জার্মানিকে নিজেদের প্রথম ম্যাচে যখন জাপান হারিয়েছিল, অনেক নিন্দুকই বলেছিলেন, ফ্লুকে জয় এসেছে। কিন্তু তাঁরা স্পেন-জাপান ম্যাচ দেখার পর কী বলবেন? বিশ্বকাপে যে ভাবে জোড়া অঘটন ঘটাল জাপান, তাতে কি সত্যিই ফ্লুক হতে পারে? জার্মানির পর স্পেনকে হারিয়ে ইতিহাস লিখল ব্লু সামুরাইরা। দুই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ থাকা সত্ত্বেও গ্রুপ শীর্ষে থেকে শেষ ষোলোয় উঠল জাপান। এ যেন জাপান তথা এশিয়ার ফুটবলে নবজাগরণ।
ইতিহাস লিখল জাপান
এশিয়ার দল হিসেবে বিশ্ব ফুটবলের মঞ্চে জাপানের যেন নতুন সূর্যোদয়। জার্মানির পর স্পেনের মতো হেভিওয়েট টিমকে শুধুমাত্র অঙ্ক কষে হারিয়ে দেওয়া, মুখের কথা ছিল না। কিন্তু সেই কাজটাই করেছে ব্লু সামুরাইরা। দুরন্ত ছন্দে ২-১ হারিয়ে দিয়েছে স্পেনকে। সেই সঙ্গে গ্রপ ই-র টপার হয়ে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে তারা পৌঁছে গিয়েছে। বুদ্ধিদীপ্ত পারফরম্যান্স জাপানের। আর স্পেন দ্বিতীয় দল হিসেবে নকআউটে গেল। সেখানে জার্মানি ৪-২ জিতেও গোলপার্থক্যে পিছিয়ে থাকার কারণে ছিটকে গেল।
সাত মিনিট ইনজুরি টাইম
সাত মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছে। খেলার ফল এখনও জাপানের পক্ষে ২-১। এ দিকে জার্মানি ৪-২ এগিয়ে রয়েছে।
গোলের মুখ খুলতে পারেনি স্পেন
৮৫ মিনিট: জাপানের গোল করার কোনও ইচ্ছে নেই। তারা লিড ধরে রাখতে ব্যস্ত। বুটের জঙ্গত তৈরি করে, রক্ষণ সামালাচ্ছে সামুরাইরা। স্পেন যে ভাবে শুরুটা করেছিল, সেটা ধরে রাখল কোথায়! জার্মানির সঙ্গে ড্রয়ের পর জাপানের কাছে এখনও ১-২ পিছিয়ে। পারবে স্পেন সমতা ফেরাতে?
৭৫ মিনিট হয়ে গিয়েছে, স্পেন ১-২ পিছিয়ে
৭৫ মিনিট পার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিরতির পর আর গোলের মুখ পারেনি স্পেন। কারণ জাপান দশ জন মিলে ডিফেন্স করছে। এটা খুব একটা আশ্চর্য হওয়ার নয়। এই ম্যাচে এনরিকের ছেলেরা যদি হেরে যায়, তবে এই গ্রুপ ই-তে জার্মানি, স্পেনকে ছাপিয়ে টপার হবে এশিয়ার দল জাপান। তাদের মুকুটে জার্মানিকে হারানোর পর, স্পেনকে হারানোর পালকও যুক্ত হবে।
স্পেনের আত্মবিশ্বাস যেন হারিয়ে গিয়েছে
৬০ মিনিট: পরপর ২ গোল খেয়ে গিয়ে চাপে পড়ে গেল স্পেন। তাদের কিন্তু আত্মবিশ্বাসে ধাক্কা লেগেছে। যে দলটা কোস্টারিকাকে ৭ গোল দিয়েছিল, তারা যেন মিইয়ে গিয়েছে। স্পেন জাপানকে হাল্কা ভাবে নিয়েছিল। কিন্তু জার্মানিকে যে এই জাপান হারিয়েছিল, সে কথাটা বোধহয় ভুলে গিয়েছিল। তারই খেসারত দিতে হচ্ছে।
গোওওওওললললল - ২-১ এগিয়ে গেল জাপান
