লাগাতার সাত ম্যাচ জয়হীন থাকার পর গত ম্যাচে চেন্নাইয়িনকে হারিয়ে জয়ের সরণীতে ফিরেছিল মুম্বই সিটি এফসি। রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ওড়িশা এফসিকে ৪-১ গোলে হারিয়ে নক আউটের দৌড়ে দারুণভাবে ফিরে এল আইল্যান্ডার্সরা। ম্যাচে জিতে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মুম্বই একলাফে লিগ তালিকায় ছয় থেকে চারে পৌঁছে গেল।
ম্যাচের শুরু থেকেই ওড়িশার বিরুদ্ধে নিজেদের দাপট বজায় রেখেছিল মুম্বই। তবে গোল করার তেমন সুযোগ তৈরি করতে ব্য়র্থ হচ্ছিল মুর্তাদা ফলের দল। অপরদিকে, প্রতিআক্রমণে আঘাত হানার প্রচেষ্টায় ছিল ওড়িশা। ওড়িশাই ম্যাচের প্রথম বড় সুযোগ পায়। হাভি হার্নান্ডেজ ৩৫ মিনিটে জেরির জন্য বল সাজিয়ে দেন। প্রায় ফাঁকা গোলে বল জড়িয়ে দিয়ে ওড়িশাকে এগিয়ে দেওয়ার ভাল সুযোগ ছিল জেরির সামনে। তবে দুর্দান্তভাবে শেষ মুহূর্তে মেহতাব সিং তা রুখে দেন।
তাঁর ছয় মিনিট পরেই আহমেদ জাহুর শর্ট ফ্রি-কিক থেকে উইংয়ে ফাঁকায় বল পেয়ে যান রাহুল ভেকে। তাঁর ক্রস থেকেই হেডে মুম্বইকে এগিয়ে দেন ইগর অ্যাঙ্গুলো। ভিক্টর মৌঙ্গিল প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই ওড়িশাকে সমতায় ফেরাতে পারতেন। তবে তাঁর ফ্রি হিডার তেকাঠির মধ্যে রাখতে ব্য়র্থ হন মৌঙ্গিল। আহমেদ জাহুর পাস থেকে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার দ্বিতীয় মিনিটেই গোল করে মুম্বইয়ের লিড দ্বিগুন করেন বিপিন সিং। প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধে ম্য়াচের রাশ পুরোপুরি মুম্বইয়ের দখলেই ছিল।
ম্যাচের ৭০ মিনিটে ইগর অ্যাঙ্গুলোর জাদুতে মুম্বই ৩-০ গোলে এগিয়ে যায়। অ্যাঙ্গুলোর হালকা চিপে ওড়িশা গোলরক্ষক অর্শদীপ সিং পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গোল খান। এটি এই মরশুমে অ্যাঙ্গুলোর ১০ নম্বর গোল ছিল। তাঁর তিন মিনিট পরেই বিপিন সিং ম্যাচের নিজের দ্বিতীয় ও মুম্বইয়ের চতুর্থ গোলটি করেন। জোনাথাস ক্রিশ্চিয়ান ওড়িশার হয়ে ৯০ মিনিটে এক গোল করেন বটে, তবে তা কেবল নিয়মরক্ষা ছাড়া কিছুই ছিল না। এই পরাজয়ের ফলে ওড়িশা ১৬ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় সপ্তম স্থানেই রইল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।