চলতি মরশুমের প্রথম ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সকে হারানোর পরেও বেশ সতর্ক এটিকে মোহনবাগানের স্প্যানিশ কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। ডার্বির আগে সেই রকমই আভাস পাওয়া গেল হাবাসের গলায়। কেরালা ম্যাচে চার গোল দিলেও ২ গোল হজম করতে হয়েছিল এটিকে মোহনবাগানকে। সেটাই এখন ভাবাচ্ছে স্প্যানিশ কোচকে। তবে সব প্রশ্নের উত্তর তিনি মাঠেই দিতে চান। হাবাস চান, তাঁর দলের ছেলেরা এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে পুরো ৯০ মিনিট সমান তীব্রতায় খেলুক।
গত বছর দু’টো ডার্বিতেই জিতেছিল এটিকে মোহনবাগান, এবারেও কী ফল এক হবে? তবে হাবাস মনে করেন প্রত্যেক দিন যেমন একই কাজের একই ফল পাওয়া যায় না, তেমনই ইতিহাসের পুণরাবৃত্তি সব সময় হয় না। এই ম্যাচ সম্পর্কে যে ধারণা সকলের আছে, তাতে এটা ঠিকই যে বিপক্ষের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রাখছে হাবাস অ্যান্ড কোম্পানি। পরিস্থিতি, পরিবেশ ও বিপক্ষে কেমন খেলছে, সেই অনুযায়ী কৌশল বা পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে চান হাবাস। সবুজ মেরুন কোচ বলেন, ‘খেলোয়াড়, কোচেরা সব সময় বেশি কথা বলে না। ম্যাচের ৯০ মিনিটেই তারা যা বলার, বলে।’
এদিকে কেরালা ব্লাস্টার্স ম্যাচ ভুলে ডার্বির দিকে মন দিয়েছেন হাবাস। সমালেচকদের মতে কেরালা ম্যাচ জিতলেও বল পজেশনে পিছিয়ে ছিল রয় কৃষ্ণরা। হাবাস মনে করেন এটা ম্যাচে কোনও প্রভাব ফেলে না। তিনি বলেন, ‘এই তত্ত্বটা বোধহয় ঠিক না। আমার বল পজেশন বেশি থাকলেই যে ম্যাচ জিতব, এটা একেবারেই ঠিক না। সবসময় এটা সম্ভব হয় না। পরিসংখ্যান থেকে সত্যিটা বোঝা যায় না। আইএসএল বলুন, লা লিগা বলুন বা বুন্দেশলিগা, ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ গোল হয় কাউন্টার অ্যাটাকে বা দ্রুতগতির আক্রমণ থেকে। বাকি ৫-৬ শতাংশ হয় সেটপিস থেকে। বাকি ১০-১২ শতাংশ হয় পজেশনাল অ্যাটাকে। বল পজেশন বেশি থাকলে। এই সিস্টেম নিয়ে এগোনো মোটেই সহজ নয়। মাঠে আমাকে জায়গা তৈরি করে নিতে হবে। কারণ, জায়গা না পেলে কোনও দল আক্রমণে উঠতে পারে না। প্রতি ম্যাচে আলাদা প্রতিপক্ষ থাকলে তাদের খেলাও আলাদা হবে, ফলে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের খেলাও বদলে যাবে। আমি বুঝি না, লোকে কেন আমাদের কাছ থেকে একই ধরনের গতানুগতিক খেলা আশা করে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।