আজ ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ফাইনালের মুখোমুখি হচ্ছে বেঙ্গালুরু এফসি এবং এটিকে মোহনবাগান। গোয়ার জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে একে অপরের বিরুদ্ধে নামবেন তারা। যুদ্ধে নামার আগে দুই দলই বেশ চনমনে রয়েছে। ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে তাদের শরীরী ভাষা দেখেই তা বোঝা গিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৪-১৫ সালের আই লিগে এরকম একটা ‘ফাইনাল’-এ মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান এবং বেঙ্গালুরু। ১-১ গোলে ড্র করে আই লিগ জিতেছিল মোহনবাগান।
বেঙ্গালুরু এফসির জন্য সুনীল ছেত্রী নামটাই যথেষ্ট। দলে তাঁর থাকা ফুটবলারদের উত্তেজিত করছে। ভারত অধিনায়কের ফুটবলের অভিজ্ঞতাই বাকি ফুটবলারদের সাহায্য করে চলেছে। মোহনবাগানের সঙ্গে যতবার দেখা হয়েছে, তাঁর অধিকাংশ সময় বেঙ্গালুরু এফসিকে হারের মুখ দেখতে হয়েছে। সেই অবস্থায় ফাইনালে নিয়ে কিছুটা চাপে রয়েছে সুনীল ছেত্রীর দল। তবে বেঙ্গালুরু এফসি যে নিজেদের ১০০ শতাংশ দিয়ে ম্যাচে ঝাঁপাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন সুনীল।
সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, 'গত ১০ বছর ধরে আমরা মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলছি। তা সে আই লিগ হোক বা আইএসএল। আমাদের লড়াই খেলাতে একটা অন্য মাত্রা আনে। চলতি আইএসএলের লিগ পর্যায়ে আমরা একবার হেরেছি নিজেদের মাঠে। ওদের মাঠে হারিয়েছি ওদের। এইবার ফাইনালটা হতে চলেছে গোয়ায়। এখানে আমাদেরও অনেক সমর্থক থাকবে। তবে জেতার জন্য এটা প্রধান বিষয় নয়। আসল হল আমরা কতটা খেলতে পারলাম।'
ম্যাচের শুরু থেকেই যে সুনীল থাকবেন না, তা একপ্রকার বোঝা গিয়েছে। অন্যান্য বারের মতো এই ম্য়াচেও সুনীলকে পরে নামানো হবে। বেঙ্গালুরু কোচ গ্ৰেসন বলেন, 'সুনীলের মতো ফুটবলারকে ম্যাচের প্রথম থেকে না খেলানো আমার কোচিং জীবনে সবথেকে কঠিন সিদ্ধান্ত। তবে সুনীলের সহায়তায় এই কাজটা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে।'
বারবার প্রথম একাদশে না থেকেও সুনীলের মুখে শুধু দলের কথা। ভারতের অধিনায়ক বলেন, 'একটা সময় আমি রয় কৃষ্ণ, সন্দেশরা নিজেদের সেরাটা দিতে পারছিলাম না। সিনিয়রদের ব্যর্থতার ফলে একের পর এক ম্যাচ হারছিলাম আমরা। নিজেদের ওপর রাগ হচ্ছিল। প্র্যাকটিসে মেজাজ ঠিক রাখতে পারছিলাম না। তখন রোহিত, শিবশক্তি, রোশনের মতো জুনিয়ররা শিবিরের মেজাজটা চনমনে রাখত। সেটাই আমাদের জয়ের রাস্তায় ফিরে আসতে সাহায্য করেছে। পরপর সাতটি ম্যাচ জেতার পরেও আমরা প্লে-অফে জায়গা করে পারিনি। আট নম্বর ম্যাচটা জেতার পরে প্লে-অফে জায়গা করতে পারি আমরা। তখনই বিশ্বাস জন্মায়, হ্যাঁ আমরা পারি। তবে কাজটা এখনও শেষ হয়নি। টানা জেতার সময় কোচ বলেছেন, কিছু হয়নি। ফাইনালে ওঠার পর তাই বলেছেন। কোচের এই মনোভাবই আমাদের অনেক সাহায্য করেছে। রিজার্ভ বেঞ্চে বসে থাকার বিষয়টা আমার খুব জঘন্য লাগে। তবে দলের স্বার্থে প্রথম থেকে না খেলার যন্ত্রণা কিছুই না।'