২০০৪ সালের পর প্রথমবার উয়েফা ইউরোপা লিগে মাঠে নেমে নাপোলির বিরুদ্ধে রাউন্ড অফ ৩২-র প্রথম লেগে ঘরের মাঠে নাপোলির সঙ্গে ১-১ ড্র করেছিল বার্সেলোনা। তবে ফিরতি লেগে ইতালির ক্লাবকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ফের পরবর্তী রাউন্ডে নিজেদের জায়গা পাকা করল স্প্যানিশ জায়ান্টসরা।
ম্যাচের মাত্র ১৩ মিনিটেই দুই গোলে এগিয়ে যায় কাতালান ক্লাব। বার্সার হয়ে প্রতিআক্রমণ থেকে প্রথম গোল করেন জর্দি আলবা। তার পাঁচ মিনিট পরেই বাঁক খেওয়ানো এক দুর্দান্ত শটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন ফ্রাঙ্কি ডি'জং। নাপোলি অধিনায়ক লরেঞ্জো ইনসিনিয়া ২৩ মিনিটে পেনাল্টি স্পট থেকে ব্যবধান অর্ধেক করলেও প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে জেরার্ড পিকে গোল করে বার্সাকে আবার দুই গোলে এগিয়ে দেন।
গত ম্যাচে প্রথম ফুটবলার হিসাবে ইউরোপের চার সেরা লিগে (ফরাসি লিগ, বুন্দেশলিগা, প্রিমিয়র লিগ ও লা লিগা) হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন পিয়ের-এমরিক অবামেয়াং। ৫৯ মিনিটে গোল করে তিনি নিজের ফর্ম অব্যাহত রাখলেন। নাপোলির হয়ে পরিবর্ত হিসাবে মাঠে নামা ম্যাটেও পলিটানো ৮৭ মিনিটে একটি গোল করলেও, তা সান্ত্বনা পুরস্কার ছাড়া আর কিছুই ছিল না।

তবে বার্সা পারলেও, বরুসিয়া ডর্টমুন্ড পারল না। ঘরের মাঠে রেঞ্জার্সের বিরুদ্ধে বিস্ময়করভাবে ৪-২ হারার পর, মার্কো রইস, জুড বেলিংহ্যামদের জন্য কাজটা এমনিতেই বেশ কঠিন ছিল। আরলিং হালান্ডের অনুপস্থিতিতে দ্বিতীয় লেগে ২-২ ড্র করে ইউরোপা লিগ থেকেও ছিটকে গেল ডর্টমুন্ড। রেঞ্জার্সের হয়ে জেমস ট্যাভেনির পেনাল্টি স্পট থেকে ২২ মিনিটে ম্যাচের প্রথম গোলটি করেন।
তবে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই বেলিংহ্যাম (৩১ মিনিট) ও ডনিয়েল মালেনের (৪২ মিনিট) গোলে ম্যাচে কামব্যাক করার কিছুটা আশা জাগে ডর্টমুন্ডের। তবে ৫৭ মিনিটে ট্যাভেনির আবারও স্কটিশ দলের হয়ে গোল করে ম্যাচে রেঞ্জার্সকে সমতায় ফেরান। ম্যাচে আর কোনো গোল হয়নি। দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৪ ব্যবধানে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল জার্মান জায়ান্টস ডর্টমুন্ড।

অন্যান্য ম্যাচে, ১০ জনের সেভিয়ার বিরুদ্ধে ডিনামো জাগরেভ ১-০ জিতলেও ৩-১ টাই হারে। আরবি লাইপজিং ৩-১ (৫-৩ দুই লেগ মিলিয়ে) রিয়াল সোসিয়েদাদকে হারায়। রিয়াল বেটিস এবং রাশিয়ার জেনিট সেন্ট পিটার্সবার্গের ম্যাচ ড্র হওয়ায়, গত ম্যাচে ৩-২ জেতায় পরের রাউন্ডে কোয়ালিফাই করে রিয়াল বেটিস। লাজিওর সঙ্গে ২-২ ড্র (৩-৪ দুই লেগ মিলিয়ে) করে টাই জেতে পোর্তো।
আটালান্টার হয়ে অলিম্পিয়াকোসরে বিরুদ্ধে জোড়া গোল করে ইউক্রেন মিডফিল্ডার রুসান ম্যালিনোভস্কি দলকে ৩-০ (১-৫ দুই লেগে) জয় এনে দেন। বর্তমান পরিস্থিতির ভিত্তিতে গোল করে তিনি ‘নো ওয়ার ইন ইউক্রেন’ লেখা তাঁর আন্ডারশার্টও প্রদর্শন করেন। আর ব্রাগার বিরুদ্ধে দুর্ধর্ষ লড়াই করেও পেনাল্টিতে ৩-২ হেরে শেরিফ টেরিসপোলের (প্রথম লেগে ২-০ জয়ী, দ্বিতীয় লেগে ০-২ হার) এক ঐতিহাসিক ইউরোপ সফর শেষ হয়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।