পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি কাতারের অমানবিক আচরণ নিয়ে বিশ্বকাপের শুরু থেকেই জোর চর্চা চলছে। এদিকে রক্ষণশীল কাতারে ফুটবলপ্রেমীদের ওপর নিষেধাজ্ঞার বোঝাও ক্রমেই ভারী হচ্ছে। এরই মাঝে এই ধনকুবের দেশটি আরও এক বিতর্কের মধ্যে পড়ল। রেকর্ড পরিমাণ অর্থ খরচ করে স্টেডিয়াম তৈরি হয়েছে কাতারে। শুধু তাই নয়, গত ১০ বছরে গড়ে উঠেছে নয়া শহর। এদিকে বিভিন্ন দেশ থেকে কাতারে যাওয়া ফুটবলপ্রেমীদের জন্য তৈরি হয়েছে ‘ফ্যান ভিলেজ’। কয়েক হাজার তাঁবু রয়েছে এই ভিলেজে। তবে আগে থেকে টাকা দিয়ে তাঁবু ভাড়া করেও তাঁবু পাচ্ছেন না বহু ফুটবলপ্রেমী। অভিযোগ উঠেছে, অনেক সমর্থককেই ৬ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে গরমের মধ্যে বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে নিজেদের ঘর পেতে।
এদিকে ঘরের মধ্যে ফ্যানও নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। গরমে নাজেহাল অবস্থা ফুটবলপ্রেমীদের। ‘গিভ মি স্পোর্ট’-এর এক সাংবাদিক এই নিয়ে এক ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। সেখানে তিনি তাঁবুর বেহাল দশার কথা তুলে ধরেছেন। তিনি দাবি করেন, তাঁবু ভাড়া করার সময় তাঁদের বলা হয়েছিল যে বিশ্বকাপের ভেন্যুতে যেতে হলে তাঁদের বিনামূল্যে পরিবহণ দেওয়া হবে। তাছাড়া ঘরে এসি আছে। তবে তিনি অভিযোগ করেন, ঘরে এসি তো দূর ফ্যানও ছিল না। পরে তাঁকে একটি পেডেস্টাল ফ্যান দেওয়া হয়। এদিকে মাঠে যেতে শাটল ট্যাক্সিতে চড়তে অতিরিক্ত টাকা দেওয়া হচ্ছে।
এই গুচ্ছের অভইযোগের মাঝে ফুটবলপ্রেমীদের টাকা ফেরাচ্ছে কাতার। তাছাড়া বিনামূল্যে পরিষএবা দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কাতার। উল্লেখ্য, নিজেদের দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতেই বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য ঝআপিয়েছিল কাতার। তবে যত দিন যাচ্ছে, ততই বিতর্কে আরও নাম খারাপ হচ্ছে কাতারের। ব্রিটিশ সংবাদপত্র ‘সান’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, সমস্যা পড়া বহু ফুটবলপ্রেমীকেই টাকা ফেরাচ্ছে বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্বে থাকা সুপ্রিম কমিটি। এদিকে ভিডিয়ো পোস্ট করে বিবিসিও কাতারের ফ্যান ভিলেজের দুরবস্থা তুলে ধরেছে। এই বিতর্ক ধামাচাপা দিতে উঠে পড়ে লেগেছে কাতারি প্রশাসন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।