এ বার বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়াল মহমেডান স্পোর্টিং। অশান্তি এতটাই বেড়েছে যে সাদা-কালোর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পথে বিনিয়োগকারী বাঙ্কারহিল। সূত্রের খবর, সোমবার মহমেডানকে আলাদা হওয়ার চিঠিও পাঠিয়ে দিয়েছে বিনিয়োগকারী সংস্থার ডিরেক্টর দীপক কুমার সিং।
কয়েক বছর আগে বেশ ঢাকঢোল পিটিয়েই মহমেডান স্পোর্টিংয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিল বাঙ্কারহিল। নতুন বিনিয়োগকারী আসার পর কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় সাদা-কালো ব্রিগেড। তিন দশকেরও বেশি সময় পর এই সাফল্য পায় মহমেডান। ডুরান্ড কাপেও ভালো খেলে তারা। আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জায়গাতেও একটা সময় পৌঁছে গিয়েছিল মহমেডান। তবে গত মরশুমে ফের হতাশ করেন সাদা-কালো ব্রিগেড। আই লিগে অত্যন্ত খারাপ পারফরম্যান্স করে তারা। ডুরান্ডেও হতাশ করে। এর মাঝেই নানা বিতর্ক, কোচ ছাঁটাই- এ সব তো লেগেই ছিল। আর এ বার বিনিয়োগকারীও সরে দাঁড়াতে চাইছে।
মহমেডানের সঙ্গে বিচ্ছেদ করার জন্য যে চিঠি পাঠিয়েছেন বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তা দীপক কুমার সিং, তাতে নাকি তিনি লিখেছেন, ‘তিন বছর ধরে মহমেডানের সঙ্গে আমরা যুক্ত। মহমেডানে সাফল্য আনতে আমরা যথেষ্ট অর্থ ব্যয় করেছি। প্রত্যেক বছর ৭ থেকে ৮ কোটি টাকা খরচ করেছি। ক্লাবের সাফল্য আনতে কোথাও পিছুপা হইনি। অথচ ক্লাবের থেকে আমরা কোনও পর্যাপ্ত সাহায্য বা সমর্থন পাইনি। ক্লাব আমাদের যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পূরণে ব্যর্থ।
আরও পড়ুন: কাতার বিশ্বকাপ খেলা অজি স্ট্রাইকারের সঙ্গে চুক্তি পাকা করার পথে মোহনবাগান
এমন কী ক্লাব যে আর্থিক সহযোগিতা করেছে তা দেখে আমরা মোটেও খুশি নই। যুব দল গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও আমাদের স্বাধীনতা দেওয়া হচ্ছে না। এই অবস্থায় আমাদের পক্ষে ক্লাব চালানো বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে একটাই পথ, আমাদের সরে যেতে হবে। সামনের মরশুমে আমরা আর ক্লাবে বিনিয়োগ করতে পারব না। এই মরশুমের যাবতীয় দায়িত্ব সারার পরেই আমরা সরে যাব।’
তবে এই চিঠিতে বিনিয়োগতাকারী সংস্থার কর্তার অসহযোগিতার অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন ক্লাব সচিব ইস্তিয়াক আহমেদ রাজু। তিনি বলেন, ‘পুরোটাই গুজব। অভ্যন্তরীণ সমস্যা যা আছে, তা আমরা মিটিয়ে নেব।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।