এই সপ্তাহের শেষেই এক অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক আই লিগ শেষ হতে চলেছে। খেতাবি লড়াইয়ে থাকা দুই দল মহামেডান স্পোর্টিং ও গোকুলাম কেরালার মধ্যেকার ম্যাচ দিয়েই পাওয়া যাবে লিগ বিজেতাদের। একদিকে যেমন প্রথম দল হিসাবে আই লিগ খেতাব ডিফেন্ড করার সুযোগ রয়েছে গোকুলামের কাছে, তেমনই প্রথম খেতাব জয়ের হাতছানি মহামেডানের কাছেও।
তবে এইসবের মধ্যেও একটি বড় প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছিল ভারতীয় ফুটবল মহলে। আই লিগ জয়ীরা কি আদতেও আইএসএলে খেলতে পারবেন? গোকুলামের প্রেসিডেন্ট প্রবীণের দাবি পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২২-২৩ সালের আই লিগ চ্যাম্পিয়ন দলের আইএসএল খেলার কথা থাকলেও, সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের তরফে গত তিন বছরে আর সে নিয়ে কিছুই জানানো হয়নি। তবে সকলকে আশ্বস্ত করলেন ফেডারেশন সেক্রেটারি কুশল দাস।
কুশল সাফ জানিয়ে দিলেন, পূ্র্ব পরিকল্পনা মতোই সবকিছু হবে। তিনি বলেন, ‘রোডম্যাপ তো তৈরিই আছে এবং কথামতো ২০২৩ সালে আইলিগ জয়ী দল ফ্রাঞ্চাইজি ফি ছাড়াই আইএসএলে খেলার প্রমোশন পাবে। ২০২৩-২৪ মরশুম থেকে আইএসএলে প্রমোশন-রেলিগেশন থাকবে। এই নিয়ে নিয়ে এএফসির আলোচনাসভায় (২০১৯ অক্টোবর) সব ক্লাবই উপস্থিত ছিল। ফেডারেশনের তরফে সেই পরিকল্পনা বদল করার কোনও কথাই হয়নি।’ পরের মরশুমের ক্যালেন্ডারের ড্রাফটও এই মাসের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
পাশাপাশি ভারতীয় ফুটবল মরশুমের দৈর্ঘ্য নিয়েও বহুদিন ধরেই জল্পনা-কল্পনা চলছে। বদলাচ্ছে সেই ক্যালেন্ডারও। ২০২২-২৩ সালের ফুটবল মরশুম হবে আট মাসের। সেপ্টেম্বরে ২০ দলের ডুরান্ড কাপ দিয়ে শুরু হবে মরশুম। কুশল স্পষ্ট জানান, ‘সকল আইএসএল ক্লাবের (ডুরান্ড কাপ) খেলা বাধ্যতামূলক।’ নাম না করলেও, তাঁর ইশারা যে কলকাতার দুই প্রধানের দিকে, তা বুঝতে কারুরই অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
গত মরশুমে এটিকে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল, দুই দলের কেউই ডুরান্ড কাপ খেলেননি। এবার তেমনটা হচ্ছে না। পাশাপাশি ২০১৯ সালের পর থেকে আয়োজিত না হলেও, ফের একবার সুপার কাপও আয়োজিত হবে। মরশুম শেষে ২০ দলকে নিয়েই আয়োজিত হবে এই সুপার কাপ। এর মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই আই লিগের ক্লাবগুলিও সুযোগ পাবে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।