স্টিভন কনস্ট্যান্টাইনের বিদায় নিশ্চিত ছিলই। কিন্তু কে লাল-হলুদের কোচ হবেন, তা নিয়ে বড় জল্পনা চলছিল। সের্জিয়ো লোবেরাকে ইস্টবেঙ্গল কোচ করে আনতে চাইলেও, তিনি ডজ দিয়ে পড়শি রাজ্যের আইএসএলের টিম ওড়িশা এফসি-তে চলে যান। তবে এতে কোনও রকম হাহুতাশ না করে, বরং কয়ে দিনের মধ্যেই নতুন কোচের নাম ঘোষণা করে দিল ইস্টবেঙ্গল এফসি। আর লাল-হলুদের নতুন কোচ হতে চলেছেন সুনীল ছেত্রীদের প্রাক্তন কোচ। বেঙ্গলুরু এফসি-কে ২০১৮-১৯ মরশুমে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন করা কোচ কার্লস কুয়াদ্রাতের সঙ্গে ২ বছরের চুক্তি করে ফেলল ইস্টবেঙ্গল। মঙ্গলবার স্টিভন কনস্ট্যান্টাইনের বিদায়ের দিনই নতুন কোচের নামও আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হল লাল-হলুদের তরফে।
৫৮ বছরের এই স্প্যানিশ কোচ সহকারি হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন বেঙ্গালুরু এফসি-তে। ২০১৬ থেকে ২০১৮-এর শুরু পর্যন্ত তিনি দলের সহকারি কোচ ছিলেন। সেই সময় বেঙ্গালুরু ফেডারেশন কাপ এবং সুপার কাপ জেতে এবং দেশের প্রথম ক্লাব হিসাবে এএফসি কাপের ফাইনালে ওঠে।
আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষের অনুষ্ঠানে সলমন খানের সঙ্গে থাকছেন সোনাক্ষী সিনহা, প্রভু দেবারাও
এর পর ২০১৮-২১ পর্যন্ত তিনি পূর্ণ কোচের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৮-১৯ মরশুমেই বেঙ্গালুরুকে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন করান তিনি। আইএসএলের ইতিহাসে কুয়াদ্রাতের বেঙ্গালুরুই প্রথম দল ছিল, যারা পয়েন্ট তালিকায় প্রথম স্থানে শেষ করে এবং ট্রফিও জেতে। পরের মরসুমেও বেঙ্গালুরুকে প্লে-অফে তোলেন কুয়াদ্রাত।
২০০৯ সালে গালাসাতারোর কন্ডিশনিং কোচ হিসেবে নিজের যাত্রা শুরু করেছিলেন কুয়াদ্রাত। এর পর তিনি সৌদি আরবের জাতীয় দলের সহকারি কোচ হিসেবে যুক্ত হন। তিনি এল সালভাডোরের জাতীয় দলের সহকারি কোচ হিসেবেও কাজ করেছেন। তবে ভারতে এসেই প্রথম পূর্ণ কোচের দায়িত্ব পান তিনি। আইএসএলে কোচিং করানোর পর তিনি সাইপ্রাসের ক্লাব অ্যারিস লিমাসোলে কোচিং করাতে যান। বর্তমানে তিনি এফসি মিডট্যাল্যান্ড ক্লাবে কোচিং করাচ্ছেন।
ইস্টবেঙ্গল এফসি-র সঙ্গে চুক্তির পর কুয়াদ্রাত বলেছেন, ‘আগামী ২ বছরের জন্য ইস্টবেঙ্গলের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়ে আমি খুব গর্বিত। এটা খুবই রোমাঞ্চকর যে ঐতিহাসিক একটি ক্লাব, যারা ভারতীয় ফুটবলে অনেক ট্রফি জিতেছে, তাদের দায়িত্ব নিতে চলেছি। আমাকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সেই সুযোগ করে দিয়েছে।’
তিনি যোগ করেছেন, ‘আমি ভারতে ফিরে আসতে পেরে আনন্দিত। ভারত এমন একটি দেশ, যাকে আমি খুব ভালোবাসি এবং যেখানে আমি অনেক আনন্দের মুহূর্ত কাটিয়েছি। আমি আনন্দের নতুন মুহূর্ত তৈরি করতে মুখিয়ে। আমার সমস্ত শক্তি দিয়ে কাজ করব এবং লাল-হলুদের ভরা স্টেডিয়ামের সাক্ষী থাকার আশা করছি।’