আনোয়ার আলিকে নিয়ে কলকাতার দুই প্রধান ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের টানাটানি অব্যাহত। বহু দিন পর দল বদলের বাজার ঘিরে পারদ চড়েছে। গত মরশুমে মোহনবাগানে খেলা এই ফুটবলারকে পেতে ঝাঁপিয়েছে ইস্টবেঙ্গলও। পাঁচ বছরের চুক্তিও নাকি করে নিয়েছে লাল-হলুদ, এমনটাই জানা গিয়েছে। কিন্তু দলের অন্যতম সেরা ফুটবলারকে ছাড়তে নারাজ সবুজ-মেরুন। ফলে আইনি লড়াইয়ের দিকে গড়াচ্ছে ব্যাপারটি। এমন কী আনোয়ারকে অনুশীলনেও ডেকেছে মোহনবাগান।
শোনা যাচ্ছে, ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে আনোয়ারকে প্র্যাকটিসে যোগ দিতে বলা হয়েছে। তরুণ ডিফেন্ডারের কাছে সেই বার্তাও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হয়, অনুশীলনে যোগ না দিলে বড় অঙ্কের জরিমানা করা হবে আনোয়ারকে। এদিকে আনোয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে, তাঁর সঙ্গে ক্লাবের লোনে যে চুক্তি আছে, সেটা শেষ করতে চান তিনি। তবে আনোয়ার যাই চান না কেন, মোহনবাগান সেটা কোনও ভাবেই মানবে না। এই লড়াই এখন মাঠের বাইরে চলছে। ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি হয়ে কোর্ট পর্যন্ত গড়াতে পারে।
আরও পড়ুন: গোল করলেন আলভারেজ, মেসি, কানাডার বিরুদ্ধে দাপুটে জয়ে টানা দ্বিতীয় বার কোপার ফাইনালে আর্জেন্তিনা
এর মধ্যে ফেডারেশনের দ্বারস্থ হয়ে, তাদের কাছে কার্যত কাকুতি করেছেন আনোয়ার। জানা গিয়েছে, তিনি নাকি এআইএফএফ-র কাছে এই চুক্তিটি বাতিল করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন। ইস্টবেঙ্গল তাঁকে পাঁচ বছরের জন্য চার থেকে সাড়ে চার কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছে। পাশাপাশি দিল্লি এফসি-ও ট্রান্সফার ফি হিসাবে দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা পেতে পারে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: ম্যাড়ম্যাড়ে ব্রাজিল, দশ জনের উরুগুয়েকেও হারাতে পারল না, টাইব্রেকারে স্বপ্নভঙ্গ সেলেকাওদের
শুক্রবার সকাল থেকে আনোয়ারের একটি ই-মেলের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। তবে সূত্রের খবর, আনোয়ার সেই ই-মেল পাঠিয়েছেন মোহনবাগান ম্যানেজমেন্টকে। গত ১০ জুলাই, দুপুর ৩.০৮ মিনিটে পাঠানো সেই ই-মেলে আনোয়ার জানিয়েছেন, গত ৮ জুলাই মোহনবাগানের সঙ্গে লোনের চুক্তি ছিন্ন করেছেন তিনি। মোহনবাগানের সঙ্গে পাকাপাকি ভাবে চুক্তি সই করাতে আগ্রহী তিনি। তবে ভালো প্রস্তাব দেওয়া হলে তবেই রাজি হবেন। মোহনবাগানকে এই বিষয়ে আলোচনা করার জন্য দিল্লি এফসি-র সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছিলেন আনোয়ার। তবে কোনও ফুটবলার একপাক্ষিক ভাবে চুক্তি বাতিল করতে পারেন কি না, সেটাই প্রশ্ন।
আনোয়ার ফেডারেশনকে জানিয়েছেন, ‘এই পর্যায়ে, আমি এত দীর্ঘ সময়ের জন্য লোনে কোনও ক্লাবে থাকা নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি না। কারণ এটি আমার ক্যারিয়ারের ক্ষতি করবে। একটি স্থায়ী পদক্ষেপ প্রয়োজন, যাতে আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী জীবিকা নির্বাহের কোনও সুযোগ হাতছাড়া না করি।’
ফিফার নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এক বছরের বেশি লোনে চুক্তি প্রযোজ্য নয়। যার ফলে দিল্লি এফসিতে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল আনোয়ারের। পার্মানেন্ট ট্রান্সফারে ফের আইএসএলে ফিরতে হত তাঁকে। কিন্তু এক বছর আগে ফিফা যে নিয়ম চালু করেছে, সেটা এখনও বলবৎ করেনি সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। অর্থাৎ পুরোনো নিয়মই এই বছর বহাল থাকছে। সেই অনুযায়ী মোহনবাগানের হয়েই খেলার কথা আনোয়ারের। এখন দেখার, আনোয়ারকে নিয়ে জল কতদূর গড়ায়!
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।