৩৬ বছরের খরা কি রবিবার রাতে কাটাতে পারবে আর্জেন্তিনা? এই ভাবনাতেই এখন ডুবে আর্জেন্তাইন সমর্থকেরা। সেই ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিল তারা। তার পর পুরোটাই খরা। সম্প্রতি ২০১৪ সালে লিওনেল মেসিরা ফাইনালে উঠলেও, জার্মানির কাছে হেরে অধরাই থেকে গিয়েছিল ট্রফি। এ বার অবশ্য মেসির শেষ বিশ্বকাপে নতুন স্বপ্নের জাল বুনছে আর্জেন্তিনা। রবিবার রাতে ফ্রান্সকে হারিয়ে বুয়েনস এয়ার্স উৎসবে ভাসতে চায়। তবে ফ্রান্সের মতো দলকে আটকানো কি সহজ বিষয় নাকি!
কিলিয়ান এমবাপে, অলিভিয়ের জিরু, আঁতোয়া গ্রিজম্যানদের থামাতে অবশ্য কোনও রকম ফাঁক-ফোকর রাখতে রাজি নন আর্জেন্তিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি। লিওনেল মেসিদের নিয়ে তিন রকম স্ট্র্যাটেজিতে অনুশীলন করিয়েছেন স্কালোনি। প্ল্যান ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’- সব তৈরি রাখছেন স্কালোনি। আলাদা আলাদা পরিস্থিতিতে, আলাদা আলাদা কৌশল। এবং তার মহড়াতে এতটুকু ঘাটতি রাখেননি মেসিদের কোচ।
আরও পড়ুন: পোলিশ রেফারির হাতে ফাইনালের দায়িত্ব, নাম শুনে স্বস্তি পাচ্ছেন না আর্জেন্তাইনরা
পাশাপাশি স্কালোনি চেয়েছেন, প্রতিপক্ষ যেন তাঁদের আসল স্ট্র্যাটেজি বুঝতে না পারে। এবং সেই ভাবে নিজেদের পরিকল্পনা করতে না পারে। কারণ মেসিরা ফাইনালে কোন স্ট্র্যাটেজিতে খেলবেন, সেটাই যে কারও কাছে পরিষ্কার নয়।
শুরু থেকেই দোহার কাতার ইউনিভার্সিটি মাঠে অনুশীলন করেছে আর্জেন্তিবা। কারও চোট না থাকায় মাঠে ২৬ জনকেই পেয়েছেন স্কালোনি। তারকা উইঙ্গার ডি'মারিয়া পুরোপুরি ফিট। হলুদ কার্ডের সমস্যা কেটে যাওয়ায় ফাইনালে খেলতে বাধা নেই মার্কোস আকুনিয়া এবং গঞ্জালো মন্টিয়েলের। এ দিকে আবার সেমিফাইনালে আকুনিয়ার জায়গায় সুযোগ পাওয়া নিকোলাস তালিয়াফিকো দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে ফাইনালে খেলার জোরালো দাবি জানিয়ে রেখেছেন। সব মিলিয়ে স্কালোনিকে কাল প্রথম একাদশ সাজাতে বেশ বেগ পেতে হবে।
আরও পড়ুন: মেসি না এমবাপে- ফাইনালে কাকে সমর্থন করবেন? মনের ইচ্ছে গোপন রাখলেন না বাদশাহ
ফাইনালের আগে স্কালোনি প্রথম ধাপের অনুশীলন করিয়েছেন ৫–৩–২ ছকে। এই কৌশলের শুরুতে তিনি মলিনা ও আকুনিয়াকে উইংব্যাক হিসেবে খেলিয়েছেন। পরে ডি'মারিয়াকে তুলে নিয়ে লিসান্দ্রো মার্টিনেজকে নামিয়েছেন। ডি'মারিয়া এবং লিসান্দ্রো রাইট ফ্ল্যাঙ্কের (অ্যাটাকিং থার্ডের ডান কিনারা থেকে বল ক্রস করা যাঁদের প্রধান কাজ) দায়িত্ব পালন করেছেন। আর মলিনা এবং আকুনিয়া প্রতীকী অর্থে এমবাপেকে নজরে রেখে সতীর্থদের সহযোগিতা করতে চেয়েছেন। এমবাপের বিষয়ে সতীর্থ ডিফেন্ডারদের খুঁটিনাটি জানিয়ে দিয়েছেন ডি'মারিয়াও। জুভেন্তাসে যোগ দেওয়ার আগে সাত মরশুমে পিএসজিতে কাটিয়েছেন ডি'মারিয়াও। এমবাপের শক্তি এবং দুর্বলতা সবটাই জানা ডি'মারিয়ার!
এরপর স্কালোনি খেলিয়েছেন ৪–৩–৩ ছকে। ডি'মারিয়াও শুরুর একাদশে থাকলেও, সাধারণত এই পদ্ধতি অবলম্বন করেন আর্জেন্তিনা কোচ। এ ছাড়াও ৪–৪–২ ছকেও অনুশীলন করতে দেখা গিয়েছে আর্জেন্তিনাকে। এ ক্ষেত্রে তিনি লিয়ান্দ্রো পারেদেসকে অতিরিক্ত মিডফিল্ডার হিসেবে খেলিয়েছেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।