টাইব্রেকারে ফের হারল স্পেনের। এনরিকের আশঙ্কা সত্যি করে আবারও টাইব্রেকারে ব্যর্থ হলেন বুসকেটসরা। এর আগে বিশ্বকাপের টাইব্রেকারে চার বারের মধ্যে তিন বারই হেরেছিল স্পেন। সেই তালিকায় যোগ হল ২০২২ সালটাও। প্রি-কোয়ার্টারে মরক্কোর কাছেও হারতে হলে পেনাল্টি শুট-আউটে। এমন কী গত ইউরোতে টাইব্রেকারে হারতে হয়েছিল স্পেনকে। তাই দলকে ১হাজারের বেশি পেনাল্টি অনুশীলন করিয়েছেন স্পেনের কোচ। তবু শেষ রক্ষা হল না। এ দিন স্পেন টাইব্রেকারে একটি শটও গোলে মারতে পারেনি। মরক্কো একটি মিস করলেও বাকি তিনটি শট গোলে মেরে ম্যাচ জিতে যায়। প্রথম বার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে লিখে ফেলে ইতিহাস।
কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে ইতিহাস মরক্কোর
কী অঙ্ক কষেই না ফুটবলটা খেলল মরক্কো। পুরো ১২০ মিনিট তারা স্পেনকে খেলতে দিয়েছে। যত খুশি পাস খেলেছে স্পেন। বলে পজেশনে এগিয়ে ছিল এনরিকের দল। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে দেয়নি মরক্কো। বুটের জঙ্গলে বারবার প্রতিহত হয়েছে স্পেনের যাবতীয় আক্রমণ। ১২০ মিনিট স্পেনকে আটকে রেখে গোলশূন্য ভাবে শেষ করেছে। সেই সঙ্গে তারা ম্যাচ নিয়ে গিয়েছে টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে স্পেনের দুর্বলতার কথা তারা ভালো ভাবেই জানত। সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে বাজিমাত করেছে স্পেন।
টাইব্রেকার চলছে
মরক্কো: সাবেরি প্রথম শট নেন। গোল করতে ভুল করেননি সাবেরি।স্পেন: পাবলো সারাভিয়া। পোস্টে লাগল শট।মরক্কো: জিয়েজ দ্বিতীয় শট নেন মরক্কোর হয়ে। গোওওওলললল।স্পেন: কার্লোস সোলারের শট বাঁচালেন বোনো।মরক্কো: তৃতীয় গোলটি বাঁচান সিমন।স্পেন: এ বার বুসকেটসের শটও বাঁচালেন বুনো।মরক্কো: হাকিমি স্কোর করে দিলেন। জিতে গেল মরক্কো। আরও এক বার টাইব্রেকার থেকে ছিটকে গেল স্পেন।
অতিরিক্ত সময়েও খেলার ফল গোলশূন্য
নির্দিষ্ট সময়ের পর অতিরিক্ত সময়েরও খেলার ফলও গোলশূন্য। স্বাভাবিক ভাবেই ম্যাচ গড়াল টাইব্রেকারে।
এখনও ফল গোলশূন্য
১১৬ মিনিট অতিক্রান্ত। দুই দলই লড়াই চালাচ্ছে। আক্রমণে উঠছে। মরক্কোর চেদিরা বা স্পেনের মোরাতারা আক্রমণ তো করছে। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারছে না কোনও টিমই।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের ফলও গোলশূন্য
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের খেলা শেষ। এখন বরং ম্যাচটির গতি অনেক বেড়েছে। তবে খেলার ফল সেই গোলশূন্য। আরও ১৫ মিনিট অতিরিক্ত সময়ের খেলা হবে।
চেদিরার বড় মিস, খেসারত না দিতে হয় মরক্কোকে
১০৪ মিনিট: বড় মিস করে বসলেন চেদিরা। এই গোলটা হয়ে গেলে স্পেন খেলায় ফিরতে পারত না হয়তো বা। গোলের একেবারে সামনে দাঁড়িয়েও ঠিক করে শটটাই নিতে পারলেন না। সিমনের পায়ে প্রতিহত হল শটটি। এটি গোল হওয়া উচিত ছিল। এই মিসের জন্য ভালো খেলেও, চেদিরাকে না আফসোস করতে হয়।
গোল পেতে মরিয়া স্পেন
১০১ মিনিট: স্পেন একটি গোলের জন্য মরিয়া। মরক্কো পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করছে। ম্যাচটির গতি বেড়েছে অতিরিক্ত সময়ে এসে।
মোরাতার মিস
৯৬.৪১: উইলিয়ামস বল রিসিভ করেন এবং ডান দিক থেকে ক্রস করেন! আশ্চর্যজনক ভাবে মাপা ক্রস পেয়েও মোরাতা বলের সঙ্গে সংযোগ করতে ব্যর্থ হয়!
