প্রথমবার আইএসএলের নক আউটে পৌঁছেই খেতাব জয়ের হাতছানি, এই মরশুমটা হায়দরাবাদ এফসির অনেকটা স্বপ্নের মতোই কেটেছে। এটিকে মোহনবাগানকে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ মাত দিয়ে, রবিবার ফতোরদায় কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে নিজামরা। তবে ফাইনাল খেলার আগেও শিল্ড হাতছাড়া করার আফসোস ধরা পড়ল কোচ ম্যানুয়েল মার্কেজের গলায়।
গোটা মরশুমের বেশিরভাগ সময়ই লিগ তালিকায় শীর্ষস্থানে থেকে কেটেছে হায়দরাবাদের। তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে তরী ডোবে, তাও আবার করোনার জেরে। শেষমেশ শিল্ড জয়ী জামশেদপুরের বিরুদ্ধে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগেই হায়দরাবাদ শিবিরে করোনা হানা দেয়। তার জেরে সেই ম্যাচে তারকাবিহীন প্রায় দ্বিতীয় সারির দল নিয়েই মাঠে নামে হায়দরাবাদ। ৩-০ ম্যাচ হারতে হয় তাদের। শেষ ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসিকে হারিয়ে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুব পর্ব শেষ করলেও, দ্বিতীয় স্থানে থাকে তারা।
‘আমাদের দলের সকলেই এক লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামে যা আমাদের শক্তি। মানসিকভাবে বলতে গেলে এই মরশুমটা খুবই শক্ত ছিল। আমার মতে ক্লাব সঠিক দিকেই এগোচ্ছে। গতবার আমরা কাছাকাছি পৌঁছেছিলাম, এবার দ্বিতীয় হই। জামশেদপুরের বিরুদ্ধে পূর্ণশক্তির দল নিয়ে মাঠে নামতে পারলে, কী হত না হত, সেই কথা ভেবে একটা আক্ষেপ থাকবেই। ওটা জিতলে তো আমরাই শিল্ড জিততাম। তবে সব দলকেই করোনার কারণে মুশকিলে পড়তে হয়েছে। খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে আমি সন্তুষ্ট এবং ওদের ট্রেনিং করিয়েও খুব খুশি। আর একটাই ম্যাচ বাকি রয়েছে, কাল সবকিছুই সম্ভব।’ মত মার্কেজের।
একদিকে যেখানে হায়দরাবাদ এফসি ধারাবাহিক পারফর্ম করেছে, অপরদিকে সেখানে কেরালা ব্লাস্টার্সের মরশুমটা চড়াই উতরাইয়ে ভর্তি ছিল। তবে মার্কেজ কিন্তু কেরালাকে ফাইনালে দেখে একটুও অবাক নন। ‘অনেক শক্তিশালী দল ছিল যারা ফাইনালে পৌঁছতে পারেনি। তবে আইএসএলের যে কোনও দল, নিজের দিনে যে কাউকে হারাতে সক্ষম। আমাদের ক্ষেত্রে আমরা জানতাম আমরা ভাল না খেললে যে কেউ আমদের হারাতে পারে, আবার নিজেদের দক্ষতা অনুযায়ী খেললে যে কাউকে আমরাও হারাতে সক্ষম। কেরালা ব্লাস্টার্সের জন্য মরশুমটা চড়াই উতরাইয়ে ভরা ছিল, তবে ফুটবলে অনেক সময়ই এমন হয়।’ মত মার্কেজের।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।