মে মাসের শুরুতেই এটিকে মোহনবাগানে সইসাবুদ সেরে ফেলেছিলেন রয় কৃষ্ণ। তবে সরকারি ভাবে ঘোষণা হল বৃহস্পতিবার। এই ঘোষণার পরেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে রয় কৃষ্ণ বলে দিয়েছেন, ‘সদস্য সমর্থকদের ভালবাসা এবং কলকাতার মানুষের আন্তরিকতার জন্য আমার এখন দ্বিতীয় ঠিকানা হয়ে গিয়েছে ভারত।’
তবে করোনার জন্য যে ভারতে আসার ব্যাপারের কৃষ্ণের কিছুটা হলেও দ্বিধা ছিল, সে কথা জানাতে ভোলেননি ফিজির তারকা স্ট্রাইকার। তিনি বলেছেন, ‘তবে কোভিড পরিস্থিতির কারণে এখানে আসার ব্যাপারে কিছুটা হলেও দ্বিধা ছিল। কিন্তু ক্লাব ম্যানেজমেন্ট আমার এবং আমার পরিবারের সমস্ত দ্বিধা কাটিয়ে সুরক্ষার ব্যাপারে আশ্বস্ত করে। তার পরেই আমি নতুন চুক্তিতে সই করি।’
তবে করোনার জন্য এখন ফিজির অবস্থা একেবারেই ভাল নয়। রয় কৃষ্ণ বলেওছেন, ‘আমার দেশ ফিজিতে কোভিড পরিস্থিতি খুবই খারাপ। প্রতিদিন আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। নানা বিধি নিষেধের মধ্যেও নিজেকে ফিট রাখার জন্য বাড়িতেই ট্রেনিং করেছি।’
এই প্রথম এএফসি কাপে খেলবেন রয় কৃষ্ণ। যে কারণে উত্তেজিত ফিজির তারকা। তিনি বলেছেন, ‘জীবনে প্রথম এএফসি কাপ খেলব। এই টুর্নামেন্টে যারা খেলতে আসবে, সব দলই ভাল। তাই সবাইকে সমীহ করতে হবে। আমরাও নিজের সেরাটা দিয়ে সব ম্যাচ জেতার জন্য মুখিয়ে থাকব। আমাদের প্রধান লক্ষ্যই হবে, এই টুর্নামেন্টের পরের পর্বে যাওয়া। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারব। মলদ্বীপে গিয়ে সেরাটা দেওয়ার সব রকম চেষ্টাই করব।’
গত বছর খুব অল্পের জন্য ট্রফি হাতছাড়া হয়েছে এটিকে মোহনবাগানের। সেই আফসোসটা এ বার সুদে-আসলে মিটিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর রয়। বলেওছেন, ‘ক্লাবকে ট্রফি জেতানোর জন্য আমি সব সময়েই সেরা দিয়ে থাকি। ক্লাবে সব ম্যাচ জেতানোর জন্য চেষ্টা করি। গত মরশুমে অবশ্য ভাল খেলেও ট্রফি জিততে পারিনি। তবে সে সব এখন অতীত। এখন সামনের দিকে তাকাতে চাই।’
এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেছেন, ‘সামনেই এএফসি কাপের খেলা। এশিয়াতে ক্লাবকে প্রতিষ্ঠা করার বড় সুযোগ রয়েছে আমাদের সামনে। এই টুর্নামেন্টে ভাল কিছু করার জন্য আমি আত্মবিশ্বাসী।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।