শনিবার থেকে শুরু হয়েছে সুপার লিগ কেরালা, মোট ৬টি দল অংশ নিচ্ছে টুর্নামেন্টে। এই মরশুমের দলগুলি হল কান্নুর ওয়ারিয়র এফসি, ফোর্সা কচি এফসি, তিরুবন্তপুরম কোম্বান এফসি, কালিকট এফসি, ত্রিসূর ম্যাজিক ও মালাপ্পুরম এফসি। অনেক আগে থেকে এই লিগের পরিকল্পনা থাকলেও এবছরই প্রথম বাস্তবায়ন সম্ভব হল। কেরালা ফুটবল অ্যাসোসিয়শন ও ইউনাইটেড ফুটবল স্পোর্টস ডেভলপমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড যৌথভাবে এই লিগ পরিচালনা করছে। প্রথম বছরেই বেশ সাড়া ফেলেছে সুপার লিগ কেরালা। ইতিমধ্যেই কিছু কিছু বিষয়ে এই লিগ ফেল করিয়েছে আইএসএল-কে। অন্যদিকে জৌলুশ বলা হোক বা পরিকাঠামো সব কিছুতেই সুপার লিগ কেরালার থেকে ঢের পিছিয়ে ঐতিহ্যশালী কলকাতা লিগ।
যেখানে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ বিগত কয়েক মরশুম টাইটেল স্পন্সর বিহীন থেকেছে সেখানে প্রথম মরশুমেই মাহিন্দ্রাকে নিজেদের টাইটেল স্পন্সর ঘোষণা করে চমক দিয়েছে সুপার লিগ কেরালা। শুধু এখানেই থেমে নেই তারা, শোনা যাচ্ছে আগামী মরশুম থেকে ভিএআর (ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট রেফারি) চালু করা হবে এই লিগে। এদিকে দেশের প্রথম শারির লিগ আইএসএল বাজেট না থাকায় এখনও চালু করতে পারেনি এই ফিচার! যেখানে এমনকি কলকাতা লিগের সুপার সিক্সের ম্যাচেও গোল লাইন টেকনোলজির ব্যবহার দেখা যাবে। সুপার লিগ কেরালার বহু দল তো নিজেদের স্টেডিয়াম তৈরি করার কথা ঘোষণা পর্যন্ত করে দিয়েছে। নিঃসন্দেহে এর ফলে উন্নত হবে ভারতীয় ফুটবল। এই ধরনের লিগের প্রয়োজনীয়তা আরও, যতবেশি এই ধরনের টুর্নামেন্ট চালু হবে তত বেশি ফুটবলের পরিকাঠামো তৈরি হবে। আরও বেশি লাভবান হবে ভারতের তরুণ ফুটবলাররা।
কলকাতা লিগ কোনও ভাবেই এই কেরালা সুপার লিগের কাছাকাছি নেই। বর্তমানে কলকাতা লিগ যেভাবে চলছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ফুটবল সমর্থকরা। ইতিমধ্যেই IFA-র বিভিন্ন সিদ্ধান্ত সমালোচিত হয়েছে। কলকাতা লিগে এখন কোনও বিদেশি খেলানো যায় না, ফলে জৌলুশ কমেছে অনেকগুণ। কিন্তু অপর দিকে কেরালা সুপার লিগের দলগুলিতে আইএসএলে খেলা অনেক তারকা ফুটবলারকেই খেলতে দেখা যাচ্ছে। অনেকেই মনে করেন যদি পেত্রাতোস, সিলভাদের মতো খেলোয়াড়দের কলকাতা লিগে খেলানো যেত তাহলে আকর্ষণ অনেকটাই বৃদ্ধি পেত, তরুণ ফুটবলাররাও আরও বেশি শিখতে পারত। কলকাতার তিন প্রধান মুখ ফিরিয়েছে এই লিগ থেকে, সেটাও একটা বড় কারণ লিগের আকর্ষণ কমার। মূলত ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ও মহামেডান তাদের রিজার্ভ দলকে এই লিগে খেলিয়ে থাকে। বর্তমানে অনেক আধুনিক হয়েছে ফুটবল, তাই দেশীয় ফুটবলেও প্রয়োজন আধুনিকীকরণ। দেশকে ফিফা বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখতে হলে এগিয়ে আসতে হবে রাজ্য ফুটবল সংস্থাগুলিকেও। নিয়ে আসতে হবে কর্পোরেট বিনিয়োগ। তবেই উন্নতি হবে পরিকাঠামোর, তৈরি হবে ভবিষ্যতের সুনীল, রোনাল্ডো কিংবা মেসি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।