এফসি গোয়ার মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে সকলকে চমকে দিল জামশেদপুর এফসি। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে নেরিজুস ভালস্কিসের দশ মিনিটের ব্যবধান জোড়া গোলে কাঁপুনি ধরল গোয়ার রক্ষণে। আর সেই খেসারতই গোয়াকে দিতে হল ম্যাচ হেরে।
এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধেই নজর কেড়েছিলেন নেরিজুস ভালস্কিসরা। আর বৃ এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে দুরন্ত ফুটবল খেলে জামশেদপুর। যদিও দুই দলের শক্তিশালী রক্ষণ এবং গোলকিপারদের ভালো পারফরম্যান্সের উপর ভর করে প্রথমার্ধ গোলশূন্যই ছিল। কিন্তু ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ৫১-৬১ মিনিটেই ভালস্কিস পুরো ম্যাচের রং-ই বদলে দিল।
বিরতির আগে গোলশূন্য ফল থাকায়, দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে দুই দলই গোলের জন্য মরিয়া ছিল। ৪৯ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে গোল করার চেষ্টা করেছিল গোয়ার দল। কিন্তু এডু বেদিয়ার বাঁপায়ের জোরালো শট জামশেদপুর এফসির গোলকিপারের হাতে জমা পড়ে। এর পরেও সেই এডু বেদিয়া চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সে ভাবে কোনও লাভ হয়নি। ম্যাচের ৫১ মিনিটে গ্রেগ স্টুয়ার্টের থেকে বল পেয়ে জালে জড়াতে এতটুকু ভুল করেননি জমশেদপুরের ভালস্কিস। ৬১ মিনিটে তিনি করেন দ্বিতীয় গোল। এই দুই গোলহওয়ার পরেই চাপে পড়ে যায় গোয়া।
ম্যাচের ৮০ মিনিটে তিন নম্বর গোলটি করে জামশেদপুর এফসি-র জর্ডন মারে। ৩-০ জামশেদপুর এগিয়ে যাওয়ার পরেই দলের মধ্যে সম্ভবত একটা গাছাড়া ভাব এসেছিল। সেই সুযোগে আক্রমণের চেষ্টা করে। তবে ৮৩ মিনিটে গোয়ার বেদিয়ার শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। ৮৬ মিনিটে জর্জ অর্টিজের থেকে বল পেয়ে একটি গোল শোধ করেন আইরাম ক্যাব্রেরা। গোলের ব্যবধান কমালেও আখেরে ৩ পয়েন্ট হাতছাড়া হয় গোয়ার।
এই জয়ের ফলে ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত লিগ টেবলের শীর্ষে উঠে এল জামশেদপুর এফসি। এফসি গোয়া আবার পরপর দুই ম্যাচ হেরে লিগ তালিকার লাস্টবয় হয়েই থেকে গেল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।