এ দিন ইংল্যান্ডের ডিফেন্স মারাত্মক খারাপ খেলেছে। পিকফোর্ড তিন কাঠির তলায় না থাকলে, ব্রিটিশদের আরও গোল হজম করতে হত। এ দিন ইংল্যান্ডের খেলার সেই ছন্দটাই পাওয়া যায়নি। বরং ফ্রান্স অনেক গোছানো ফুটবল খেলেছে। অঙ্ক কষে খেলেছে। যার সুফলও তারা পেয়েছে। ইংল্যান্ড তো পেনাল্টি ছাড়া ফিল্ড গোল করতে পারেনি। তাও একটি পেনাল্টি থেকে গোল করলেও, দ্বিতীয়টি মিস করেছেন হ্যারি কেন। ফ্রান্স যোগ্য দল হিসেবেই এ দিনের ম্যাচ জিতেছে। তাও ফ্রান্সের ২টি ভুল থেকেই ২টি পেনাল্টি পেয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। একটি মিস হওয়াতে রক্ষা পেয়েছে ফরাসি ব্রিগেড। সেমিফাইনালে ফ্রান্স মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ডের।
জিতে সেমিফাইনালে ফ্রান্স
ইংল্যান্ডের ডিফেন্স খুব খারাপ খেলেছে এ দিন। সঙ্গে হ্যারি কেনের পেনাল্টি মিস- যার খেসারত ইংল্যান্ডকে দিতেই হত। ম্যাচ হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে গেল ব্রিটিশরা। তারা আর চোকার্স তকমা ঘোচাতে পারল না। ২-১ জয় ছিনিয়ে নিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
৮ মিনিট ইনজুরি টাইম
সমতা ফেরানোর জন্য আর ৮ মিনিট আছে ইংল্যান্ডের হাতে। পারবে তারা ২-২ করতে?
উফফফ…… পোনাল্টি মিস করলেন হ্যারি কেন
৮৪ মিনিট- পেনাল্ট মিস!!! হ্যারি কেন পেনাল্টি শট নিতে এসেছিলেন। নার্ভ ধরে রাখতে পারেননি। শটটি বাইরে মারেন। পেনাল্টি মিস করার ফলে ইংল্যান্ডের হাত থেকে ম্যাচ বের হয়ে গেল নাতো?
পেনাল্টি পেল ইংল্যান্ড
৮২ মিনিট- একটি লম্বা উঁচু শট লক্ষ্য করে গোলের ভিতর ঢুকছিলেন মাউন্ট। তাঁকে ডি-বক্সের ভিতর ফাউল করে বসেন থিও হার্নান্ডেজ। প্রথমে রেফারি দেননি পেনাল্টি। পরে ইংল্যান্ডের দাবিতে ভারের সাহায্য নেন। ভার চেক করে পেনাল্টি দেন ইংল্যান্ডকে। সমতা ফেরানোর বড় সুযোগ ইংল্যান্ডের কাছে।
গোওওওওলললললল.. ২-১ করলেন ফ্রান্সের জিরু
৭৮ মিনিট: গ্রিজম্যানের কর্নার থেকেই গোলের মুভ। গ্রিজম্য়ানের ক্রস প্রতিপক্ষ ডিফেন্সে ধাক্কা খেয়ে তাঁর কাছেই ফেরে। গ্রিজম্য়ানের ক্রস থেকে হেডে গোল অলিভিয়ের জিরুর।
পিকফোর্ডের দুরন্ত সেভ
৭৭ মিনিট- জিরুর শট দুরন্ত সেভ করল পিকফোর্ড। নিশ্চিত গোল ছিল। কোনও মতে রক্ষা পেল ইংল্য়ান্ড। নিঃসন্দেহে ব্রিটিশ ডিফেন্সের হাল খুব খারাপ।
ফোডেন বল বিপদমুক্ত করেন
৬৮ মিনিট- এমবাপের ক্রস বুঝতে পারেননি শ'। দেম্বেলের কাছে বল গেলে, তিনি ব্যাক ভলিতে জিরুকে পাঠান। ফোডেন কোনও মতে ক্লিয়ার করেন।
গোওওওওললললল- সমতা ফেরাল ইংল্যান্ড
