পরপর দুই ম্যাচে হার। আর সেই সঙ্গে বিশ্বকাপের লড়াইও কার্যত শেষের পথে আয়োজক দেশ কাতারের। বরং শুক্রবার কাতারকে হারিয়ে বিশ্বকাপে ভেসে থাকল সেনেগাল।
এ বারের বিশ্বকাপের লড়াইটা হার দিয়েই শুরু করেছিল কাতার এবং সেনেগাল- দুই দলই। বিশ্বকাপের মঞ্চে টিকে থাকতে হলে শুক্রবার জয় ছাড়া দ্বিতীয় কোনও বিকল্প ছিল না কাতার এবং সেনেগালের সামনে। কিন্তু সেই লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়ল কাতার। ৩-১ ম্যাচ জিতে নকআউটের আশা বাঁচিয়ে রাখল সেনেগাল।
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্য়াচে ইকুয়েডরের কাছে ০-২ হেরেছিল কাতার। আর নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে লড়াই করেও হেরে গিয়েছিল সেনেগাল। কিন্তু এ দিন জয়ে ফিরে ফের বিশ্বকাপের মঞ্চে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন সেনেগালের।
আরও পড়ুন: ইনজুরি টাইমে জোড়া গোল করে ১০জনের ওয়েলসকে হারিয়ে চমক ইরানের
এক দিক থেকে দেখতে গেলে এ দিনের লড়াইটা ছিল আফ্রিকান চ্যাম্পিয়ন বনাম এশিয়ান চ্যাম্পিয়নের মধ্যে। তিন বছর আগে প্রথম বার এশিয়ার সেরা হয়েছিল কাতার। তবে বিশ্বের ১৮ নম্বর সেনেগালের বিরুদ্ধে এঁটে উঠতে পারল না ৫০ নম্বরে থাকা কাতার। বাজিমাত করল সেনেগালই। চলতি বিশ্বকাপে প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে ম্যাচ জিতল তারা।
সেনেগাল তাদের দলের তারকা ফুটবলার সাদিও মানেকে চোটের জন্য পাচ্ছে না। যেটা তাদের কাছে বড় ধাক্কা। তবু হাল ছাড়ার পাত্র নয় সেনেগাল। অনেকেই হয়তো দাবি করবেন, কাতারের ভাগ্য সঙ্গে ছিল না। প্রথমার্ধে নিশ্চিত পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হয়েছে তারা। আফিফকে বক্সের মধ্যে ফাউল করা হলেও, পেনাল্টি পায়নি কাতার। কিন্তু কাতারের ডিফেন্সের দুর্বলতার সুযোগ নিয়েই কিন্তু ৩ গোল করেছে সেনেগাল। সে কথা ভুললেও চলবে না।
আরও পড়ুন: বিপ্লব শেষ, ওয়েলসের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে জাতীয় সঙ্গীতে গাইলেন ইরানের ফুটবলাররা
এ দিন ম্যাচের প্রথমার্ধের ৪১ মিনিটে বউলায়ে দিয়ার গোলে এগিয়ে গিয়েছিল সেনেগাল। বিরতিতে ১-০ এগিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান বাড়ায় সেনেগাল। ফামারা দিয়েদিউ ৪৮ মিনিটে গোল করে ২-০ করে। এর পরেও লড়াই চালিয়েছিল কাতার। অধিনায়ক আল হাইডসের ক্রস থেকে আলময়েজ আলির হেড বাঁচিয়ে দেন সেনেগাল গোলরক্ষক মেন্দি। আসলে কাতার গোলের সুযোগ তৈরি করলেও, মুখ খুলতে পারেনি। গোল করার লোকের অভাবের কারণেই ডুবতে হল আয়োজন দেশকে।
তবে ম্যাচের ৭৮ মিনিটে মহম্মদ মুন্তারি গোল করে কাতারের হয়ে ব্যবধান কমান ঠিকই, কিন্তু ৮৪ মিনিটে বাম্বা দিয়েং সেনেগালের হয়ে তিন নম্বর গোলটি করে কাতারের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন।
এ দিনের ম্যাচে হারের ফলে কার্যত বিশ্বকাপ থেকে কাতার ছিটকেই গেল। অঙ্কের হিসেবে যে সামান্য সুযোগটি রয়েছে, সেটি কার্যত না থাকার মতোই। পরের ম্যাচে নেদারল্যান্ডস খেলবে ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে। নেদারল্য়ান্ডস না হারলেই কাতার ছিটকে যাবে বিশ্বকাপ থেকে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।