৫১ মিনিট: তানাকার দ্বিতীয় গোল। কী দুরন্ত প্রত্যাবর্তন জাপানের। তারা যে হাল ছাড়ার পাত্র নন, এই কামব্যাকেই বুঝিয়ে দিল ব্লু সামুরাইরা। বলটি বেরিয়ে যাচ্ছিল। গোল নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু ভারের সাহায্যে দেখা যায়, বলটি মাঠের বাইরে যায়নি। শূন্যে ছিল। গোল নিয়ে কোনও সংশয় নেই। ২-১ এগিয়ে গিয়ে জাপান চাপ বাড়াল স্পেনের।
গোওওওওওললললল- সমতা ফেরাল জাপান
৪৭ মিনিট: দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পরিবর্তে নামা খেলোয়াড় রিৎসু ডোয়ান জাপানের হয়ে সমতা ফেরান। স্পেনের প্লেয়ারদের আত্মতুষ্টি এবং গা ছাড়া ভাবের সুযোগ নিয়েই সমতা ফেরান ডোয়ান। নিঃসন্দেহে স্পেনের ডিফেন্ডারদের ভুল রয়েছে।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু। স্পেন কিন্তু গোল না করতে পারলে চাপে পড়বে। জাপান যখন তখন গোল করে দিতে পারে।
বিরতি
প্রথমার্ধের খেলা শেষ। বিরতিতে ১-০ এগিয়ে স্পেন। জাপান সে ভাবে আক্রমণেই ওঠেনি। তাই তাদের গোলের মুখ খোলার প্রশ্ন ওঠে না। তবে স্পেনকেও দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়াতে হবে। না হলে সমস্যা হতে পারে।
১ মিনিট ইনজুরি টাইম
প্রথমার্ধে নির্দিষ্ট ৪৫ মিনিটের খেলা শেষ। ১ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছে।
স্পেনের আক্রমণ
৪৩ মিনিট: ওলমো গোল লক্ষ্য করে শট নেন। তবে তানিগুচি স্লাইড করে আটকে দেন। জাপান রক্ষণ সামলাতে সামলাতে ক্লান্ত। এই ভাবে জাপান আর কতক্ষণ আটকে রাখতে পারবে স্পেনকে?
আরও একটি গোল চাই স্পেনের
৩০ মিনিট: স্পেন চারপাশে পাস খেলে চলেচে। নিজেদের মধ্যে তারা এত পাস খেলছে, জাপানি প্লেয়াররা বলের পিছনে ধাওয়া করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। তবে স্পেন যদি গোলের ব্যবধান না বাড়ায়, তা হলে কিন্তু চাপ আছে এনরিকের ছেলেদের। কারণ জাপান কিন্তু রক্ষণাত্মক খেলতে খেলতেই, প্রতি আক্রমণে উঠে একটু বা দু'টি সুযোগ তৈরি করে গোল করে দেয়। এটাই তাদের খেলার ধরন।
ফ্রান্স আক্রমণাত্মক
২৩ মিনিট: জাপানকে চাপেই রেখেছে স্পেন। মোরাতা খুব অ্যাক্টিভ ফুটবল খেলছেন। গোন্ডাকে একটুি দুরন্ত পাস বাড়িয়েছিলেন মোরাতা। ভালো চেষ্টা করেছিলেন গোন্ডা। কিন্তু গোল হল না।
খেই হারিয়েছে জাপান
১৮ মিনিট: শুরুতেই গোল খেয়ে খেই হারিয়ে ফেলেছে জাপান। আসলে জাপানের পায়ে বলই রাখতে দিচ্ছে না স্পেন। তারা যে পাস খেলে কাউন্টার অ্যাটাকে উঠবে, সেই সুযোগটাই দিচ্ছেন না এনরিকের ছেলেরা। তাই এখনও পর্যন্ত জাপানের তরফে সে ভাবে কোনও আক্রমণ দেখা যায়নি।
গোওওওওওলললললল- মোরাতার গোলে এগিয়ে গেল স্পেন
১২ মিনিট: হেডারে দুরন্ত গোল মোরাতার। উইলিয়ামসের থেকে পাস পেয়ে অরক্ষিত অবস্থায় থাকা মোরাতা হেডে গোল করে যান। জাপান গোলকিপারের কিছুই করার ছিল না। গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচে গোল করে ইতিহাস লিখে ফেলল আলভারো মোরাতা।