৫৪ মিনিট- পেনাল্টি নেন ব্রিটিশ অধিনায়ক। লোরিসকে পরাস্ত করে হ্যারি কেন গোল করতে কোনও ভুলে করেননি। ১-১ সমতা ফেরাল ইংল্যান্ড।
পেনাল্টি পেল ইংল্যান্ড
৫২ মিনিট- সাকা ডান ফ্ল্যাঙ্ক থেকে ড্রিবল করেন। তিনি বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়লে, চৌমেনি তাঁকে ফাউল করেন। রেফারি পেনাল্টি দেন।
দুরন্ত সেভ লরিসের
৪৮ মিনিট- প্রথমে বেলিংহ্যামের দুরন্ত শট বাঁচান লরিস। পরের মিনিটে ফোডেনের কর্নারকে ধরে ফেলেন ফরাসি কিপার। দুরন্ত সেভ।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
ইংল্যান্ড কি পারবে গোলের সমতা ফেরাতে? যদি দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোলের সমতা ফেরাতে না পারে, চাপ বাড়বে ইংল্যান্ডের।
বিরতিতে ১-০ এগিয়ে ফ্রান্স
ইংল্যান্ড যেন সে ভাবে নজর কাড়তে পারছে না। বিরতিতে ১-০ এগিয়েই রয়েছে ফ্রান্স। গোলের মুখ খুলতেই পারছে না ইংল্যান্ড।
এমবাপের মিস
৩৯ মিনিটে- মিডফিল্ডে ফ্রান্সের একটি শর্ট ফ্রি-কিক এবং গ্রিজম্যান বক্সের বাইরে ডেম্বেলেকে লক্ষ্য করে বল বাড়ান। তিনি হার্নান্ডেজকে বল দেন। বলটি তার পর এমবাপের কাছে গেলে তিনি গোল লক্ষ্য করে শট মারলেও, সেটি বেরিয়ে যায় বারের উপর দিয়ে।
বিপদমুক্ত করলেন রাবিওট
৩১ মিনিট- ফোডেনের একটি কর্নার শট নেন। এবং এতে ফ্রান্সের বক্সে একটি বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। ম্যাগুয়ার এবং বেলিংহ্যাম দু'জনেই এটিকে গোলের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং তার পরে রাবিওট বলটি বিপদমুক্ত করেন।
লরিসের সেভ
২২ মিনিট- সাকা রিভার্স পাস দেন হ্যারি কেনকে। সেটি কেন গোলে ঢোকানোর চেষ্টা করলে, লরিস ব্লক করেন। হেন্ডারসন এটিকে দূরের পোস্টে চিপ করে, কিন্তু বেলিংহ্যাম বলটি ধরতে পারেননি।
গোওওওওওলললল--- এগিয়ে গেল ফ্রান্স
১৭ মিনিট- কী দুরন্ত গোল। ফ্রান্সের কাউন্টার অ্যাটাকে উঠে গোলটি করেন! এমবাপে রাইসকে কাটিয়ে ডানদিকে সুইচ করেন এবং গ্রিজম্যানকে পাস বাড়ান। বলটি গ্রিজম্যান দেন চৌমেনিকে। গোল করতে কোনও ভুল করেননি চৌমেনি।
বড় সেভ পিকফোর্ডের
১১ মিনিট- জিরুর শট সরাসরি পিকফোর্ডের দিকে ধেয়ে যায়। তবে বাঁচিয়ে নেন পিকফোর্ড। বড় সেভ!
প্রথম ৫ মিনিটে নজর কাড়েনি কোনও দলই
৫মিনিট- পাঁচ মিনিট হয়ে গেলেও সে ভাবে কার্যকরী বা আহামরি কিছু করেনি ফ্রান্স বা ইংল্যান্ড কোনও দলই। টুকটাক আক্রমণ হলেও, বড় কিছু ঘটেনি এখনও।
খেলা শুরু
ফ্রান্স না ইংল্যান্ড- হাইপ্রোফাইল দুই দলের লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসবে কারা?
