বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্তিনার বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়াই করেও জয় অধরাই থেকে গিয়েছিল। পেনাল্টি শুটআউটে ৪-২ ব্যবধানে মেসিদের কাছে হারতে হয়েছিল এমবাপেদের। নিজেদের পেনাল্টি শটে গোল মারতে ব্যর্থ হয়েছিলেন কিংসলে কোমান ও অরেলিয়েঁ সুয়ামেনি। সেই কোমান এবং সুয়ামেনিই সোশ্যাল মিডিয়ায় বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। অনেকেই কিংসলে কোমান ও সুয়ামেনিকে হারের জন্য দায়ী করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের নামে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করেছে এবং আক্রমণ শানিয়েছে।
এদিকে বর্ণবিদ্বেষের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে কোমানের ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ। এক বিবৃতি প্রকাশ করে জার্মান ক্লাবের তরফে বলা হয়েছে, ‘কিংসলে কোমানের বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করছে এফসি বায়ার্ন। বায়ার্ন পরিবার কিংসলের পাশে আছে। আমাদের সমাজে বা খেলায় বর্ণ বিদ্বেষের কোনও স্থান নেই।’ এর আগে ২০২০ সালে ইতালির বিরুদ্ধে ফাইনালে পেনাল্টি শুটআউটে গোল করতে ব্যর্থ হওয়ায় বর্ণবিদ্বেষেক শিকার হয়েছিলেন মার্কাস রাশফোর্ড, জর্ডান স্যাঞ্চো এবং বুকায়ো সাকা।
এদিকে রবিবার বিশ্বকাপ ফাইনালে দেশের হারের পর অশান্ত হয়ে উঠেছিল ফরাসি রাজধানী প্যারিস। পরিস্থিতি এমনই হয়ে গিয়েছিল যে ফুটবলপ্রেমীদের ভিড়কে লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাতে বাধ্য হয়েছিল পুলিশ। আর্জেন্তিনা বিরুদ্ধে হারের পর প্যারিসের চ্যাম্পস-এলিসিসে ফ্রান্স সমর্থকরা রীতিমতো বিক্ষোভ শুরু করেন। ম্যাচের পর সেখানে আতসবাজি ফাটিয়ে যান চলাচলে সমস্যা তৈরি করা হয়। এরপরেই সমর্থকদের ভিড়কে সেখান থেকে সরাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে আতসবাজি ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরেই পুলিশ জমায়েত ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চার্জ করে এবং কাঁদানে গ্যসের শেল ফাটায়। প্রায় হাজারের বেশি পুলিশকর্মীকে নিয়োগ করা হয় প্যারিসের রাস্তায়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।