আজ হারলেই ছিটকে যেতে হত। সেই জায়গা থেকে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করল অস্ট্রেলিয়া। মরণ-বাঁচন ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার ত্রাতা হয়ে উঠলেন মিচেল ডিউক। তাঁর দুরন্ত হেডারেই ক্যাঙারু বাহিনী গ্রুপ ডি-র ম্যাচে হারিয়ে দিল তিউনিশিয়াকে। এই জয়ের হাত ধরেই তারা শেষ ষোলোর আশা বাঁচিয়ে রাখল।
যদিও অস্ট্রেলিয়া এশিয়ার অংশ নয়। পূর্ব দিকের এই দ্বীপরাষ্ট্রটি ওশিয়ানিয়ার অন্তর্গত।তবে ফুটবলে তারা এশীয় ফুটবল সংস্থার অধীনে। অর্থাৎ ক্লাব থেকে শুরু করে দেশ, এশিয়ার প্রতিযোগিতাতেই খেলে অস্ট্রেলিয়া। সেই কারণেই অজিরা বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করে এশিয়ার ‘কোটা’ থেকেই। যে কারণে সৌদি আরব, জাপান, ইরানের পর এ বার অস্ট্রেলিয়াও চমক দিল বিশ্বমঞ্চে।
আরও পড়ুন: কাতারের ছিটকে যাওয়া, নেদারল্যান্ডস, ইংল্যান্ডের ড্র- পয়েন্ট টেবলের অঙ্ক কী বলছে?
২০১০ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া শেষবার জয় পেয়েছিল সার্বিয়ার বিরুদ্ধে। ফলাফল ছিল ২-১। ১২ বছর পর বিশ্বকাপের আসরে ফের জয় এল অজিদের। ১৯৭৪ সালের পর অস্ট্রেলিয়া এ বার ক্লিনশিটে জয় পেল। স্বাভাবিক ভাবেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে এটাই বড় প্রাপ্তি।
প্রথম থেকেই বলের নিয়ন্ত্রণ রেখেছিল অস্ট্রেলিয়াই। আফ্রিকার দেশ তিউনিশিয়াকে দাঁড়াতেই দিচ্ছিল না তারা। আগের ম্যাচে ফ্রান্সের কাছে চার গোল হজমের পর এ দিন একেবারে তেতেপুড়ে উঠেছিল অজিরা। জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে ঝাঁপিয়েছিল। যার ফলও তারা পেয়েছে।
আরও পড়ুন: আমেরিকা গাঁট হয়েই থাকল, গোলশূন্য ড্র করল ইংল্যান্ড
কাতার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ডেনমার্কের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে তিউনিশিয়া এক পয়েন্ট পেয়েছিল। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া প্রথম ম্যাচেই সামনে পেয়েছিল গত বারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে। ফরাসিরা ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল অজিদের। পরের রাউন্ডে যাওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়ার কাছে এই ম্যাচ ছিল 'মাস্ট উইন'। তিউনিশিয়াকে হারিয়ে তিন পয়েন্ট পেয়ে অক্সিজেন পেল অজিরা।
অস্ট্রেলিয়া একমাত্র গোলটি করে ২৩ মিনিটে। ডিউক বল পেয়ে পাস দেন লেকিকে। লেকির থেকে পাস যায় গুডউইনের কাছে। সেই ফাঁকে দৌড়ে তিউনিশিয়ার বক্সে ঢুকে পড়েন ডিউক। গুডউইনের ভেসে আসা ক্রসে হেড করে বল জালে জড়ান তিনি।
প্রথমার্ধে দাপট ছিল অস্ট্রেলিয়ারই। তবে দ্বিতীয়ার্ধে তিউনিশিয়া আক্রমণে ফেরে। অনেক বেশি ছন্দবদ্ধ মনে হচ্ছিল তাদের। অজিরা এই সময়ে গোল খেয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। কিন্তু তিউনিশিয়া গোলের মুখই খুলতে পারেনি। যার খেসারত ম্যাচ হেরে তাদের দিতে হয়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।