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের খেলা শুরু
শুরু হয়ে গেল অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের খেলা। এই ত্রিশ মিনিটে গোলের মুখ খুলবে, নাকি টাইব্রেকারে গড়াবে ম্যাচ?
নির্দিষ্ট সময়ের খেলার ফল গোলশূন্য, খেলা গড়াল অতিরিক্ত সময়ে
নির্দিষ্ট সময়ে গোলের মুখ খুলতে পারল না কোনও দলই। নির্দিষ্টি সময়ে খেলার ফল গোলশূন্য। অতিরিক্ত সময়ে গড়াল ম্যাচ। এর আগে সোমবার ক্রোয়েশিয়া-জাপান ম্যাচও অতিরিক্ত সময়ে গড়িয়েছিল। তাতেও খেলার ফল ছিল অমীমাংসিত। টাইব্রেকারে গড়িয়েছিল ম্যাচ। যে ম্যাচে জাপানকে রুখে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে ক্রোয়েশিয়া। এই ম্যাচে কী হতে চলেছে?
মোরাতার আক্রমণ, মরক্কোর পরিবর্তন
৮১ মিনিট: বক্সের ডান দিক থেকে উইলিয়ামসের একটি পাস। মোরাতা বলটি ধরে বক্সের দিকে এগোয়। কিন্তু গোলের জন্য পাস বাড়ানোর কাউকে পায়নি। সুযোগ তৈরি হয়েও কাজে লাগল না।এ দিকে মরক্কোর জোড়া পরিবর্তন। মাজরাউইয়ের পরিবর্তে নামলেন ইয়াহিয়া। আমাল্লার পরিবর্তে নামেন চেদিরা।
গোলের দেখা নেই
৮০ মিনিট: মরক্কো একেবারে হিসেব কষে খেলছে। তারা স্পেনকে ৮০ মিনিট আটকে রেখেছে। এমনিতেই টাইব্রেকারের ইতিহাস স্পেনের জন্য চাপের। যদি ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ায়, তা হলে কিন্তু এনরিকের দল চাপেই পড়বে। আর ম্যাচটা সেই দিকেই নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে মরক্কো।
মরক্কোর পরিবর্তন
বাঁ-দিকের উইংয়ে পরিবর্তন করল মরক্কো। বাউফলের পরিবর্তে নামলেন এজালজৌলি।
জোড়া পরিবর্তন স্পেনের
৬৩ মিনিট: ২টি পরিবর্তন করল স্পেন। গাভির জায়গায় নামলেন সোলার। অ্যাসেনসিও-র জায়গায় নামলেন মোরাতা। মোরাতা কি সুপার-সাব রোলে অবতীর্ণ হবেন?
সুযোগ নষ্ট স্পেনের
৫৫ মিনিট: অ্যাসেনসিও ফ্রি-কিক থেকে ওলমোকে পাস দেন। ওলমোর শট…কিন্তু গোল হল না। মরক্কোর গোলরক্ষক পাঞ্চ করে বলটি বের করেন। গোলের মুখ এখনও খুলল না। দ্বিতীয়ার্ধেও স্পেন সে ভাবে কিছু করে উঠতে পারছে না। স্পেনের ম্যাচ খুব ভালো ভাবে রিড করেছে মরক্কো। তিকিতাকার জালেই আটকে স্পেন। তাদের খেলার কোনও গতিই নেই।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
গোলশূন্য ভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে স্পেন গোল না পেলে চাপ বাড়বে। মরক্কোো কিন্তু চাইবে কাউন্টার অ্যাটাকে গোল তুলতে। সেটা ভুললে কিন্তু বড় বিপদ ডেকে আনবে স্পেন।
বিরতিতে খেলার ফল গোলশূন্য
প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিট হয়ে গেল। কেউই গোলের মুখ খুলতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে কিন্তু গোল করাটা খুব দরকার। স্পেনের এমনিতেই টাইব্রেকার আতঙ্ক রয়েছে। তাই তারা গোল না পেলে চাপ বাড়বে। মরক্কোর ক্ষেত্রেও লড়াইটা সহজ হবে না।
মরক্কোর বুটের জঙ্গলে আটকে স্পেন
