শুভব্রত মুখার্জি:
∆ সুইজারল্যান্ড :- ৩ ( সেফেরোভিচ,সাকিরি ২) ∆ তুরস্ক :- ১ ( কাভেসি)
আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে যখন গ্রুপ - এ'র ম্যাচে তুরস্কের বিরুদ্ধে মুখোমুখি হয় জার্দান সাকিরির সুইজারল্যান্ড তখন তাদের সামনে একটাই পথ কার্যত খোলা ছিল পরের রাউন্ডে যাওয়ার জন্য আর তা হল সরাসরি জয় এবং অবশ্যই তা যতটা সম্ভব বড় ব্যবধানে। আর তাদের তাকিয়ে থাকতে হত ইতালি বনাম ওয়েলস ম্যাচের ফলের দিকে। সেখানে ইতালির কাছে ওয়েলস হারলে এবং তারা নিজেদের ম্যাচ বড় ব্যবধানে জিতলে পরের নক আউট রাউন্ডে যাওয়ার পথ তাদের জন্য খুলে যেত। এছাড়া তাদের অপেক্ষা করতে হবে ইউরোর সেরা চার তৃতীয় দলের মধ্যে একটা জায়গা নিশ্চিত করে পরের রাউন্ডে যেতে। সেক্ষেত্রে ও তাদের এই ম্যাচ জয় অত্যন্ত জরুরি ছিল আর সেই ম্যাচেই তুরস্কের বিরুদ্ধে কাঙ্খিত ফল অর্জন করল সুইজারল্যান্ড।
এই ম্যাচে নামার আগে সুইজারল্যান্ড ,ওয়েলসের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচ ড্র করার ফলে তাদের পকেটে ছিল একটি পয়েন্ট । অপরদিকে একটি ড্র এবং তুরস্কের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচ জয়ের ফলে তাদের পকেটে ছিল ৪ পয়েন্ট। হাকান সুকুর,হাসান সাসদের দেশ তুরস্কের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে সুইজারল্যান্ড। প্রথর্মাধের ৬ মিনটের মাথাতেই সাকারিরা,ডেমিরালদের প্রতিরোধ ভেঙে ফেলেন। সেফেরোভিচের গোলে ১-০ ফলে এগিয়ে যায় তারা। পেনাল্টি বক্সের মাথায় বল ক্লিয়ার করতে অসমর্থ হয় তুরস্কের ডিফেন্ডাররা। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বক্সের মাথা থেকে জোরালো নিচু শটে সুইজারল্যান্ডকে এগিয়ে দেন। ১৫ মিনিটে তুরস্ক গোল শোধ করার একটি ভাল সুযোগ পায় । কিন্তু সুইজারল্যান্ডের গোলরক্ষক সমার একটি অসাধারণ সেভ করেন। চোখের পলক ফেলতে না ফেলতেই পেনাল্টি বক্সের মাথা থেকে বা পায়ের দুরন্ত শটে ২৬ মিনিটের মাথায় ফের এক দুরন্ত গোল করে সুইজারল্যান্ডের লিড দ্বিগুন করেন সাকিরি। ২-০ তে এগিয়ে যায় সুইজারল্যান্ড। ৩৮ মিনিটে এমবোলো ৩-০ গোলে এগিয়ে দেয়ার সুযোগ পান সুইজারল্যান্ডকে। কিন্তু তার নেয়া শটটি গোলের মুখের একেবারে সামনে থেকে বেকে বাইরে বেরিয়ে যায়। ফলে ২-০ স্কোরলাইন নিয়েই বিরতিতে যায় সুইজারল্যান্ড।
বিরতি থেকে ফেরার পরে আক্রমনের ঝাঁঝ বাড়ায় সুইজারল্যান্ড। একের পর এক আক্রমন উঠে আসে তুরস্কের ডিফেন্সে। এর মাঝেই সুযোগ বুঝে প্রতি আক্রমন তুলে আনে তুরস্ক। ৬২ মিনটে ফল ও পায় তারা। তাদের হয়ে গোল করে কাভেসি ২-১ করেন স্কোরলাইন। গোল হজম করার সাথে সাথেই আক্রমনের ধার বাড়ায় সুইজারল্যান্ড। ঠিক ৬ মিনিট বাদে ৬৮ মিনিটের মাথায় লিভারপুলের সাকিরি ফের স্বমহিমায় ধরা দেন। বা দিকের উইং থেকে করা একটি নিচু ক্রস ধরেই সময় নষ্ট না করে শট নেন সাকিরি। বল জড়িয়ে যায় তুরস্কের জালে। ৩-১ ফলে লিড নেয় সুইজারল্যান্ড। এরপর বেশ কয়েকটি সুযোগ পায় সুইজারল্যান্ড। কিন্তু ফিনিশ করা সম্ভব হয়নি এমবোলোদের পক্ষে। ফলে অবশেষে ৩-১ ফলেই ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়তে হয় সাকিরিদের। পরবর্তী নক আউট রাউন্ডে যাওয়ার জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হবে ইউরোর পরবর্তী ম্যাচগুলির ফলাফলের দিকে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।