আইএসএলের দ্বিতীয় লেগের ডার্বিকে কেন্দ্র করে হঠাৎই শুরু হল আশঙ্কার মেঘ। এই ম্যাচ হওয়া নিয়ে তৈরি হল সংশয়। যা পরিস্থিতি তাতে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে হওয়ার কথা থাকলেও এই ম্যাচ যুবভারতীয় স্টেডিয়ামে হচ্ছে না। ফলে এই ম্যাচ হয় মোহনবাগানকে পিছনোর জন্য আবেদন জানাতে হবে, নাহলে ম্যাচ চলে যেতে পারে ভিনরাজ্যে। যদিও সেক্ষেত্রেও জটিলতা রয়েছে, কারণ হোম গ্রাউন্ড দেখানো রয়েছে যুবভারতী।
আরও পড়ুন-‘আমি কখনও আগে দ্রাবিড়কে এমন উচ্ছাস করতে দেখিনি,আমার জন্যই’! কোন রহস্য ফাঁস অশ্বিনের
ডার্বি ম্যাচ নিয়ে আশঙ্কা-
শোনা যাচ্ছে বিধাননগর পুলিশের পক্ষ থেকে আইএসএলের দ্বিতীয় লেগের ডার্বি ম্যাচের আয়োজক দল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ১১ জানুয়ারির বড় ম্যাচে নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়, কারণ সেই সময় গঙ্গাসাগর মেলা চলবে। আর এবছর প্রবল ভিড় হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ এরপরই রয়েছে কুম্ভ মেলা। গঙ্গাসাগরের পাশাপাশি বাবুঘাট সংলগ্ন এলাকাতেও এবারে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
Video-ফের ল্যাবুশানের সঙ্গে বেল নিয়ে তুকতাক সিরাজের! কাজে এল! তবে এবার আউট খোয়াজা
ডার্বি ম্যাচে পুলিশ দিতে পারবে না বিধাননগর-
ডার্বি ম্যাচে আর পাঁচটা ম্যাচের মতো সাধারণ হোম ম্যাচ নয় যেখানে ৩০-৩৫ হাজার সমর্থক যায়। এই ম্যাচে কমপক্ষে ৬০ হাজার সমর্থক যাবেই। আর বর্তমানে বাংলাদেশে অশান্তি চলায়, সাগরে বাড়তি নজর দিতে হচ্ছে প্রশাসনকে। গঙ্গাসাগর এলাকা সীমান্তবর্তী এলাকা বলে মুখ্যমন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছেন সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য। ফলে বিধাননগর পুলিশের পক্ষ থেকে ডার্বি ম্যাচের জন্য অতিরিক্ত ফোর্স দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হল।
ম্যাচ পিছতে চাইবে মোহনবাগান-
এবার মোহনবাগানের সামনে যে কটা রাস্তা খোলা থাকল, তার মধ্যে সবচেয়ে সহজ পথ নিঃসন্দেহে ম্যাচ পিছতে এফএসডিএলকে আবেদন জানানো। কারণ ম্যাচ যদি না পিছিয়ে অন্য রাজ্য হয়, তাহলে সমর্থক সংখ্যা নিঃসন্দেহে কমবে। আর মোহনবাগানের যে গেট সেলসহ বিজ্ঞাপনের বিষয় রয়েছে তাও ধাক্কা খাবে। এছাড়া যদি যুবভারতীতে সিমিত সংখ্যাক দর্শক নিয়ে খেলা আয়োজন করতে যায়, তাহলে টিকিটের লাভের অংশ তো কমবেই, সঙ্গে পুলিশ সেই নিরাপত্তা দেবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
আর্থিক ক্ষতি হতে পারে বাগানের-
একান্তই যদি দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজনের কথা ভাবা হয়, সেক্ষেত্রে দুই দল রাজি হবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে, কারণ এটা বাঙালির আবেগের ম্যাচ। আর মোহনবাগানও সেক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষতির মুখ দেখবে। ফলে আপাতত এফএসডিএলকে জানিয়ে একটা পথ বার করে মুখিয়ে বাগান কর্তৃপক্ষ।
মোহনবাগানের কি ম্যাচ পিছনে ক্ষতি?
মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল দুই দলেরই জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে একটি ম্যাচ রয়েছে। ২ তারিখ হায়দরাবাদের বিপক্ষে খেলবে মোহনবাগান, আর ইস্টবেঙ্গল খেলবে মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে। দুই দলেরই অ্যাওয়ে ম্যাচ। যদিও বাগান বেশিদিন বিশ্রাম পাবে, আর পেত্রাতোস, স্টুয়ার্টও ততদিনে হয়ত সুস্থ হয়ে যাবে। সেদিক থেকে তাঁরা ১১ জানুয়ারি ম্যাচ খেলতে পারলে লাভবানই হত।
ইস্টবেঙ্গলের লাভই হতে পারে-
অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গল দলের কোচ দেখিয়ে দিয়েছেন বুকে পাটা কাকে বলে। ভাঙা দল নিয়েই বড় বড় দলকে ধাক্কা দিয়ে চলেছে তাঁরা। হাতে একাধিক বিদেশি না থাকায়, শীতকালীন ট্রান্সফার উইন্ডো থেকে কয়েকজন বিদেশিকে তুলে নিতে পারলে তাঁদেরকে কম্বিনেশনে আনতে সময় লাগবে। তাই ১১ জানুয়ারির ম্যাচ পিছল, দল তৈরিতে হাতে কিছুটা সময়ও যেমন ব্রুজো পাবেন, তেমনই নতুন ফুটবলাররাও মানিয়ে নিতে পারবেন দলের সঙ্গে। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত ডার্বির ভাগ্যে কি হয়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।