শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে চুক্তি না হলে আইএসএল খেলা হবে না ইস্টবেঙ্গলের। বুধবার এমনই বার্তা দেওয়া হয়েছে এফএসডিএলের তরফে। এর পিছনেও অবশ্য যুক্তি রয়েছে। কারণ নতুন কোনও স্পনসর খুঁজে, তাদের সঙ্গে চুক্তি করে আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের যোগ দেওয়ার সময় আর নেই। সে ক্ষেত্রে আইএসএল খেলা হবে না লাল-হলুদের। যদি শ্রী সিমেন্টের শর্তে রাজি হয়ে চুক্তিপত্রে সই করে দেন কর্তারা, তবে লাল-হলুদের আইএসএল খেলতে আর কোনও সমস্যা থাকবে না। না হলে ১০ দল নিয়েই এ বার আইএসএল আয়োজন করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে এফএসডিএল।
বুধবার এফএসডিএলের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক ইস্টবেঙ্গল এবং ছিল শ্রী সিমেন্টের। যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের সিইও শিবাজি সমাদ্দার। শ্রী সিমেন্টের কাছে, ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে চুক্তির বিষয় নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। সেখানে শিবাজি সমাদ্দার পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, এই চুক্তি নিয়ে কী কী সমস্যা রয়েছে।
এফএসডিএলের পক্ষে সেই বৈঠকে বলা হয়েছে, এমনিতেই পরের মরশুমের আইএসএলের জন্য যে নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ, ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি হিসেবে দেখাতে হয়, তার সময়সীমা পার হয়ে গিয়েছে। কারণ এর জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। তবে আইএসএল আয়োজকেরা ইস্টবেঙ্গলের জন্য ছাড় দিয়েছে। তারা এখনও মনে করছে, শ্রী সিমেন্টের চুক্তিপত্রে সই করলেই যাবতীয় সমস্যার সমাধান হবে। তা ছাড়া ইস্টবেঙ্গল আইএসএল খেললে আখেড়ে টুর্নামেন্টটি আরও আকর্ষণীয় হবে, এটাও কিন্তু একটা বড় কারণেই।
এ দিন ভার্চুয়াল মিটিংয়ে শ্রী সিমেন্টের কোনও প্রতিনিধি যোগ দেবেন না বলে মনে করা হয়েছিল। কারণ চুক্তি না হলে আইএসএল নিয়ে মাথাই ঘামাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল শ্রী সিমেন্টের তরফে। তবে শিবাজি সম্মাদ্দার বলেন, এফএসডিএলের সিইও ফোন করে বৈঠকে অংশ নিতে বলেছিলেন। তাই তিনি যোগ দিয়েছিলেন।
এ দিকে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের দাবি, তাঁরা চুক্তিপত্রে সই করলে ক্লাব কার্যত বিক্রি করে দিতে হবে। যেটা তাঁরা মানতে পারছেন না। অন্য দিকে শ্রী সিমেন্ট টাকা দিলে, সব ক্ষমতা নিজেদের হাতেই রাখতে চাইছে। আর এই নিয়েই জটিলতা তীব্র আকার নিয়েছে।
ইস্টবেঙ্গলের বহু সমর্থকই আবার কর্তাদের বিরুদ্ধে তীব্র বিরোধীতা শুরু করেছেন। চুক্তিতে সই না করার জন্য আইএসএলে না খেলতে পারাটা কিছুতেই মানতে পারছেন না সমর্থকেরা। প্রায় প্রতিদিনই সমর্থকেরা নানা ভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ক্লাবের প্রধান কর্তা দেবব্রত সরকারের অপসারণের দাবি তুলেছেন তাঁরা।
নতুন মরশুম শুরুর আগে লগ্নিকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জন্য ক্লাব কর্তা দেবব্রত সরকারকেই দায়ী করেছেন সমর্থকেরা। ‘নিতু আউট’ বা ‘দিদি বললেই সব হবে’ এই সব আন্দোলনের বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল। বিনিয়োগকারীরা যে চুক্তিপত্র দিয়েছে, তাতে কর্তাদের সই করাতে বাধ্য করার জন্য এ বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। সমর্থকদের বিশ্বাস, মুখ্যমন্ত্রীই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি চুক্তিপত্রে সই করার জন্য লাল-হলুদ কর্তাদের বললে, তাঁরা আর টালবাহানা করতে পারবেন না।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।