নতুন ইতিহাসের দোরগোড়ায় ভারতীয় ফুটবল দল। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের তৃতীয় রাউন্ডের দরজা খুলতে আর একটি মাত্র জয় প্রয়োজন তাদের। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সেই ম্যাচ খেলতে ইগর স্টিম্যাচ ব্রিগেড। এটি আবার সুনীল ছেত্রীরও শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। দু'দিক থেকেই এই ম্যাচের গুরুত্বই আলাদা। তাই এই ম্যাচ জিতে যুবভারতীতে নতুন ইতিহাস লিখতে চাইছেন লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে, মনবীর সিং, শুভাশিস বসুরা।
আরও পড়ুন: এটা আমার নয়, আমাদের ম্যাচ- আবেগকে সরিয়ে বাস্তবের জমিতে দাঁড়িয়ে সুনীলের লক্ষ্য ইতিহাস রচনা
দলের মূল ফোকাস, জয় ছিনিয়ে নেওয়া
কুয়েতের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগের দিন বুধবার সুনীল ছেত্রীর সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে ইগর স্টিম্যাচও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন। তবে বাস্তবের জমিতে দাঁড়িয়ে টিম ইন্ডিয়ার ক্রোয়েশিয়ান কোচ বললেন, ‘জাতীয় দলের জার্সিতে আমাদের অধিনায়কের শেষ ম্যাচ উপলক্ষকে আরও বড় করে তুলেছে। তবে কুয়েতের বিরুদ্ধে ভারতকে জিততে হবে। আমাদের মূল ফোকাস আপাতত সেই দিকেই। এই বছর কুয়েতের সঙ্গে আমাদের তিনটে কঠিন ম্যাচ হয়েছে। যে কেউ জিততে পারত। তবে কুয়েতের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ারে আমরা সবচেয়ে ভালো খেলেছিলাম। বৃহস্পতিবার তারই পুনরাবৃত্তি চাই।’
আরও পড়ুন: গত তিন দশকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ- কুয়েতের বিরুদ্ধে নামার আগে বড় দাবি ইগর স্টিম্যাচের
মনোবিদের শরণাপন্ন হয়েছে টিম ইন্ডিয়া
এহেন গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচের আগে ড্রেসিংরুমে আবেগকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করছেন স্টিম্যাচ? সুনীলদের কোচ স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেন, এই আবেগ সামলাতে এবং পরিস্থিতি ও পরিবেশের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে মনোবিদের শরণাপন্ন হয়েছেন তাঁরা। ক্রোট কোচ বলেন, ‘মাইন্ডসেটই আসল। ফোকাস ধরে রাখাটাই গুরুত্বপূর্ণ। একজন স্পোর্টস সাইকোলজিস্টকে আনা হয়েছে ক্লাস নেওয়ার জন্য। শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। আবেগ ধরে রাখতে হবে। এই আবেগ নিয়ে বেশি চর্চা করছে মিডিয়া এবং ফ্যানরা। আমাদের কাছে একটাই লক্ষ্য, ম্যাচ জেতা।’
আরও পড়ুন: গর্ব করার মতো দল গড়ছি, আমাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল- মরশুম শুরুর অনেক আগেই হুঙ্কার EB কোচ কুয়াদ্রাতের
আবেগপ্রবণ স্টিম্যাচ
তবে ইগর কিন্তু নিজে আবেগ শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেননি। বলে দেন, ‘আমি বিদেশি হলেও, নিজেকে ভারতীয় মনে হচ্ছে। দায়িত্ব নেওয়ার সময় পেশার সঙ্গে আবেগ মেলাতে চাইনি। কিন্তু নিজেকে আটকে রাখতে পারিনি। আমার ফুটবলার এবং কোচিং জীবনের সবচেয়ে বড় ম্যাচ। এক শতাংশ মানুষকে খুশি করতে পারলেই আনন্দ হয়। সেখানে এবার ১.৫ মিলিয়নকে খুশি করার সুযোগ রয়েছে।’
শেষ ছয় ম্যাচের মধ্যে পাঁচ ম্যাচে গোল করতে পারেনি ভারতীয় দল। কুয়েতের বিরুদ্ধেই শেষ ফিল্ড গোল এসেছিল। গোল করেছিলেন মনবীর। তার পর থেকে সুনীলের একটি পেনাল্টি ছাড়া গোল করতে পারেনি মেন ইন ব্লু। এই বিষয়টি কিন্তু কিছুটা হলেও কুয়েতের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে চিন্তায় রাখবে ইগর স্টিম্যাচকে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।