের ভারতীয় চিকিৎসকের

মারাও যেতে পারতেন এরিকসেন, এমনই দাবি তাঁর প্রাক্তন ক্লাবের ভারতীয় চিকিৎসকের

ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন। ছবি: রয়টার্স

টটেনহ্যামে থাকার সময়ে নাকি ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন পুরো সুস্থই ছিলেন। এমনটাই দাবি করেছেন, ডাক্তার সঞ্জয় শর্মা।

ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের প্রাক্তন ক্লাবের ডাক্তার তাঁর অসুস্থতার ঘটনায় কিছুটা অবাকই হয়েছেন। টটেনহ্যামে থাকার সময়ে নাকি তিনি পুরো সুস্থই ছিলেন। এমনটাই দাবি করেছেন, ডাক্তার সঞ্জয় শর্মা। 

তবে শনিবার মাঠে যে রকম পরিস্থিতি হয়েছিল এরিকসেনের, তার পরে তাঁর বেঁচে যাওয়াটাই বড় বিষয় বলে মনে করছেন সঞ্জয়। তিনি বলেছেন, ‘ওকে সিপিআর দেওয়া হয়েছিল। সেটা দেখার পরেই মনে হয়েছিল, ওঁর হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ও বলটার দিকে দৌড়ানোর সময়েই কিন্তু মনে হল, টাল খেয়েছিল। ওর পা আর চলছিলই না। এর পরেই ও পড়ে যায়। কিছু ক্ষণের জন্য ছটফটও করে।’

সে সময় গোটা বিশ্বের মতো কেঁপে উঠেছিলেন ডাক্তার সঞ্জয়ও। তিনি বলেন, ‘একেবারে ঠিক সময়ে সিপিআর দেওয়া হয়েছে, তা না হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। এই ক্ষেত্রে বাঁচার সম্ভবনা থাকে মাত্র ৭ শতাংশ।’ তবে সকলের প্রার্থনায় এখন স্থিতিশীল রয়েছেন এরিকসেন। 

২০২০ সালে টটেনহ্যাম ছেড়ে ইন্টার মিলানে চলে যান এরিকসেন। টটেনহ্যামের হয়ে ২২৬টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। গোল করেছেন ৫১টি। ২০১২ সালের এফএ কাপে ম্যাচ চলার সময়ে আচমকাই হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মাঠেই লুটিয়ে পড়েছিলেন ফাব্রিস মুয়াম্বা। তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও, মাত্র ২৪ বছর বয়সেই ফুটবল ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। ২৯ বছরের এরিকসেন যাতে আবার সুস্থ হয়ে ফুটবল মাঠে ফিরতে পারেন, তার জন্য প্রার্থনা করছে গোটা ফুটবল বিশ্ব।

বন্ধ করুন