বাংলা নিউজ > ময়দান > ফুটবলের মহারণ > স্কুলের ছেলেদের মতো ভুল করে ম্যাচ জেতা যায় না- ISL-এ ফের হার, ক্ষোভ উগরালেন EB কোচ

স্কুলের ছেলেদের মতো ভুল করে ম্যাচ জেতা যায় না- ISL-এ ফের হার, ক্ষোভ উগরালেন EB কোচ

স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন।

ওড়িশা এফসি-র কাছে ২-০ এগিয়ে গিয়েও ৪-২ হার, হজম করতে পারছেন না ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরা। ম্যাচের পর মাত্র সাড়ে তিন মিনিটের সাংবাদিক সম্মেলন করলেন লাল-হলুদ কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন। আর সেখানে ফুটবলারদের উপর গুচ্ছ ক্ষোভ উগড়ে দিলেন স্টিফেন।

ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে ২-০ এগিয়ে থাকার পরেও, ৪-২ হারতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গল এফসি-কে। এমন অপ্রত্যাশিত জঘন্য হারের পরে যদিও লাল-হলুদের হেড কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইটনকে বেশি কিছু বলার ছিল না। তবু ঠিক কী হয়েছিল, বিরতিতে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকার পরেও, দলের ছেলেদের তিনি কী বলেছিলেন, সবই সাংবাদিকদের সামনে অকপটে স্বীকার করলেন ব্রিটিশ কোচ। এমন হারের জন্য ক্ষমাও চেয়ে নিলেন সমর্থকদের কাছে।

মিনিটি তিনেকের সাংবাদিক বৈঠকে এসে এই হারের পরে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে আর ঠিক কী কী বললেন কনস্ট্যান্টাইন, জেনে নিন:

আরও পড়ুন: ATK MB-তে ফের ফিরলেন সঞ্জয় সেন, কোন পদে জানেন?

প্রশ্ন: প্রথমার্ধে অত ভালো পারফরম্যান্সের পরে দ্বিতীয়ার্ধে এ ভাবে হারার কী ব্যাখ্যা দেবেন?

কনস্ট্যান্টাইন: বিরতির সময়ে আমি ছেলেদের বলেছিলাম, স্কোর ভুলে যাও। কারণ, ওরা আক্রমণে আরও খেলোয়াড় আনবে আর দ্রুত গোল শোধ করার চেষ্টা করবে। কিন্তু আমাদের ছেলেরা পুরোপুরি সুইচ অফ করে দিল। স্কুলের ছেলেদের মতো ভুল করতে শুরু করল। ওদের খেলোয়াড়দের অরক্ষিত অবস্থায় ছেড়ে রাখল। ওদের ভালো ভালো খেলোয়াড় আছে। তারাই আমাদের ভুলের শাস্তি দিল। এই ধরনের ভুল স্কুলের ছেলেরাও করে না।

দ্বিতীয়ার্ধের এই পারফরম্যান্সের জন্য খেলোয়াড়দের হয়ে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। এটা ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে মোটেই ভালো হল না। বেঙ্গালুরুতে ৯০ মিনিট ভালো খেলে জিতে আসার পর এ রকম একটা পারফরম্যান্স অপ্রত্যাশিত। ওই ম্যাচের পর ওড়িশার মতো ভালো দলের বিরুদ্ধে ৪৫ মিনিট এত ভালো খেলে দু’গোলে এগিয়ে গেলাম আমরা। এর পরে দ্বিতীয়ার্ধে তিন মিনিটের মধ্যে পরপর দু’গোল খাওয়াটা সত্যিই মেনে নেওয়া যায় না।

আরও পড়ুন: ১০টা মিসের পরে যদি জিতি, সেটাই আসল-গোল মিসের রোগ রয়ে গেলেও চিন্তিত নন ATK MB কোচ

প্রশ্ন: আপনার খেলোয়াড়রা কি আত্মতুষ্টিতে ভুগতে শুরু করেছিলেন?

কনস্ট্যান্টাইন: দলের কয়েকজন খেলোয়াড় বোধহয় ভাবতে শুরু করে দিয়েছিল, ম্যাচটা শেষ হয়ে গিয়েছে। যদিও বিরতিতে ছেলেদের বলে দিয়েছিলাম ফল নিয়ে ভেবো না, ধরে নাও গোলশূন্য এবং আমাদের আরও একটা গোল করতেই হবে। বিরতিতে খেলোয়াড় পরিবর্তন করার কথাও মনে হয়নি। সব কিছুই ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু যেটা আগেই বললাম, হঠাৎ আমাদের ছেলেরা যেন সুইচ অফ করে বসে রইল এবং তারই শাস্তি পেতে হল আমাদের।

প্রশ্ন: চ্যারিস কিরিয়াকুর অবস্থা এখন কেমন?

কনস্ট্যান্টাইন: ও আপাতত হাসপাতালে রয়েছে। ভ্রু-র ওপর সেলাই করতে হয়েছে। নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডাক্তাররা এমআরআই-ও করতে বলেছেন। আশা করি, ও দ্রুত সেরে উঠবে। ওর চোটটাও আমাদের ক্ষতি করল।

বন্ধ করুন