এবার বিশ্বকাপে ফুটপ্রেমীদের নজর মেসির দিকে। আর্জেন্টিনা অধিনায়ক এদিন জানালেন, ব্রাজিল, ফ্রান্স এবং ইংল্যান্ডকেই এই বিশ্বকাপে সে সবথেকে কঠিন প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখছেন।
সমর্থকদের মতে এটাই হয়ত মেসির শেষ বিশ্বকাপ। ২০০৬ সাল থেকে ওই ট্রফির অপেক্ষায় মেসিবাহিনী। ২০১৪ সালে হাতের কাছে এসেও ফসকে যায় সেই সূবর্ণ সুযোগ। মারিও গোতজের এক্সট্রাটাইম গোলে পরাজিত হয় আর্জেন্টিনা। ২০১৮ বিশ্বকাপে রাশিয়ায়, রাউন্ড অব সিক্সটিনে ফ্রান্সের কাছে পরাজিত হয় তাঁরা। সমর্থকদের মনে হয়েছিল দেশের জন্য মেসির ট্রফি আনার স্বপ্ন হয়ত চিরকাল এমন স্বপ্ন হয়েই থেকে যাবে। তবে ২০২১ কোপা আমেরিকা জয়, যেন খানিক উৎসাহ এনেছে সমর্থকদের মনে। এবারের আর্জেন্টিনা টিম মেসির অধিনায়কত্বে বিশ্বকাপ হাতে নিলেও নিতে পারে। তেমনটাই আশা করছেন তাঁরা।
একাধিক সাক্ষাৎকারে মেসিও একথা জানিয়েছেন যে তাঁর স্বপ্ন দেশের জন্য বিশ্বকাপ জেতা। এই একটি স্বপ্নের জন্যেই তাঁর পথ চলা। এবার সেই সুযোগের থেকে ক'হাত দূরে দাঁড়িয়ে মেসি এবং আর্জেন্টিনা।
৩৫ বছরের এই প্যারিশ-সঁ-জারমঁ এর খেলোয়াড় এবার দেশের জন্য তৃতীয় বিশ্বকাপ জয়ের আকাঙ্খা নিয়ে কাতারের মাঠে নামবেন। ১৯৮৬ সালের পর আর বিশ্বকাপ আসেনি আর্জেন্টিনার ড্রেসিংরুমে।
এদিন মেসি জানান, 'যদি এতোগুলি প্রতিপক্ষের মধ্যে কাউকে বেছে নিতেই হয়, তবে আমি ব্রাজিল, ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্সকে বেছে নেবো। তবে বিশ্বকাপ একটি খুব কঠিন প্রতিযোগিতা। এখানে যা খুশি হয়ে যেতে পারে।'
লিওনেল স্কালোনির প্রশিক্ষণে কোপা জয়ী আর্জেন্টিনা ৩৫টি ম্যাচ এখনও অবধি অপরাজিত রয়েছে। এবং এটাই যদি আর্জেন্টিনা দলের ফর্ম হয় এই বিশ্বকাপে, তবে এই বিশ্বকাপে নিঃসন্দেহে কিছু চমৎকার ফুটবল দেখবে কাতার এবং বিশ্বের ফুটবল দর্শকেরা।
মেসির মতে, 'এই বিশ্বকাপটা আমরা ভালভাবে শুরু করতে চাই। যত কঠিন প্রতিপক্ষেরই মুখোমুখি হই না কেন, আমরা আমাদের শ্রেষ্ঠটা দেবো। যত বেশি সময় মাঠে কাটাবো তত প্রস্তুত হবো বিশ্বকাপের জন্য।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।