কাতারের 'চুরির গোল'-ও বাঁচাতে পারল না ইগর স্টিম্যাচকে। লাগাতার জঘন্য পারফরম্যান্সের জেরে চাকরি গেল ভারতীয় পুরুষ ফুটবল দলের হেড কোচের। সোমবার ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (এআইএফএফ) তরফে বলা হয়েছে, '(২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপের) যোগ্যতা-অর্জন পর্বে হতাশাজনক ফলাফলের বিষয়টি মাথায় রেখে সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নয়া হেড কোচই নিয়োগ করা ভালো।' সেইসঙ্গে ফেডারেশনের তরফে বলা হয়েছে, 'এআইএফএফ সচিবালয় থেকে স্টিম্যাচকে বরখাস্তের চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকেই তাঁকে তাঁর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল।'
ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে স্টিম্যাচকে?
কোচের ভাগ্য নির্ধারণ করতে রবিবার ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কর্তারা। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন ফেডারেশনের এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য ও ফিনান্স কমিটির চেয়ারপার্সন মেনলা ইথেনপা, এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য ও কম্পিটিশনস কমিটির চেয়ারপার্সন অনিলকুমার প্রভাকরণ, ফেডারেশনের টেকনিকাল কমিটির চেয়ারম্যান আইএম বিজয়ন, ফেডারেশনের টেকনিকাল কমিটির ক্লাইম্যাক্স লরেন্স এবং ফেডারেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এম সত্যনারায়ণ।
সেই বৈঠকেই স্টিম্যাচের বিদায়ঘণ্টা বেজে যায়। যদিও তাঁকে বরখাস্ত করায় কোনও ক্ষতিপূরণ (তিন কোটি টাকা) দিতে হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে ফেডারেশনের তরফে কিছু জানানো হয়নি। এমনিতে ২০২৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত স্টিম্যাচের সঙ্গে চুক্তি ছিল ফেডারেশনের। সেক্ষেত্রে তাঁকে সরাতে গেলে বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিতে হত। ফেডারেশন এটা স্পষ্ট করেনি যে স্টিম্যাচ নিজের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে সরে গিয়েছেন নাকি তাঁকে ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে।
কবে ভারতীয় দলের কোচ হয়েছিলেন স্টিম্যাচ?
স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের বিদায়ের পরে ২০১৯ সালে ভারতীয় দলের কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন স্টিম্যাচ। যিনি ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়া দলের সদস্য ছিলেন। যে ক্রোয়েশিয়া দল সেমিফাইনালে উঠেছিল। কিন্তু ভারতের কোচ হিসেবে কার্যত কোনও দাগ কাটতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। যখনই কঠিন প্রতিপক্ষ পড়েছে, তখন কার্যত কোনও ছাপ রাখতে পারেননি। অনেক গলাভরা কথা বললেও নিটফল কার্যত শূন্য হয়েছে।
এমনকী ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের কোয়ালিফিকেশন পর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে একেবারে সহজ ড্র পড়লেও তৃতীয় রাউন্ডে ভারতকে তুলতে পারেননি স্টিম্যাচ। কুয়েত এবং আফগানিস্তানের মতো পিছিয়ে থাকা দলের বিরুদ্ধে দলকে জয় এনে দিতে পারেননি। শেষ ম্যাচে কাতার ম্যাচে দিনেদুপুরে ডাকাতির কারণে ভারত হেরে গেলেও মূল জিনিসটা চাপা পড়ে যায়নি যে কোচ হিসেবে ব্যর্থ হয়েছেন স্টিম্যাচ।
কোন কোন ট্রফি জিতিয়েছিলেন স্টিম্যাচ?
ক্রোয়েশিয়ার কোচের তত্ত্বাবধানে চারটি বড় ট্রফি জিতেছিল ভারত - দুটি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ, একটি ইন্টার-কন্টিনেন্টাল কাপ এবং একটি ট্রাই-নেশন সিরিজ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।