৪০ মিনিট: ১১ জন প্লেয়ার মিলে রক্ষণ সামলাচ্ছেন মরক্কোর। স্পেন আক্রমণে উঠলেও মরক্কোর বুটের জঙ্গলে আটকে যাচ্ছে। তবে যে ভাবে আক্রমণ তারা করে চলেছে, তাতে কতক্ষণ ডিফেন্স সামলাতে পারবে মরক্কো, সেটাও প্রশ্ন।মরক্কো কিন্তু খুব দৌড়চ্ছে। যেমন তারা ১১ জন মিলে ডিফেন্স করছে, তেমনই কাউন্টার অ্যাটাকে খুব দ্রুত উঠছে। এটা কিন্তু বড় বিষয়। এ ভাবে তারা একটি গোল তুলে নিলে চাপে পড়ে যাবে স্পেন। গোলশোধ করা কঠিন হবে।
সিমনের ভালো সেভ
৩৩ মিনিট: তোরেসের থেকে বলটি ছিনিয়ে নেন মাজরাউই। এবং তার পর বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নেন তিনি। সিমন কোনও মতে সেভ করেন।
বাজে মিস স্পেনের
২৬ মিনিট: অ্যাসেনসিও নেটের সাইডে ধাক্কা দেন। বাজে মিস। গোল হওয়া উচিত ছিল।
স্পেনের আক্রমণ
২৫ মিনিট: স্পেনের গোল করা উচিত ছিল। যাইহোক অফসাইড তুলেছেন সহকারী রেফারি। বোনোর থেকে পাস পেয়ে গাভি বারে আঘাত করে। একবার নয়, বারে দু'বার আঘাত লাগে। গোল হয়নি। অফসাইডও ছিল।
সুযোগ নষ্ট জিয়েচের
২২ মিনিট: ডানদিক থেকে জিয়েচের বাজে ফ্রি-কিক, ওলমো হেড করে বিপদমুক্ত করেন।
হাকিমির বড় সুযোগ নষ্ট
১২ মিনিট: হাকিমির বড় সুযোগ ছিল! তিনি মরক্কোর হয়ে ফ্রি-কিক নেন। তবে ক্রসবারের উপর দিয়ে বের হয়ে যায়।
স্পেনের আক্রমণ
৪ মিনিট: পেদ্রি মরোক্কোর ডিফেন্ডারদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পাাস দেব গাভিকে। তিনি বলটি নিয়ন্ত্রণ করে গোলে ঢোকানোর আগেই ক্লিয়ার করে দেয় মরক্কো।
খেলা শুরু
মরক্কোর বিরুদ্ধে বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে নেমে পড়ল মরক্কো।
মরক্কো আত্মবিশ্বাসী
মরক্কো কঠিন গ্রুপ থেকে নকআউটে কোয়ালিফাই করেছে। বেলজিয়ামের মতো হেভিওয়েট দলকে ছিটকে দিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাসী তারা স্পেন ম্যাচের আগে। তাদের কোচ রেগাগ্রুইয়ের বক্তব্য, ‘৩৬ বছর মরক্কো এমন পর্যায়ে বিশ্বকাপে খেলেনি। তাও আবার অপরাজিত থেকে। স্বাভাবিকভাবে ফুটবলারদের মধ্যে একটা উত্তেজনা কাজ করছে। স্পেনকে হারিয়ে আরও বড় ইতিহাস গড়ার পথে হাঁটার কথা কেন ভাবব না? বেলজিয়াম, ক্রোয়েশিয়াকে আটকে এ জায়গায় এলে স্পেনকে কেন হারানো যাবে না?’ মরক্কো কোচ ও ফুটবলারদের বড় ভরসা তাঁদের সমর্থকরা। ইতিমধ্যেই দেশ থেকে দলে দলে সমর্থক খেলা দেখতে ভিড় জমিয়েছেন। আর তাঁদের মাঠে ঢোকার সুযোগ দিতে চাহিদা মেটাতে ৫০০০ অতিরিক্ত টিকিট বিক্রি করেছে ফিফা মরক্কো সমর্থকদের মাঝে।
স্পেনের হাল
জাপানের কাছে গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে ১–২ গোলে হারের পর লুই এনরিকে তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন। তবু নিজের দলের খেলায় কৌশলে কোনও বদল আনতে নারাজ স্পেন কোচ। তিনি ঝাঁপ বন্ধ করে গোলের জন্য ঝাঁপানোর পক্ষপাতী নন। মরক্কোর বিরুদ্ধেও আক্রমণাত্মক ছক সাজাবেন গাভি, মোরাতা, পেড্রিদের সামনে রেখে। তবে কার্ড সমস্যার কারণে মাঝমাঠে বুসকেটসকে ব্যবহার নাও করতে পারেন তিনি। এনরিকে জানালেন, ‘জাপান ম্যাচে ১০ মিনিটের বাজে খেলা, ফুটবলারদের মনঃসংযোগের অভাব ভুগিয়েছে। মরক্কো ম্যাচে তার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সেটা বারবার বলেছি ফুটবলারদের।’