বাংলা নিউজ > ময়দান > ফুটবলের মহারণ > Euro 2020: ফুটবলের লজ্জা, ডেনমার্ক ফ্যানদের অকারণে মারধর করলেন ব্রিটিশ সমর্থকেরা

Euro 2020: ফুটবলের লজ্জা, ডেনমার্ক ফ্যানদের অকারণে মারধর করলেন ব্রিটিশ সমর্থকেরা

ছেলে এবং স্বামীর সঙ্গে ইভা।

ইউরোর সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড জেতার পরেও ডেনমার্ক সমর্থকদের হেনস্থা করে একদল ফুটবল সমর্থক। এই ঘটনা নিঃসন্দেহে বিশ্ব ফুটবলের লজ্জা।

একেই স্বপ্ন ভঙ্গের যন্ত্রণা ছিল। তার উপর আবার ইংল্যান্ড সমর্থকদের হেনস্থার জেরে ইউরোর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রাতটা ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল ডেনমার্ক সমর্থকের পরিবারের কাছে। ৪৩ বছরের ইভা গ্রিনি তাঁর ৯ বছরের ছেলে হেনরি এবং স্বামী লেনকে নিয়ে ইংল্যান্ড বনাম ডেনমার্ক ম্যাচ দেখতে ওয়েম্বলিতে গিয়েছিলেন। সেই ম্যাচ থেকে ফেরার পথেই ভয়ানক এক ঘটনার সম্মুখীন হন ইভা এবং তাঁর পরিবার।

ঘটনার বর্ণণা দিতে গিয়ে প্রথমেই ইভা বলেছেন, ‘মনে হচ্ছিল যেন কোনও জম্বি মুভি দেখছি।’ ওয়েম্বলিতে থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাঁদের বাস ঘিরে ফেলেছিলেন একদল ইংল্যান্ড সমর্থক। ইভার স্বামীকে ব্রিটিশ সমর্থকেরা মারধর করতে শুরু করেন। যা দেখে ভয়ে কুঁকড়িয়ে ওঠে ৯ বছরের ছেলে। সেখান থেকে সে পালিয়ে যায়।

ইভার বর্ণণাতে জানা গিয়েছে, তারা যখন বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন, তখন সেই রাস্তায় একদল ইংল্যান্ড সমর্থক ট্র্যাক থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে রাস্তায় নামছিলেন। যে কারণে তাঁদের বাসটা স্লো করে দিতে হয়। ইভারা ডেনমার্কের টি-শার্ট পরেছিলেন। গালে দেশের পতাকার আঁকা ছিল। বাসের নীচের দিকে ইভারা বসেছিলেন বলে জানলার বাইরে থেকে সেটা ব্রিটিশ সমর্থকেরা দেখতে পেয়ে যান। সেটা দেখেই বাসের জানলায় জোরে জোরে ধাক্কা দিতে থাকেন তাঁরা। এবং পাগলের মতো চিৎকার করতে থাকেন। ইভা বলছিলেন, ‘আমার ছেলে তখন ঘুমিয়ে পড়েছিল। এ রকম পরিস্থিতির মাঝে ওর ঘুম ভেঙে যায়। আমার থেকে জানতে চায়, ওরা (ব্রিটিশ সমর্থকেরা) কেন এমন করছে? আমার কাছে কোনও উত্তর ছিল না।’

এ দিকে বাসের চালক কিছু না বুঝেই দরজা খুলে দেয়। পরিস্থিতি অন্য দিকে গড়াতে পারে ভেবে, ইভারা ইংল্যান্ডের সমর্থকদের আগেভাগেই সেমিফাইনালে জেতার জন্য শুভেচ্ছা জানান। কিন্তু এতে হিতে বিপরীত হয়। উল্টে ইভাদের উপর আক্রমণ করে বসেন ব্রিটিশ সমর্থকেরা। ইভার ছেলে ভয়ের চোটে বাসের উপরের দিকে পালিয়ে যায়। ইভাও ছেলের পিছনে যান। সে সময়ে তাঁর স্বামী লেনকে ধরে মারধর শুরু করে দেন ইংল্যান্ডের সেই সমর্থকেরা। কোনও ক্রমে সেখান থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন তাঁরা।

তবে সেই রাতের আতঙ্ক এখনও কাটেনি তাঁদের। ইভা বলেছেন, ‘ফাইনালের দিন ইতালির সমর্থক বন্ধুদের বলব, খেলা শেষ হওয়ার পরে যেন রাস্তায় না বের হয় তারা। পুলিশেরও উচিত, আরও বেশি নজরদারী চালানো। কারণ সেই দিন কিন্তু আরও ভয়ানক কিছু ঘটে যেতে পারে।’

বন্ধ করুন