সাউথগেটকে সমীহ করছেন দেশঁ
ইংল্যান্ডের কোচ গ্যারেথ সাউথগেট সম্পর্কে দেশঁর গলায় শ্রদ্ধার সুর। বলেছেন, ‘গ্যারেথ বড় মাপের কোচ। ও নিজেকে বিভিন্ন পর্যায়ে প্রমাণ করেছে। গত বিশ্বকাপের মতো এবার কাতারেও ওর কোচিংয়ে দল ভাল খেলছে।’
এমবাপে বড় বাজি দেশঁর
ফ্রান্স–ইংল্যান্ড মহারণের কেন্দ্রবিন্দুতে সবচেয়ে বেশি আলোচনা ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপেকে নিয়ে। রাশিয়া বিশ্বকাপ জয়ে যাঁর ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। এ বারও প্রথম ম্যাচ থেকে দুরন্ত ছন্দে এবং গোলের মাঝে রয়েছেন তিনি। এতেই ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশঁ আত্মবিশ্বাসী। দেশঁ বলে দিয়েছেন, ‘কিলিয়ান হল কিলিয়ানই। অপেক্ষা করুন কিলিয়ান ভেল্কির জন্য। মাঠে নেমে পার্থক্য গড়ে দেবে, দলকে জেতাবেও।’
ইংল্যান্ড কি পারবে চোকার্স তকমা ঘোচাতে?
ইংল্যান্ড ফুটবল দলের বড় এবং শেষ সাফল্য ’৬৬ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। তার পর থেকে ইংল্যান্ডের বারবারই তীরে এসে তরী ডুবেছে। গত রাশিয়া বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে গ্যারেথ সাউথগেটের দলের দুরন্ত দৌড় থেমে যায় ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে। গত ইউরো কাপের ফাইনালে ঘরের মাঠে ইতালির কাছে টাইব্রেকারে হারটা ইংল্যান্ডবাসী এখনও হজম করে উঠতে পারেননি। নিজের ফুটবল জীবনের মতো কোচিং জীবনেও চোকার্স তকমা সেঁটে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচার এখন একটাই সুযোগ সাউথগেটের সামনে। হট ফেভারিট ফ্রান্সকে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে ট্রফি জেতার অন্যতম দাবিদার হওয়া। শুরু থেকে যে ধারাবাহিকতা নিয়ে খেলছে ইংল্যান্ড, তাতে ইংল্যান্ড ফুটবলপ্রেমীরা হ্যারি কেন, বিলিংহ্যাম, সাকা, র্যাশফোর্ড, গ্রিলিশ, গোলকিপার পিকফোর্ডদের নিয়ে স্বপ্ন দেখতেই পারেন।
হুঁশিয়ারি হ্যারি কেনের
ব্রিটিশ অধিনায়কের দাবি করেছেন, শিরোপা জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়েই কাতারে এসেছেন তাঁরা। হ্যারি কেন বলেন, ‘আমরা এখানে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে আসিনি। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচটাই বিশ্বকাপ ফাইনাল নয়, তবে বিশ্বকাপ জেতার পথে একটা বড় ধাপ। আমাদের মনোযোগ সেদিকেই। পরের রাউন্ডে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করব।’
ফ্রান্সের বিরুদ্ধে নামার আগে আত্মবিশ্বাসী ইংল্যান্ড। চার ম্যাচে তাঁদের গোল সংখ্যা ১২। ইংল্যান্ড অধিনায়ক মনে করছেন আগের বিশ্বকাপের থেকে এখন অনেক বেশি তৈরি ইংল্যান্ড দল। এই প্রসঙ্গে হ্যারি কেন বলেন, ‘২০১৮ সালে সেমিফাইনালে ওঠার পর সবাই আকাশে উড়ছিল। তবে আমাদের কি বিশ্বকাপ জেতার বিশ্বাস ছিল? আমার মনে হয়, না। আমি মনে করি এই বিশ্বাসটা তিন-চার বছর ধরে তৈরি হয়েছে এবং এখনও আছে। এই বিশ্বকাপে আমরা ট্রফি জেতার আত্মবিশ্বাস নিয়েই এসেছি। রাশিয়া বিশ্বকাপের তুলনায় এবার আমরা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী।’ আজ ফ্রান্সকে হারিয়ে নিজেদের গা থেকে চোকার্স তকমা কি ঝেড়ে ফেলতে পারবে ইংল্যান্ড?