সমকামীদের সমর্থনে ফুটবল বিশ্বকাপে পর্তুগাল-উরুগুয়ে ম্যাচের ৫০ মিনিটে ‘রামধনু’ পতাকা নিয়ে মাঠের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন এক সমর্থক। তার জেরে সাময়িক ভাবে থমকেও যায় খেলা। ৩০ সেকেন্ড ম্যাচ প্রায় বন্ধও থাকে। পরে তাঁকে মাঠের বাইরে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়।
কাতারে সমকামিতাকে বেআইনি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যা ইসলামের পরিপন্থী বলে কাতারের তরফে দাবি করা হয়। সমকামিতার ক্ষেত্রে শাস্তির বিধানও আছে। জরিমানা, সাত বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। এমন কী পাথর ছুঁড়ে মারাও হতে পারে। আর সেই কাতারেই সমকামীদের সমর্থনে প্রতিবাদ জানালেন এক ফুটবল ভক্ত।
আরও পড়ুন: ইরানি ফুটবলারদের আচরণ নজর রাখছে সরকার- প্রতিবাদ করলেই পরিবারকে অত্যাচারের হুমকি
তবে শুধু সমকামিতা নয়, একই সঙ্গে তিনটি ইস্যুতে প্রতিবাদ জানান সুদর্শন এই ব্যক্তি। তাঁর পরনে ছিল নীল রঙের সুপারম্যান টি-শার্ট। বুকে সাদা হরফে লেখা সেভ ইউক্রেন (SAVE UKRAINE)। পিঠে লেখা ইরানের সব মহিলাদের জন্য শ্রদ্ধা (RESPECT FOR IRANIAN WOMAN)। আর হাতে ছিল রামধনু পতাকা।
একই সঙ্গে তিনটি ইস্যুতে প্রতিবাদ জানিয়ে খবরের শিরোনামে উঠে আসে আন্দোলনকারী মারিও ফেরির নাম। মারিওর রামধুন পতাকা নিয়েছিলেন সমপ্রেমীদের সমর্থনে। পাশাপাশি রাশিয়ার আগ্রাসনে ধুঁকতে থাকা ইউক্রেনকেও সমর্থনও করেন তিনি। এর পাশাপাশি তিনি ইরানের হিজাব বিরোধী আন্দোলনেও শামিল হন।
৩৫ বছরে এই প্রতিবাদী ব্যক্তির সঙ্গে কিন্তু কলকাতার নিগূঢ় সম্পর্ক রয়েছে। জানেন কী ভাবে? মারিওর ডাকনাম ফালকো। পেশায় তিনি আসলে ফুটবলার এবং ইনফ্লুয়েন্সার। ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টটিও ভেরিফায়েড। নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে নীল টিক। চলতি বছর ইউনাইটেড স্পোর্টসের সঙ্গে এই মিডফিল্ডারের চুক্তি হয়েছিল। ন'বছরের ফুটবল খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে মারিওর। কিন্তু করোনার জন্য লিগ সাময়িক বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, মারিও ফিরে গিয়েছিলেন দেশে।
মারিও এমন প্রতিবাদ বহু বার করেছেন। ফুটবলের মাঠেই তিনি বারবার বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিবাদ জানিয়ে থাকেন। সেটা বিশ্বকাপের মঞ্চই হোক বা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মঞ্চ। ২০১০ সালে প্রথম বার মারিও খবরে এসেছিলেন। ২০১০ বিশ্বকাপে স্পেন-জার্মানির শেষ চারের ম্যাচেও মাঠে ঢুকে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: গোল না করেও গোলের দাবি- সোশ্যাল মিডিয়া ধুইয়ে দিল রোনাল্ডোকে
সেই বছরই আবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদ ও এসি মিলান ম্যাচেও একই কাণ্ড ঘটান। এমনটা করে যদিও তিনি ডাক পেয়েছিলেন ইতালিয়ান চ্যাট শো-তেও। এর পর সেই বছরই ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে ইন্টারমিলান ও মাজেম্বে ম্যাচেও তিনি মাঠে এসে খেলা ক্ষণিকের জন্য বন্ধ করেছিলেন।
এখানেই থাকেন তাঁর কীর্তিকলাপ। এর পর ২০১১ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল বার্সেলোনা ও ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে। সেই বারও মাঠে ঢুকেছিলেন মারিও। ২০১৪ বিশ্বকাপে শেষ ষোলোর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বেলজিয়াম-ইউএসএ। সেখানেই একই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন তিনি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।