গোকুলাম কেরালা এফসিকে আর কালিকটের ইএমএস স্টেডিয়ামে তাদের হোম ম্যাচ খেলতে দেওয়া হবে না। প্রাক্তন আই-লিগ চ্যাম্পিয়ন এবং বর্তমান তিন বারের ভারতীয় মহিলা লিগ চ্যাম্পিয়নরা গত ছয় বছর ধরে এই স্টেডিয়ামে খেলে আসছে।
ইএমএস স্টেডিয়ামটি কোঝিকোড় কর্পোরেশনের মালিকানাধীন, যারা গোকুলম কেরালা এফসি-র সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। যে চুক্তি অনুযায়ী, এই স্টেডিয়ামটিকে গোকুলমকে ঘরের মাঠ হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতি পেয়েছিল। এই স্টেডিয়ামে যাতে শীর্ষ স্তরের ফুটবল প্রতিযোগিতা আয়োজন করা যায়, তার জন্য মেরামত করার ক্ষেত্রে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করেছিল। ২০১২ সালে ভিভা কেরালা এফসি বন্ধ হওয়ার পর থেকে যেটা পরবর্তীতে করা হয়নি।
তবে এই বছর মালাবারিয়ান এবং কোঝিকোড় কর্পোরেশনের মধ্যে সমস্যা তৈরি হয়েছে। যেহেতু পরের এপ্রিলে সুপার কাপ আয়োজনের জন্য অতিরিক্ত সংস্কারের চেষ্টা করতে শুরু করে- যার মধ্যে একটি একেবারে নতুন পিচ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এর মাঝেই অভিযোগ ওঠে যে, কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ গোকুলম এফসি-র রক্ষণাবেক্ষণের অধীনে স্টেডিয়ামের অবস্থা নিয়ে খুশি নয়।
প্রসঙ্গত, ২০২০ থেকে ২০২৩ সালে কোভিডের সময় কালে এই স্টেডিয়ামে প্রায় কোনও ফুটবল খেলা হয়নি। এর আগে স্টেডিয়ামের অবস্থা সম্পর্কে কারও কাছ থেকে কোনও অভিযোগ ছিল না। কারণ মালাবিয়ারিয়ানরা আই-লিগের চারটি মরশুম এই ভেন্যুতেই খেলেছিল।
যদিও গোকুলম কেরালা এফসি-এর ভক্ত এবং ফুটবলপ্রেমীরা আশা করেছিল, কর্পোরেশন এবং ক্লাবের মধ্যে একটি সমাধানের। শেষ পর্যন্ত সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি। এবং কর্পোরেশনের তরফে গোকুলমের সঙ্গে চুক্তি পুনর্নবীকরণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দেশজুড়ে ফুটবল ভক্তরা এই সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছেন। এই স্টেডিয়ামে খেলেই গোকুলম কেরালা ফুটবলে অভূতপূর্ব সাফল্য এনে দিয়েছে। গোকুলম কেরালা এফসি ইতিমধ্যেই কেরালা ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ক্লাব, তাদের নামে ছ'টি জাতীয় পর্যায়ের ট্রফি রয়েছে (২টি আই-লিগ শিরোপা, ১টি ডুরান্ড কাপ শিরোপা এবং ৩টি ভারতীয় মহিলা লিগ শিরোপা)। অনেকেই দাবি করেছেন যে, রাজনীতির কারণেই গোকুলমের সঙ্গে এমন আচরণ করা হয়েছে।
গোকুলম কেরালা ম্যানেজমেন্ট এতে ক্ষিপ্ত। ক্লাবের মালিকেরা কেরালা থেকে সরে যাওয়ার কথা ভাবছে। তবে মালাবারিয়ানদের কাছে এখনও কেরালার মধ্যে তাদের কাছে অন্যান্য বিকল্প রয়েছে। যার মধ্যে মঞ্জেরির মালাপ্পুরম জেলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স স্টেডিয়াম।
যদিও গোকুলমের পক্ষে এই সমস্যাটি সমাধান করা এবং কোঝিকোড় কর্পোরেশনের সঙ্গে তাদের চুক্তি পুনর্নবীকরণ করার বিষয়টি এখনও অসম্ভব নয়। যেমন বেঙ্গালুরু এফসি কর্ণাটক সরকারের সঙ্গে তাদের সমস্যাগুলি মীমাংসা করতে সক্ষম হয়েছিল। এবং শ্রী কান্তিরভা স্টেডিয়ামকে তাদের হোম গ্রাউন্ড হিসাবে ব্যবহার করে চলেছে। আই-লিগের পরবর্তী মরশুমের আগে এখনও কয়েক মাস বাকি আছে। গোকুলমের কাছে এমন একটি সমাধান বের করার পর্যাপ্ত সময় আছে।
মজার বিষয় হল, কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি আবার তাদের ঘরের মাঠ, কোচির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম ব্যবহার নিয়ে গ্রেটার কোচি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির সঙ্গে সমস্যায় জড়িয়েছে। এমন কী কেবিএফসি সম্ভাব্য ভাবে তাদের বেস কোঝিকোড়ের ইএমএস স্টেডিয়ামে স্থানান্তরিত করার বিষয়েও আলোচনা করেছে। যাইহোক, এই ধরনের পদক্ষেপে গোকুলমের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কারণ এএফসি ক্লাব লাইসেন্সিং নিয়ম অনুযায়ী দু'টি ক্লাবের মধ্যে গ্রাউন্ডশেয়ারের অনুমতি দেয়। যেমন সল্টলেক স্টেডিয়ামটি ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান উভয়েরই হোম মাঠ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।