কাতারে ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২-এ ব্লকবাস্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্তিনা এবং ফ্রান্স। যে ম্যাচ আর্জেন্তিনা পেনাল্টিতে ৪-২ হেরে যায়। নির্দিষ্ট টাইমে ম্যাচের ফল ছিল ২-২। এবং অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচটি ৩-৩ অমীমাংসিত ভাবে শেষ হয়। এর পর টাইব্রেকারে জেতেন লিওনেল মেসিরা। আর এটি ছিল আর্জেন্তিনার তৃতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা। ইতিমধ্যে তারা ১৯৭৮ এবং ১৯৮৬- দু'বার বিশ্বকাপ জিতেছিল।
আর্জেন্তাইন কিংবদন্তি লিওনেল মেসি ২৩তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। এর পর ১০৮তম মিনিটেও গোল করে তিনি ফের আর্জেন্তিনাকে ৩-২ এগিয়ে দেন। দ্বিতীয় গোলটি ডি'মারিয়া করেন। অন্য দিকে এমবাপে শেষ মুহূর্তে তার তিন নম্বর গোল করে এক দিকে ইতিহাস গড়েন। ৫৬ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেন তিনি। অন্য দিকে ম্যাচটি টাইব্রেকারে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: নিশ্চয়ই দিয়েগো এখন হাসছে- মেসিকে আবেগঘন বার্তা পেলের, শুভেচ্ছা জানালেন এমবাপেকেও
এমবাপে ১১৮তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে তিন নম্বর গোলটি করার আগে, ৮০ মিনিটেও পেনাল্টি থেকে প্রথম গোলটি করেছিলেন। আর এর ১ মিনিটের মধ্যে দ্বিতীয় গোলটিও করেন এমবাপে। এবং এমবাপের সৌজন্যেই ফ্রান্স প্রথমে নির্দিষ্ট সময়ে ২-২ করে। এবং অতিরিক্ত সময়ে ৩-৩ করে।
তবে, অনেক ফরাসি সমর্থকেরই দাবি, আর্জেন্তিনার তৃতীয় গোলটি মোটেও ছিল না। প্রসঙ্গত, এই গোলটি মেসি করেছিলেন। তিনি হুগো লরিসের বাঁচানো ফিরতি বল গোলে ঢোকান। এটি প্রাথমিক ভাবে একটি সম্ভাব্য অফসাইড বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু টিভি রিপ্লেগুলি নিশ্চিত করে যে, এটি আফসাইড ছিল না। এবং মার্টিনেজ শেষ ডিফেন্ডারের সঙ্গে একই লাইনে ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইতিহাস লিখেও কর্ণ এমবাপে, মেসির দিনে নায়ক মার্টিনেজ, তৃতীয় বিশ্বকাপ আর্জেন্তিনার
যাইহোক বিতর্ক অফসাইডেই শেষ হয়নি। সেটা আবার এখন অন্য দিকে মোড় নিয়েছে। কিন্তু বিতর্ক রয়েইছে। আর্জেন্তিনা বিরোধীদের একাংশ দাবি করেছে যে, মেসিদের রিজার্ভ বেঞ্চের প্লেয়াররা বল গোললাইন অতিক্রম করার আগেই পিচে ঢুকে পড়েছিল। যেটা ফিফার নিয়মে অপরাধ।
আর্জেন্তিনার হয়ে মেসি তৃতীয় গোলটি করার পর, সকলে ভেবেই নিয়েছিলেন, সেখানেউ ম্যাচে ইতি পড়ে গিয়েছে। হেরে গিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু তখনও নাটক বাকি ছিল। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা অতিরিক্ত সময়ের শেষ অর্ধে দুই মিনিট বাকি থাকতে আবারও গোল করে সমতা ফেরায়। টাইব্রেকারে খেলা গড়ালে আর্জেন্তিনার গোলাকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ একটি পেনাল্টি বাঁচান। এ ছাড়া ফ্রান্সের শৌমিনি পেনাল্টি থেকে একটি শট পোস্টের বাইরে মারেন। আর আর্জেন্তিনা চারটি পেনাল্টিই মেরে তৃতীয় বারের মতো বিশ্ব জয়ের স্বাদ পায়। তাদের পাঁচ নম্বর পেনাল্টি মারার প্রয়োজন পড়েনি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।