আইএসএলের প্রথম চারের দৌড়ে টিকে থাকতে মুম্বই সিটি এবং চেন্নাইয়িন এফসি, উভয় দলেরই তিন পয়েন্ট জরুরি ছিল। গোটা ম্যাচে দাপট দেখিয়ে গোল করতে বারাবর ব্যর্থ হলেও, একেবারে ম্যাচের ৮৫ মিনিটে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মুম্বইয়ের হয়ে গোল করে তিন পয়েন্ট এনে দিলেন বিক্রম সিং।
এই ম্যাচে নামার আগে এক দল আসছিল এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও ড্র করে, অপর দল মাঠে নেমেছিল ১৪ মিনিটে দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও শেষে এসসি ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে ড্র করে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মুম্বই তো গত ছয় ম্যাচের একটি জিততে পারেনি। তাই তিন পয়েন্ট পেতে মরিয়া হয়ে গোয়ার ফাতোরদা ময়দানে নেমেছিল। মুর্তাদা ফলদের খেলাতেও সেই মরিয়া মনোভাবটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল। প্রথমার্ধে মুম্বইয়ের দাপটে চেন্নাইয়িন তো কার্যত আক্রমণেই যেতে পারেনি। তবে দেবজিৎ মজুমদার, দক্ষিণ ভারতের দলের হয়ে একাধিক ভাল সেভ করে ম্য়াচ গোলশূন্যই রেখেছিলেন।
প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধও খেলাটা একই ভঙ্গিমায় শুরু হয়। বিপিন সিংরা মুম্বইয়ের হয়ে একগুচ্ছ সুযোগ তৈরি করলেও, কাজের কাজ হচ্ছিল না। তবে সাবস্টিটিউট হিসাবে নামা বিক্রম অবশেষে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পাঁচ মিনিট আগে ইনমানের এক ক্রস পায়ে পেয়ে যান। এবার আর দেবজিৎ বল বাঁচাতে পারেননি। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে কিন্তু গোল করার বড় সুযোগ পেয়েছিল চেন্নাইয়িনও। এক ফ্রি-কিক থেকে মুম্বইয়ের গোলরক্ষক মহম্মদ নওয়াজ বল পুরোপুরি ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন। পেনাল্টি বক্সের মধ্যেই বল ঘোরাফেরা করলেও তা জালে জড়াতে পারেননি চেন্নাইয়িনের কোনো ফুটবলার। ম্যাচ ১-০ ব্যবধানে মুম্বইয়ের পক্ষেই শেষ হয়।
এই জয়ের ফলে এক ধাক্কায় এটিকে মোহনবাগানকে পিছনে ফেলে ২২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় পাঁচে উঠে এল মুম্বই। সবুজ মেরুনের থেকে দুই ম্যাচ বেশি খেলে, দুই পয়েন্টে এগিয়ে আইল্যান্ডার্সরা। চেন্নাইয়িন মোহনবাগানের ঠিক পরে সাতে রয়েছে। তাদের দখলে ১৯ পয়েন্ট। পরের ম্যাচে মুম্বইয়ের প্রতিপক্ষ ওড়িশা। চেন্নাইয়িন মাঠে নামবে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।