নাগাড়ে তিন ম্যাচ ড্রয়ের পর জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধেও কড়া টক্কর দিচ্ছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। তবে ইশান পান্ডিতার ৮৮ মিনিটের গোলই স্বপ্নভঙ্গ করে লাল-হলুদের। ম্যাচ হারলেও প্রথমবার আইএসএলের ইতিহাসে ১১ জন ভারতীয় নিয়ে ম্যাচ শুরু করে ইতিহাস গড়ে ফেলে ইস্টবেঙ্গল। অল-ইন্ডিয়ান প্রথম একাদশের লড়াইয়ে সন্তুষ্ট দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ রেনেডি সিং।
গত ম্যাচের পরেই চিমা চুকুউকে ছেড়ে দেয় ইস্টবেঙ্গল। নতুন স্ট্রাইকার মার্সেলোর দেশে আসতে এখনও কিছুটা সময় বাকি, আন্তোনিও পেরোসেভিচ রয়েছেন নির্বাসনে। বাকি কোনো বিদেশিই আপাতত ফিট নন। তাই বাধ্য হয়েই ১১ জন ভারতীয় নিয়েই ম্যাচ শুরু করতে হয় লাল-হলুদকে। ম্যাচের পর এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে রেনেডির মত, ভারতীয়দের নিজের ওপর আরও বিশ্বাস দেখাতে হবে, যে তারাও সেরাদের বিরুদ্ধে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর দিতে সক্ষম। সাংবাদিক সম্মেলনে রেনেডি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের দক্ষতায় যথেষ্ট ভরসা আছে এবং সকলেই ভারতীয়রা কী ভাবে লড়াই চালিয়েছে, তা চাক্ষুষ করেছেন। আমরা জানতাম যে প্রতিপক্ষ দলে আমাদের থেকে অনেক ভাল বিদেশি ফুটবলার রয়েছে। কিন্তু দলবদ্ধভাবে আমরা লড়াই করি। ভারতীয়দের নিজেদের দক্ষতার ওপর আস্থা রাখতে হবে, যে আমরাও পারি।’
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য আদিল খান চোট পাওয়ায় ইস্টবেঙ্গলের হয়ে একমাত্র বিদেশি যিনি উপলব্ধ ছিলেন, সেই সিডোয়েল মাঠে নামেন। তা ছাড়া প্রথম একাদশ থেকে সাবস্টিটিউট, সব ক্ষেত্রেই ভারতীয় ফুটবলাররাই ইস্টবেঙ্গলের হয়ে এই ম্যাচে মাঠে নামেন। দলের লড়াইয়ের পর ড্রই সঠিক ফলাফল হতে বলে দাবি রেনেডির। তবে ফুটবলারদের দায়বদ্ধতা এবং লড়াইয়ের অভিভূত প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক। ‘৮৮ মিনিটে গোল খাওয়াটা হজম করা খুবই কঠিন। তবে আমার ফুটবলাররা যেমন লড়াই করেছে, তাতে আমি গর্বিত। ওরা অনবদ্য দায়বদ্ধতা এবং লড়াকু মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে। এমনভাবেই লড়াই চালিয়ে গেলে আমরা উন্নতি করবই।’ দাবি রেনেডির।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।