FIFA WC 2022: হারের পরেই সরগরম পর্তুগাল শিবির, কোচকে কটাক্ষ রোনাল্ডোর বান্ধবীর

রোনাল্ডোকে কোয়ার্টার ফাইনালেও রিজার্ভ বেঞ্চে বসতে হয়েছিল। ৫১ মিনিটে তাঁকে নামান পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস। তবে রোনাল্ডো কিছু করে উঠতে পারেননি। প্রসঙ্গত, সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচেও একাদশের বাইরে তাঁর জায়গা হয়েছিল।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এবং বান্ধবী জিওর্জিনা রদ্রিগেস।

শনিবার কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর কাছে ০-১ গোলে হেরে ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ থেকে ছিটকে গিয়েছে পর্তুগাল। ম্যাচের ৪২ মিনিটে এন নাসেরির একমাত্র গোলেই জয় ছিনিয়ে নেয় মরক্কো। এই জয়ের ফলে মরক্কো প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠল।

যাইহোক বিশ্বকাপ থেকে এই ভাবে মরক্কোর কাছে হেরে ছিটকে যাওয়াটা হজম করতে পারেননি পর্তুগালের তারকা স্ট্রাইকার ক্রিশ্চিয়ানো রোলান্ডো। এই নিয়ে পাঁচ বার বিশ্বকাপ খেলে ফেললেও, কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেননি তিনি। ৩৭ বছর হয়ে গেল সিআরসেভেনের। পরের বিশ্বকাপে আদৌ কি তাঁর পক্ষে খেলা সম্ভব? এই সব নিয়ে জল্পনা চলছে। তবে শনিবার রাতে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর নিজেকে সামলাতে পারেননি রোনাল্ডো। প্রকাশ্যেই হাপুস নয়নে কেঁদে ফেলেন তিনি।

তাঁকে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচেও রিজার্ভ বেঞ্চেই বসতে হয়েছিল। ৫১ মিনিটে তাঁকে নামান পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস। তবে রোনাল্ডো কিছু করে উঠতে পারেননি। প্রসঙ্গত, সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচেও একাদশের বাইরে তাঁর জায়গা হয়েছিল। বিশ্বকাপ থেকে পর্তুগালের বিদায়ের পর, রোনাল্ডোর বান্ধবী জিওর্জিনা রদ্রিগেস ইনস্টাগ্রামে পর্তুগাল দলের ম্যানেজার স্যান্টোসকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন।

তিনি সেই পোস্ট লিখেছেন, ‘আজ তোমার বন্ধু এবং কোচ ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই বন্ধু, যাঁর জন্য তুমি প্রশংসা করো এবং শ্রদ্ধা রয়েছে। তুমি যখন খেলতে নেমেছিলে, তিনি দেখেছিলেন কী ভাবে সব কিছু বদলে গিয়েছিল, কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়, যিনি দলের সেরা অস্ত্র, তাঁর অবমূল্যায়ন করা ঠিক নয়। কিংবা আপনি কাউকে বলতে পারেন না যে, সে এটির যোগ্য কিনা। জীবন আমাদের শিক্ষা দেয়। আজ আমরা হারিনি, আমরা শিখেছি। ক্রিশ্চিয়ানো, আমরা তোমাকে শ্রদ্ধা করি।’

রোনাল্ডোর বান্ধবী ইনস্টাগ্রামে ধুইয়ে দিলেন পর্তুগাল কোচকে।

এর আগে সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছিল, সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁকে প্রথম একাদশে না রাখার জন্য কোচ স্যান্টোসের সঙ্গে তীব্র ঝামেলা হয়েছিল রোনাল্ডোর। এবং তিনি পর্তুগালের বিশ্বকাপ স্কোয়াড ছাড়ার হুমকিও দিয়েছিলেন।

তবে মরক্কোর বিরুদ্ধে ম্যাচে রোনাল্ডোকে প্রথম একাদশে না রাখা নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। স্যান্টোস অবশ্য দুই নকআউট ম্যাচে রোনাল্ডোকে রিজার্ভ বেঞ্চে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে যে সমালোচনা চলছে, তার জবাব দিয়ে বলেছেন, ‘না এতে আমার কোনও আফসোস নেই। এটি এমন একটি দল, যারা সুইৎজারল্যান্ডের বিপক্ষে খুব ভালো খেলেছে। ক্রিশ্চিয়ানো একজন দুর্দান্ত খেলোয়াড়, আমরা যখন প্রয়োজন বলে মনে করেছি, তখন ওকে নামিয়েছি। আমার কোন অনুশোচনা নেই।’