শুক্রবার মরক্কোর বিরুদ্ধে ম্যাচের প্রথম একাদশ অপরিবর্তিত রেখেছেন পর্তুগাল কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস। যার জেরে শেষ আটের লড়াইয়েও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর জায়গা হচ্ছে রিজার্ভ বেঞ্চে। সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে যে ১১ জন শুরু করেছিলেন, মরক্কোর বিরুদ্ধে তাঁরাই শুরু করতে চলেছেন।
সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে রোনাল্ডোর জায়গায় তরুণ গনসালো রামোসকে খেলিয়েছিলেন ফার্নান্দো স্যান্টোস। আর বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করে চমকে দেন তিনি। শেষ আটের লড়াইয়ে তাই রামোসকে বাইরে রাখার কোনও প্রশ্নই উঠছে না। আর সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে রোনাল্ডোকে ছাড়াই যে ভাবে আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলেছে পর্তুগাল, সেই ছন্দটা নষ্ট করতে চাইছেন না স্যান্টোস।
মরক্কোর বিরুদ্ধেও প্রথম থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলাতে চান তিনি। যে কারণে তরুণ ফুটবলারদের নামিয়ে শুরুতে গোল তুলে নিতে চাইছেন স্যান্টোস। আর তাই রোনাল্ডোর ফের জায়গা হয়েছে রিজার্ভ বেঞ্চে। অবশ্য পরিবর্তে নামবেন সিআরসেভেন।
আরও পড়ুন: রিজার্ভ বেঞ্চে থাকাটা মোটেও ভালো ভাবে নেয়নি রোনাল্ডো- মেনে নিলেন পর্তুগালের কোচ
সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে পর্তুগাল ৬-১ জেতে। যার মধ্যে একটি গোলও রোনাল্ডো করেননি। স্বাভাবিক ভাবেই রোনাল্ডোকে ছাড়াই আত্মনির্ভর দেখিয়েছে পর্তুগালকে। এ দিকে সুইৎজারল্যান্ড ম্যাচে তাঁকে প্রথম একাদশে না রাখার জন্য, রোনাল্ডো নাকি দল ছেড়ে দেশে ফেরার বিমান ধরতে চেয়েছিলেন, সেই খবরের সত্যতা অবশ্য স্বীকার করেননি স্যান্টোস।
তিনি উল্টে বলেছেন, ‘রোনাল্ডো আমাকে কোনও দিন বলেনি যে ও দল ছেড়ে দেশে ফিরতে চায়। এ বার আমাদের এই নিয়ে কথা বলা বন্ধ করতে হবে। দয়া করে ওকে একা ছেড়ে দিন। রোনাল্ডো পর্তুগালের ফুটবলের জন্য কী করেছে সেটা মনে রাখুন।’
এ দিকে প্রথম একাদশে যে রোনাল্ডোকে রাখা হবে না, সেই বিষয়ে নাকি তারকা ফুটবলারকে আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছিলেন স্যান্টোস। তিনি বলেছেন, ‘ম্যাচের আগে আমাদের কথা হয়েছিল। এমন নয় যে, প্রথম একাদশের বাইরে থাকা সব ফুটবলারের সঙ্গে কথা বলি। কিন্তু রোনাল্ডো দলের অধিনায়ক। তাই ম্যাচের আগে ওকে ডেকে আমার পরিকল্পনার কথা বলেছিলাম। প্রথমে ওর খারাপ লেগেছিল। কিন্তু পরে দলের স্বার্থে আমার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিল। আমাদের মধ্যে কোনও সমস্যা হয়নি।’
আরও পড়ুন: মেসি-ম্যাজিক আর টিমগেম- দুইয়ের যুগলবন্দিতে স্বপ্ন সাজাচ্ছে আর্জেন্তিনা
তবে মরক্কো যে ভাবে স্পেনকে আটকে দিয়েছে, তাতে কিন্তু চাপে থাকতে হবে পর্তুগালকে। শুরুতে গোল তুলতে না পারলে চাপ বাড়তে থাকবে। কারণ মরক্কো যেটা করছে, সেটা হল নিজেদের বক্সে বুটের জঙ্গল তৈরি করে বিপক্ষের গোলমুখ আটকাচ্ছে। সেই সঙ্গে কাউন্টার অ্যাটাকে উঠে গোলের চেষ্টা করছে। আবার ডিফেন্স সামলাতে যখন তারা নামছে, খুব দ্রুত নেমে আসছে। মাঠে প্রচুর পরিশ্রম করছে মরক্কো। অন্তত স্পেনের বিরুদ্ধে ম্যাচে তাই দেখা গিয়েছে।
তাই মরক্কোর বিরুদ্ধে ম্যাচে দলে এমন একজন প্লেয়ার থাকা দরকার, যার ব্যক্তিগত নৈপুণ্য রয়েছে। যেমনটা রয়েছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। তাই এই ম্যাচে তাঁকে কতক্ষণ বেঞ্চে বসিয়ে রাখাটা সম্ভব হবে, সেটা নিয়ে জল্পনা রয়েই যাচ্ছে।