জাপানের হয়ে খেলার সময় ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপের জন্য ট... more
জাপানের হয়ে খেলার সময় ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপের জন্য টিকিট প্রায় পাকা করে ফেলেছিলেন হাজিমে মোরিয়াসুরা। তবে এই দোহাতেই কোয়ালিফাইং ম্যাচে ইরাকের শেষ মিনিটের গোলে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল মোরিয়াসুদের। সেই মোরিয়াসুর ছকেই এবার বিশ্বকাপে স্বপ্নের দৌড় জারি রেখেছে জাপান।
1/5১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইং ম্যাচে শেষ মিনিটে ইরাকের গোলের জেরে বিশ্বকাপে যাওয়া হয়নি মোরিয়াসুর। সেই ম্যাচটি হয়েছিল দোহায়। শেষ মুহূর্তে ইরাক গোল মেরে ম্যাচে সমতা ফিরিয়েছিল। সেই ম্যাচ না হারলেও বিশ্বকাপের টিকিট পায়নি জাপান। সেই ম্যাচকেই জাপানে ‘ট্র্যাজেডি অফ দোহা’ বলা হয়। সেবার বিশ্বকাপে খেলতে পারলে সেটাই হত জাপানের অভিষেক। (AP)
2/5ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদে মোরিয়াসু বলেন, ‘ম্যাচ শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে আমার মাথায় 'দোহার ট্র্যাজেডি'র স্মৃতি ঘুরপাক খাচ্ছিল। কিন্তু ঠিক সেই সময়ে, খেলোয়াড়রা বলের দকল পেতে আগ্রাসী চ্যালেঞ্জ করে। আমি বুঝতে পারি, সময় বদলে গিয়েছে। জাপানি ফুটবলের নতুন যুগ শুরু হয়েছে। নতুন মনোভাব নিয়ে খেলছেন এই খেলোয়াড়রা।’ (AP)
3/5জাপানের কোচ বলেন, ‘স্পেন বিশ্বের সেরা দলগুলির মধ্যে একটি। আমরা খেলার আগে জানতাম যে এই ম্যাচটি খুব কঠিন হতে চলেছে। সত্যিই সেটাই হয়েছিল। কিন্তু খেলোয়াড়রা জেদ ধরে রাখে এবং অধ্যবসায় বজায় রেখে তারা খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়।’ (AP)
4/5মোরিয়াসু আরও বলেন, ‘আমরা একজোট হয়ে খেলতে পেরেছি বলে সবাই উচ্ছ্বসিত। অনেক সমর্থক জাপান থেকে এসেছিলেন আমাদের ম্যাচ দেখার জন্য। বাড়িতেও অনেকেই এই ম্যাচ দেখেছেন। আমরা জাপানের জনগণকে এই জয় উপহার দিচ্ছি। এতে আমরা খুবই খুশি।’ (AP)
5/5এদিকে জাপানের জয়ের পর সেদেশের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ফোন করেন দলের কোচ মোরিয়াসুকে। সাংবাদিকদের জাপানের প্রধানমন্ত্রী এই ম্যাচ নিয়ে বলেন, 'আমি সকালে (জাপানি সময়ে) খেলা দেখছিলাম, এবং আমি জাপানের ঐতিহাসিক জয়ের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানাই সবাইকে।' ফোনে মোরিয়াসুর সঙ্গে কিশিদার কথাও হয়। প্রধানমন্ত্রীকে নাকি মোরিয়াসু বলেছিলেন, ‘আমি খুব খুশি যে আমরা জাপানের জনগণের মধ্যে সাহস ও শক্তি আনতে পেরেছি এই জয়ের মাধ্যমে।’ (AP)