২০০২ সালে সুনীল ছেত্রীর বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর। এই কলকাতা থেকেই ফুটবল জীবন শুরু করে ছিলেন সুনীল ছেত্রী। প্রথম ক্লাব মোহনবাগান। সেই সুনীল ছেত্রী এখন দেশের ফুটবলের গর্ব হয়ে উঠেছেন। জীবনের প্রথম কয়েকটা বছর মোহনবাগানে সেভাবে খেলার সুযোগ পাননি সুনীল ছেত্রী। ফলে তার সেভাবে ডার্বি খেলা হয়নি। সুনীল ছেত্রীর মধ্যে আজও সেই আক্ষেপ রয়ে গেছে। এদিন এক নিউজ চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে সুনীল ছেত্রী জানান, ‘ডার্বি অনেক কম খেলেছি। জীবনের প্রথম কয়েক বছর মোহনবাগানে সেভাবে খেলার সুযোগ পাইনি। পরে যখন ফিরে এলাম, তখন মোহনবাগানে ১ বছর আর ইস্টবেঙ্গলে ১ বছর ছিলাম। আমি ভাগ্যবান যে, ২ দলের হয়েই খেলেছি।’
আরও পড়ুন: পুসকাসের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েও ভাবলেশহীন সুনীল, প্রশংসায় ভরালেন তরুণদের
বাইচুং, ব্যারেটোদের পাশে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে সুনীল ছেত্রী বলেন, ‘মাঠ ও মাঠের বাইরে ওদের পর্যবেক্ষণ করতাম। আমি কখনও কোন অ্যাকাডেমিতে খেলিনি। দিল্লি থেকে সোজা কলকাতায় চলে এসেছিলাম। ফলে খেলার খুঁটিনাটি ব্যাপারগুলি বোঝা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বাইচুংয়ের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। নতুনদের খুব উৎসাহ দিত। আমাদের সঙ্গে যে ব্যবহার করত, সেটা দুর্দান্ত। এখন আমি জুনিয়রদের সঙ্গে আমার ব্যবহারে সেই জিনিসটা আনার চেষ্টা করি।’ এখনও ডার্বিতে হ্যাট্রটিক করারও স্বপ্ন দেখেন তিনি!
আরও পড়ুন: পুসকাসের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েও ভাবলেশহীন সুনীল, প্রশংসায় ভরালেন তরুণদের
হংকং ম্যাচ জিতে নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে কলকাতার দর্শকদের জন্য বিশেষ বার্তা দিয়েছিলেন সুনীল ছেত্রী। এদিন চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে সুনীল জানান, ‘'এটা বললে ভুল হবে না যে, দর্শকদের জন্যই ভালো খেলতে পেরেছি। প্রথম ম্যাচের পর শুনেছিলাম, টিকিট নিয়ে সমস্যা হয়েছে। হয়তো দর্শকরা আসবেন না। প্রথম ম্যাচে আমরা যেভাবে খেলেছি আর পরে দুটি ম্যাচে যে অভ্যর্থনা পেয়েছি, তা অসাধারণ।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।