গোটা বাংলা যখন দুর্গাপুজোয় মেতে থাকে, তখন চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রস্তুতি নেয়। আর যখন ফুটবল বিশ্বকাপে বাকি বাংলা লিওনেল মেসির আর্জেন্তিনায় বুঁদ, তখন চনন্দনগরের ছবিটা একেবারে আলাদা। তারা গলা ফাটাচ্ছে কিলিয়ান এমবাপের ফ্রান্সকে নিয়ে।
আসলে ফরাসিদের সঙ্গে একটা আত্মিক যোগ সম্ভবত অনুভব করে চন্দননগর। একটা সময় চন্দননগরের নাম ছিল ফরাসডাঙ্গা। চন্দননগরে ফরাসিরা উপনিবেশ তৈরি করেছিল। তবে কখনও-ই ব্রিটিশদের মতো দাঁত-নখ বের করে অত্যাচার করেনি তারা। বরং ইংরেজদের বিরুদ্ধে দেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ের একটি শক্ত ঘাঁটি হয়ে উঠেছিল হুগলির চন্দননগর। তাই আজও চন্দননগরের বাসিন্দাদের মনে ফরাসিদের জন্য আলাদা অনুভূতি রয়েছে।
আরও পড়ুন: আর্জেন্তিনার সব মানুষ, সব সমর্থক তোমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে- মেসিকে খোলা চিঠি ছেলের
এখনও চন্দননগরে ফরাসিদের অনুদান আসে। ফরাসির সেনাপ্রধান মসিয়ে ডু'প্লেক্সের নামে রয়েছে একটি কলেজ। ডু'প্লেক্সের বাড়ি বর্তমানে মিউজিয়ামে পরিণত হয়েছে। সব মিলিয়েই চন্দননগরের বাসিন্দারা ফুটবল বিশ্বকাপে ফ্রান্সকে নিয়ে বিশেষ ভাবে উৎসাহী। তাই মেসি নয়, এমবাপেকে নিয়েই তারা মেতে রয়েছে। দর্জির দোকানে চরম ব্যস্ততা ফ্রান্সের পতাকা তৈরিতে। চন্দননগরের স্কুলছাত্ররা গলা ফাটাচ্ছে ফ্রান্সের জন্য। আর আলোর শহরে লাইটের কারিগরি তো থাকবেই।
আরও পড়ুন: এমবাপেদের আটকাতে প্ল্যান এ, বি, সি তৈরি রাখছেন মেসিদের কোচ
শহর ঘুরলে অবশ্য আর্জেন্তিনার সমর্থকের দেখাও কম মিলবে না। স্ট্র্যান্ড রোড থেকে বাগবাজার, উর্দিবাজার, জ্যোতির মোড়, মানকুন্ডু, সার্কাসমাঠ, ছবিঘর, গঞ্জের বাজারে আর্জেন্তিনার পতাকাও পতপত করে উড়ছে। শুধু পতাকা নয়। চন্দননগরের বিখ্যাত আলোকসজ্জাতেও বানানো হয়েছে আর্জেন্তিনার পতাকা থেকে মেসির গোলে শট সব কিছুই।
আবার স্থানীয় মিষ্টির দোকানে বানানো হয়েছে এমবাপে মিষ্টি। এক কথায়, গঙ্গাপাড়ের এই শহরে আর্জেন্তিনা-ফ্রান্সের ফুটবল ফিভার যেন অন্য মাত্রা নিয়েছে। তবে যেহেতু এটা ফরাসী উপনিবেশ ছিল, তাই ফ্রান্সের প্রতি আলাদা সেন্টিমেন্ট তো থাকবেই!
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।