পরপর চারটি ম্যাচে পরাজয়ের পর ১১ নভেম্বর বেঙ্গালুরুর মাঠে জয়ী হয় লাল-হলুদ বাহিনী। এবার তাঁরা মুখোমুখি হবে ওড়িশার। পরপর দুটি ম্যাচে ওড়িশার কাছে ৬ গোল খেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। শুক্রবার ঘরের মাঠে তাঁদের বিরুদ্ধেই নামছেন কনস্ট্যান্টাইনরা।
ওড়িশা এবং ইস্টবেঙ্গলের সাক্ষাতে মাত্র একবার জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। আর তিনবার জিতেছে ওড়িশা। গতকাল সেই ধারায় বজায় থাকবে, নাকি ইস্টবেঙ্গল ঘরের মাঠে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে পারবে, তাই দেখার। ওড়িশা বনাম ইস্টবেঙ্গলের ইতিহাস নিয়ে প্রশ্ন করায়, কনস্ট্যান্টাইন জানান, 'গত মরশুমের ফলাফল নিয়ে আমি বিন্দুমাত্র চিন্তা করছি না। গত মরশুমে কী হয়েছে সেটা এখন গুরুত্বপূর্ণ না। ওড়িশা ভাল টিম। ওদের কোচও ভাল। তাই আমরাও সেই মতো প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করি এই ম্যাচটাও জিততে পারব। আর সেটাই আমাদের লক্ষ্য।'
কনস্ট্যানটাইন আরও যোগ করেন, 'ওদের খেলার কৌশল আমরা বোঝার চেষ্টা করছি। প্রতিটা দলের খেলার কৌশল ভিন্ন হয়। ওরা নিজেদের মধ্যে বেশি বল রাখতে চায়। পিছন থেকে আক্রমণ সাজায়। ওদের খেলা মোটামুটি আমরা বুঝতে পেরেছি। সেই মতোই প্রস্তুতি নিচ্ছি। ওদের নিয়ে বেশি ভাবছি না। নিজেদের খেলার দিকে মন দিচ্ছি। ভাল করে খেলতে হবে। কোনও সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না।'
টানা চারটি ম্যাচে পরাজয়ের পর শেষ ম্যাচে বেঙ্গালুরুকে হারিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। সমর্থকদের বহুদিনের অপেক্ষা ছিল এই জয়ের। তবে সেই জয়ও এসেছে মাত্র এক গোলের পার্থক্যে। ইস্টবেঙ্গলের এই গোল না পাওয়া নিয়ে এদিন মুখ খুললেন স্টিভেন কনস্ট্যান্টাইন। তিনি জানান, 'আমরা সবসময়ই খেলায় আমাদের গতি টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করি। ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণাত্মক ফুটবলের ধারা বজায় রাখার চেষ্টা করি। গত ম্যাচগুলোতেও আমরা সেটা চেষ্টা করেছিলাম। এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে একাধিকবার আক্রমণে এগিয়েছি আমরা। কেরলের বিরুদ্ধে এবং নর্থ ইস্টের বিরুদ্ধে যথেষ্ট ভাল খেলেছি আমরা। ওড়িশার বিরুদ্ধেও আমরা সেটা চেষ্টা করব। সতর্ক থাকার এবং নিজেদের খেলার গতি বজায় রাখার।'
কনস্ট্যানটাইন এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, যে দলের উপর তিনি সম্পূর্ণ ভরসা রাখছেন। এই ম্যাচেও ভাল খেলার চেষ্টা করবে ইস্টবেঙ্গল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।