বাংলা নিউজ > ময়দান > ফুটবলের মহারণ > ১৩৩ জনের প্রাণ কেড়েছে যে স্টেডিয়াম, সেটা ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত ইন্দোনেশিয়ার

১৩৩ জনের প্রাণ কেড়েছে যে স্টেডিয়াম, সেটা ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত ইন্দোনেশিয়ার

১ অক্টোবর পূর্ব জাভার মালাং শহরে নিহতদের মধ্যে ৪০ জনেরও বেশি শিশু ছিল। (এএফপি)

গত ১ অক্টোবর কাঞ্জুরুহান স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল ইন্দোনেশিয়ার পার্সেবায়া সুরাবায়া এবং আরেমা ফুটবল ক্লাব। ম্যাচে ৩-২ গোলে জিতেছিল পার্সেবায়া। দুই দশকের বেশি সময় পরে পার্সেবায়ার কাছে হারে আরেমা। ফলে সেই দিন তাদের সমর্থকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে মাঠে ঢুকে পড়েন। সেখান থেকেই শুরু হয় ঘটনায় সূত্রপাত।

শুভব্রত মুখার্জি

ফুটবল মাঠ নানা সময়ে নানা অঘটনের সাক্ষী থেকেছে ফুটবল সমর্থকেরা। তবে সাম্প্রতিক অতীতে ইন্দোনেশিয়াতে যে ঘটনা ঘটে গিয়েছে তা কল্পনাতীত। মাঠেই দুই গোষ্ঠীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রাণ হারান ১৩৩ জন ইন্দোনেশিয়ান। এ বার সেই অভিশপ্ত স্টেডিয়াম ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল ইন্দোনেশিয়ার তরফে।

বিশ্ব ফুটবল ইতিহাস যে সব কলঙ্কিত অধ্যায়ের সাক্ষী থেকেছে, সেখানেই লেখা থাকবে মালাং শহরের কাঞ্জুরুহান স্টেডিয়ামে নাম।কয়েক দিন আগেই এই স্টেডিয়ামে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে কেড়ে নিয়েছিল প্রায় ১৩৩ জনের প্রাণ। আর সেই অভিশপ্ত স্টেডিয়ামটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ইন্দোনেশিয়া সরকারের তরফে। এই স্টেডিয়ামটি ভেঙে নতুন করে গড়ার। আর তাদেরকে এই কাজে অর্থাৎ স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজে সহায়তা করবে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।

আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়া লিগের ম্যাচ ঘিরে মাঠের মধ্যেই দাঙ্গা, মৃত ১২৭

এই উদ্যোগটি মূলত গ্রহণ করেছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। তাঁর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছেন ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। রাজধানী জাকার্তায় মঙ্গলবার উইদোদোর সঙ্গে ফিফা প্রধানের সাক্ষাৎ হয়। তার পরেই স্টেডিয়ামে পুনঃনির্মাণের ঘোষণা করা হয়। গত ১ অক্টোবর কাঞ্জুরুহান স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল ইন্দোনেশিয়ার পার্সেবায়া সুরাবায়া এবং আরেমা ফুটবল ক্লাব। ম্যাচে ৩-২ গোলে জিতেছিল পার্সেবায়া। দুই দশকের বেশি সময় পরে পার্সেবায়ার কাছে হারে আরেমা। ফলে সেই দিন তাদের সমর্থকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে মাঠে ঢুকে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়লে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে।

হুড়োহুড়ি বেঁধে যায় সমর্থকদের মধ্যে। স্টেডিয়ামের বেশ কয়েকটি গেট বন্ধ ছিল। ফলে বাইরে বের হতে পারেননি অনেকে। দাঙ্গা, কাঁদানে গ্যাসে শ্বাসরুদ্ধ এবং পদপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩৩ জনেরও বেশি মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। যার মধ্যে ৪০ জনেরও বেশি শিশু।

বন্ধ করুন