কেরিয়ারের ১,০০০ তম ম্যাচে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপের ‘রাউন্ড অফ ১৬’-র ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে যেভাবে খেললেন, যে অবিশ্বাস্য দক্ষতায় গোলটা করলেন, তাতে চোখ জুড়িয়ে গেল। তবে মেসি আপাতত সেইসব নিয়ে ভাবছেন না। বিশ্বকাপের দিকে এমনই পাখির চোখ করেছেন যে ১,০০০ তম ম্যাচে নামছেন, সেটা শনিবার জানতে পারেন।
রবিবার (ইংরেজি মতে) অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ গোলে হারানোর পর সাংবাদিক বৈঠকে আর্জেন্তিনার অধিনায়ক মেসি বলেন, ‘আমি আজ জানতে পারলাম যে এটা (অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রাউন্ড অফ ১৬-র ম্যাচ) ১,০০০ তম ম্যাচ। আমি বর্তমানে থাকতে ভালোবাসি। আমরা যে পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, সেটা আমি উপভোগ করছি। আরও একটি ধাপ এগিয়ে যেতে পেরে এবং কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠে আমি খুশি।’
পেশাদারি কেরিয়ারের ১,০০০ তম ম্যাচে আল রায়ানের মাঠে যে খেলোয়াড় ছিলেন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে যে গোলটা করেন, সেটা বাঁধিয়ে রাখার মতো। ওই গোলের কোনও ব্যাখ্যা হয় না। স্রেফ উপভোগ করতে হয় সবাইকে। সেইসঙ্গে মেসির যুগে জন্মানোয় নিজেকে ভাগ্যবান মনে করতে হয়। যে মেসি ১,০০০ ম্যাচে মোট ৭৮৯ টি গোল করেছেন। শুধু বার্সেলানোর হয়েই ৭৭৮ ম্যাচে ৬৭২ টি গোল করেন মেসি।
অস্ট্রেলিয়ার চাপ তৈরি
মেসি গোলের মুখ খুলে দেওয়ার পর ৫৭ মিনিটে আর্জেন্তিনার ব্যবধান বাড়ান জুলিয়ান আলভারেজ। সেই গোলটা অবশ্য উপহার দেন অস্ট্রেলিয়ার গোলকিপার। তাঁর ভুলেই গোল করে যান আলভারেজ। তবে ম্যাচের শেষের দিকে অস্ট্রেলিয়া চাপ বাড়ায়।
৭৭ মিনিটে এনজো ফার্নান্দেজের আত্মঘাতী গোলের পর যেন বাড়তি উদ্যম পান ‘সকারুজ’-রা। একবার তো প্রায় গোল হয়েই যাচ্ছিল। দুর্দান্ত ডিফেন্সিং ব্লকে আর্জেন্তিনাকে রক্ষা করেন লিয়ান্দ্রো মার্তিনেজ। আর ম্যাচের শেষলগ্নে গোলকিপার মার্তিনেজ দুর্দান্ত সেভ করে আর্জেন্তিনার জয় নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: ARG vs AUS: FIFA World Cup-এর নকআউটে প্রথম গোল, মারাদোনাকে টপকালেন মেসি, সামনে শুধু বাতিস্তুতা
ম্যাচের শেষমুহূর্তে সেই চাপ নিয়ে মেসি বলেন, ‘আমরা এই ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণ করেছি (ছড়ি ঘুরিয়েছি)। একেবারে শেষমুহূর্তে দিবুর (গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ) যে বলটা বাঁচাল, সেটা ছাড়া আমরা খুব একটা বেশি সমস্যায় পড়িনি। আমরা এগিয়ে যেতে পেরেছিলাম। দ্বিতীয় গোল করেছিলাম এবং ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছিলাম। ওরা আমাদের মার্ক করেছিল এবং শেষের দিকে আমাদের জন্য কাজটা কিছুটা কঠিন করে তুলেছিল। কিন্তু এটা বিশ্বকাপ এবং এভাবেই হয় বিশ্বকাপে।’
সেইসঙ্গে মেসি বলেন, ‘এটা কঠিন ম্যাচ ছিল। এটা কঠিন দিন ছিল। বিশ্রামের জন্য খুব অল্প সময় পাওয়া গিয়েছিল। আমরা খুব ক্লান্ত ছিলাম। ম্যাচটা শারীরিকভাবে নিংড়ে দিয়েছে। এই ম্যাচটা জিতে (বিশ্বকাপ জয়ের দিকে) আরও একধাপ এগিয়ে যেকে পারায় আমরা খুশি। আমরা (কোয়ার্টার-ফাইনালে) উঠে গিয়েছি, সেটাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।