সেই ছোট্টবেলা থেকে এসি মিলানে খেলছেন জিয়ানলুইজি দোনারুমা। এই ক্লাবের সঙ্গে একটা আত্মিক যোগ তৈরি হয়ে গিয়েছিল তাঁর। এই ক্লাবকেই এ বার তিনি বিদায় জানাচ্ছেন। অথচ এসি মিলানের সঙ্গে না জানি কত স্মৃতি জড়িত। ক্লাব ছাড়ার সময়ে তাই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন ইতালিকে ইউরো জেতানো দোনারুমা। ক্লাব ছাড়ার আগে তাঁর আবেগপ্রবণ বার্তা মন ছুঁয়ে গেল এসি মিলান সমর্থকদেরও।
পিএসজি-তে তাঁর যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা চলছে। তাঁর মাঝেই দোনারুমার বার্তায় শুধু এসি মিলানের সমর্থকদরেই নয়, মন ছুঁয়েছে বিশ্ব ফুটবল মহলেরও। তিনি তাঁর বার্তায় লিখেছেন, ‘কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব কঠিন হয়। কিন্তু এটা জীবনেরই একটা অঙ্গ।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি যখন মিলানে যোগ দিয়েছিলাম, তখন আমি খুবই ছোট। শিশু বয়সের চেয়ে একটু বড়। আট বছর ধরে এই জার্সি আমি গর্বের সঙ্গে পড়েছিলাম। আমি লড়াই করেছি, যন্ত্রণা পেয়েছি, জিতেছি, কেঁদেছি, সেলিব্রেট করেছি আমার টিমের সতীর্থদের সঙ্গে, কোচেদের সঙ্গে, যারা এই ক্লাবের অংশ ছিল।’
এর সঙ্গেই ২২ বছরের গোলকিপার যোগ করেছেন, ‘এই ক্লাবেরগুরুত্বপূর্ণ সদস্য যাঁরা, সেই সমর্থকেরা বহু বছর ধরে আমাদের পরিবারেরই অংশ হয়ে গিয়েছিল। এই ক্লাবের জার্সিতে আমি নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে পেরেছি। ১৬ বছরে সিরি-এ-তে আমার অভিষেক হয়েছে। এই ক্লাবে আমি এমন অসাধারণ কিছু বছর কাটিয়েছি, যা কখনও ভোলার নয়।’ ২০১৫ সালে সিরি এ-তে অভিষেকের পর ছয় বছর ধরে এসি মিলানের প্রথম গোলকিপার ছিলেন দোনারুমাই।
১৬ বছর ২৪২ দিন বয়সে জিয়ানলুইজি দোনারুমার অভিষেক হয় সিরি এ-তে। এই টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম প্লেয়ার হিসেবে আত্মপ্রকাশ হয়েছিল তাঁর। ইতালির অনূর্ধ্ব-২১ দলে কনিষ্ঠতম প্লেয়ার হিসেবেও তিনি খেলেছেন। ২০১৬ মার্চে ১৭ বছর ২৮ দিন বয়সে তিনি খেলেছিলেন। এর ছ'মাস পরেই সিনিয়র দলের হয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে অভিষেক হয়েছিল দোনারুমার। কনিষ্ঠতম প্লেয়ার হিসেবে ইতালি সিনিয়র দলে তাঁর অভিষেক হয়েছিল। দোনারুমার তখন বয়স ছিল ১৭ বছর ১৮৯ দিন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।