ছয় বছরে নিজেদের পঞ্চম এফএ কাপ ফাইনালে পৌঁছনোর লক্ষ্যে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে নেমেছিল চেলসি। খাতায় কলমে চেলসি এই ম্যাচে এগিয়ে থাকলেও বদ্ধপরিকর ক্রিস্টাল প্যালেসের বিরুদ্ধে জিততে গিয়ে কার্যত কালঘাম ছুটল টমাস টুচেলের চেলসির। তবে অবশেষে ২-০ ম্যাচ জিতে লিভারপুলের বিরুদ্ধে ফাইনালের টিকিট বুক করল তারা।
জমাটি রক্ষণ ও দুর্দান্ত মানসিকতার ক্রিস্টাল প্যালেসের বিরুদ্ধে চেলসি কিন্তু প্রথমার্ধে খুব একটা আহামরি খেলেনি। ২৫ মিনিটে কাই হ্যাভার্টসের প্রথম বড় সুযোগ তৈরি করলেও তাঁর হেডার সহজেই দস্তানাবদ্ধ করেন প্যালেস কিপার জ্যাক বাটলান্ড। সেজার অ্যাজপিলিকুয়েটার গোলে করার প্রয়াশও ব্যর্থ হয়। তবে প্রথমার্ধের শেষের দিকে বরং প্যালেসই এগিয়ে যাওয়ার বড় সুযোগ পায়। চিক ক্যুয়াটের শট চেলসি কিপার এডুয়ার্ড মেন্ডি সেভ করার পর ফিরতি বল থেকে জোয়াকিম অ্যান্ডারসনের শট বারে লেগে ফেরে। প্রথমার্ধ গোলশূন্যই শেষ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে ক্যুয়াটের হেডার অল্পের জন্য চেলসি গোলের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে গেলেও, বল দখলের লড়াইয়ে কিন্তু ব্লুজরাই এগিয়ে ছিল। অনেক দহরম-মহরমের পর, ৬৫ মিনিটে হ্যাভার্টসের পাস থেকে আহত ম্যাটিও কোভাসিচের বদলে মাঠে নামা, প্রাক্তন প্যালেস মিডফিল্ডার রুবেন লফটাস-চিক জোরালো শটে এক তুখড় গোল করে টুচেলের দলকে এগিয়ে দেয়। ৭৬ মিনিটে মেসন মাউন্ট চেলসির লিড দ্বিগুন করার পর আর ম্যাচ হাতছাড়া হতে দেয়নি ব্লুজরা।
এর ফলে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এক ঘরোয়া কাপ (লিগ কাপে পেনাল্টিতে হারে চেলসি) প্রতিযোগিতায় ফের লিভারপুলের মুখোমুখি হবে টুচেলের দল। ২০১২ সালে লিভারপুলের শেষ এফএ কাপ ফাইনালেও চেলসিই ছিল প্রতিপক্ষ। সেবার তারা ২-১ খেতাব জিতেছিল। গত দুই বছরে আর্সেনাল এবং লেস্টার সিটির বিরুদ্ধে ফাইনালে হারার পর, এবারের এফএ কাপে পুনরায় একবার এক দশক আগের ফলাফলেরই আশায় থাকবে চেলসি। প্রসঙ্গত, এই নিয়ে টুচেলের অধীনে ষষ্ঠবার কোনও টুর্নামেন্টের ফাইনালে পৌঁছল চেলসি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।