প্রাক্তন আন্তর্জাতিক গোলরক্ষক কুপ্পুস্বামী সম্পথ মঙ্গলবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন। ১৯৭০ সালে ব্যাঙ্ককে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে যে দল ব্রোঞ্জ জিতেছিল, সেই দলের অংশ ছিলেন কুপ্পুস্বামী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
তিনি মহীশূর দলের মেন্টর ছিলেন। যে দলটি ১৯৬৯ সালে শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে শিরোপা জিতেছিল। ১৯৭০ সালে মেরদেকা কাপে ভারতকে তৃতীয় স্থান অর্জন করতেও তিনি সাহায্য করেছিলেন। সম্পথ মহীশূর দল ছাড়াও ন্যাশনালস সার্ভিস এবং গোয়ার হয়েও খেলেছিলেন। সম্পথ ছোট বয়স থেকেই সাহসী গোলরক্ষক ছিলেন। যিনি অনেক কম বয়সে ১৯৬৫ সালে কুইলনে প্রথম ন্যাশনালসে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছিলেন।
সম্পথের উচ্চতা ৬ ফুট ২ ইঞ্চি। তিনি ভারতীয় দলের খেলার আগে স্থানীয় লিগ এমইজিতে খেলেন। এরপর তিনি মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে যোগ দেন। তারপর তিনি যোগ দেন ডেম্পোতে। কুপ্পুস্বামীর দলের সদস্য এমএস কৃষ্ণমূর্তি বলেন, ‘বিভিন্ন সময় তাঁর চোট আঘাত কেরিয়ারকে অনেক সমস্যার মধ্যে ফেলেছিল। তিনি ১৯৮১ সালে এনআইএস ডিপ্লোমা কোর্সের জন্য আমার এবং অরুমাইনয়াগমের সঙ্গে ছিলেন।’
সম্পথ ১৯৯৮ সালে ব্যাঙ্কক এশিয়ান গেমসে ভারতের গোলকিপিং কোচ ছিলেন। তিনি আইএফএ শিল্ড, ডুরান্ড এবং রোভার্স কাপ-সহ দেশের সব বড় টুর্নামেন্টে খেলেছেন। এছাড়াও তিনি বিইএল এবং মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের দলেরও মেন্টর ছিলেন।
সম্পথের বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী যমুনা এবং কন্যা রাজেশ্বরী দেবী। তিনি স্থানীয় প্রতিভা তুলে আনতে ও পরিচর্যা করতে আগ্রহী ছিলেন। তিনি তিলক মেমোরিয়াল এফসি নামক একটি ক্লাব চালাতেন। যারা এখন এ ডিভিশনে রয়েছে। সম্পথের কন্যা রাজেশ্বরী দেবী বলেন, ‘ক্লাবটি আমার বাবার তৈরি। এটি পরিচালনা আমরা সম্মানের সঙ্গে করব।’ মঙ্গলবার সম্পথের শেষকৃত্য হয়। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ভারতীয় ফুটবল মহলে। শোকপ্রকাশ করেছে কর্ণাটক রাজ্য ফুটবল সংস্থা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।