আক্রমণাত্মক ফুটবল দুই দলের
১০ মিনিট: মোরাতা ভালো হেড করেছিলেন। কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট হল। আক্রমণ ও প্রতি আক্রমণে স্পেন এবং জাপান ম্যাচের প্রথম দশ মিনিট জমজমাট।
খেলা শুরু
স্পেন-জাপান ম্যাচ শুরু। ড্র করলেই নকআউটে চলে যাবে স্পেন। জাপান না জিতলে, অঙ্কটা একটু জটিল হবে।
জাপান- কোস্টারিকার নকআউটের অঙ্ক
বর্তমানে জাপান ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। স্পেনের বিরুদ্ধে জাপান জিততে পারলে গ্রুপ শীর্ষে থেকে প্রি কোয়ার্টারে যাবে তারা। তবে তারা যদি ম্যাচ হেরে যায়, তা হলে তারা ছিটকে যাবে। যদি জাপান ড্র করে এবং কোস্টারিকা-জার্মানির ম্যাচ ড্র হয় তাহলে জাপান পরবর্তী রাউন্ডে যাবে গোল ব্যবধানে। এ দিকে জাপান যদি ম্যাচ ড্র করে এবং কোস্টারিকা জিতে যায়, তাহলে জাপান ছিটকে যাবে।এ দিকে তিন পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের তৃতীয় স্থানে রয়েছে কোস্টারিকা। কোস্টারিকা যদি জেতে তা হলে সরাসরি পরবর্তী রাউন্ডে চলে যাবে। এ দিকে যদি কোস্টারিকা ড্র করে, তাহলে তাদের পরবর্তী রাউন্ডে যেতে হলে জাপানকে হারতে হবে। যদি জাপান এবং কোস্টারিকা, দুই দলই ড্র করে তা হলে গোল ব্যবধানে পরবর্তী রাউন্ডের টিকিট নির্ধারণ হবে।
স্পেনও কিন্তু চাপে থাকবে
বর্তমানে ৪ পয়েন্ট পেয়ে গ্রুপ শীর্ষে রয়েছে স্পেন। যদি জাপানের বিরুদ্ধে স্পেন জিতে যায়, তা হলে তারা গ্রুপ শীর্ষে থেকে পরবর্তী রাউন্ডে যাবে। এ দিকে যদি স্পেন ড্র করে এবং জার্মানির বিরুদ্ধে কোস্টারিকা জিতে যায়, তাহলে লুইস এনরিকের দল গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে থেকে কোয়ালিফাই করবে প্রি কোয়ার্টারের জন্য। তবে স্পেন যদি জাপানের কাছে হেরে যায় এবং অপর দিকে কোস্টারিকা হারিয়ে দেয় জার্মানিকে, তা হলে স্পেন ছিটকে যাবে। এদিকে স্পেন হারলেও, যদি কোস্টারিকার বিরুদ্ধে জার্মানি জেতে তা হলেও স্পেন পরবর্তী পর্বে যাবে।
জার্মানির নকআউটে ওঠার অঙ্কটা খুবই জটিল
গ্রুপ লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে কোস্টারিকার মুখোমুখি হবে জার্মানি। গ্রুপ ই-তে সবচেয়ে খারাপ জায়গায় রয়েছে জার্মানি। তাদের পয়েন্ট দুই ম্যাচে ১। তাদের এ দিন শুধু নিজেদের ম্যাচ জিতলেই হবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য ম্যাচের রেজাল্টের উপর।পরবর্তী রাউন্ডে যেতে হলে, প্রথম শর্ত হিসেবে জার্মানিকে জিততে হবে কোস্টারিকার বিরুদ্ধে। অন্য দিকে জাপানকে হারতে হবে স্পেনের বিরুদ্ধে। যদি জাপান স্পেনের সঙ্গে ড্র করে, তা হলে জার্মানিকে দুই বা তার অধিক গোলের ব্যবধানে জিততে হবে পরবর্তী রাউন্ডের টিকিট পেতে হলে।