ইন্ডিয়ান সুপার লিগের প্লে অফে উঠবে কারা? এই নিয়ে তীব্র জল্পনা রয়েছে। প্রথম দু'টি জায়গা পাকা হয়ে গেলেও বাকি চারটি জায়গার জন্য লড়াই এখনও চলছে। জায়গা চারটি, দল পাঁচ। যার মধ্যে কেরালা ব্লাস্টার্স এবং এটিকে মোহনবাগান দুই দলই রয়েছে। তাই শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে তাদের দ্বৈরথ যে কতটা জমজমাট হয়ে উঠতে চলেছে, তা আন্দাজ করা খুব একটা কঠিন কাজ নয় বোধহয়।
মোহনবাগানের হাল
প্লে অফে জায়গা পেতে গেলে এটিকে মোহনবাগানকে তাদের শেষ দুই ম্যাচ থেকে অন্তত তিন পয়েন্ট পেতেই হবে। অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার এফসি গোয়ার হারের পর কেরালা ব্লাস্টার্স কার্যত প্লে অফে জায়গা পাকা করেই ফেলেছে। এখন সেরা চারে থাকতে গেলে তাদের এই ম্যাচ জিততে হবে। তাই চাপটা স্বাভাবিক ভাবেই সবুজ-মেরুন শিবিরেরই বেশি।
আরও পড়ুন: ওগবেচের গোলে হার, ATKMB-র লড়াই কঠিন হল, দু'নম্বর জায়গা নিশ্চিত করল হায়দরাবাদ
এই চাপটা অবশ্য নিজেরাই ডেকে এনেছেন প্রীতম কোটালরা। গত তিনটি ম্যাচের মধ্যে তারা যদি অন্তত একটি ম্যাচে জিততে পারত, তা হলে এতটা চাপে পড়তে হত না সবুজ-মেরুনকে। কিন্তু গত তিন ম্যাচে মাত্র এক পয়েন্ট পাওয়ায় তাদের রাস্তা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। শনিবার ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি কলকাতা ডার্বি থেকে অন্তত তিন পয়েন্ট তুলতে না পারলে সেরা ছয় থেকে বিদায় অবধারিত। ইস্টবেঙ্গল এফসি তো আগেই সেরা ছয়ের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে। এ বার এটিকে মোহনবাগানও ব্যর্থ হলে চলতি লিগে বাংলার ফুটবলপ্রেমীদের আফসোস করা ছাড়া আর কোনও কাজ থাকবে না।
কেরালার অঙ্ক
কেরালা ব্লাস্টার্সও আরও আগেই সেরা ছয়ে নিজেদের জায়গা পাকা করে ফেলতে পারত। কিন্তু শেষ ছ’টি ম্যাচের মধ্যে চারটিতে হারটা তাদের কাছে বড় ধাক্কা হয়ে যায়। এটিকে মোহনবাগানকে হারিয়ে সেরা চারে উঠতে মরিয়া কেরালাও।
আরও পড়ুন: ফেরান্দোর পারফরম্যান্সে অখুশি ATKMB কর্তৃপক্ষ, পুরনো কোচকে ফেরানোর ভাবনা
কেরালা আবার কখনও সবুজ-মেরুন বাহিনীকে হারাতে পারেনি। তার উপর এ বার লিগের শুরুর দিকে ঘরের মাঠে যে ভাবে হিমশিম খেয়ে এটিকে মোহনবাগানের কাছে হেরেছিল তারা, তা এখনও দগদগে ঘায়ের মতো হয়ে রয়েছে সহাল আব্দুল সামাদদের হৃদয়ে। সেই হারের বদলা নিয়ে প্লে অফে জায়গা পাকা করতে পারলে এক ঢিলে দুই পাখি মারা হবে।
দ্বৈরথের ইতিহাস
ইন্ডিয়ান সুপার লিগে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে মোট পাঁচ বার। ব্লাস্টার্স কোনও বারই জিততে পারেনি। চার বার জিতেছে এটিকে মোহনবাগান। দুই দলের এই পাঁচ দ্বৈরথে মোট ২৩টি গোল হয়েছে। ১৫টি দিয়েছে কলকাতার দল ও আটটি ব্লাস্টার্স। চলতি মরশুমের প্রথম লেগেও ৫-২-এ জিতেছিল কলকাতার দলই। দিমিত্রি পেত্রাতোস হ্যাটট্রিক করেছিলেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।